নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭
বিএনপির ট্রাম্পকার্ড ‘বিচারপতি সিনহা’। বিএনপির নেতারাই বলেছেন, সিনহার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘কোনোভাবে যদি প্রমাণ করা যায় বিচারপতি সিনহা স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাননি, তাহলেই ‘কাজ হয়ে যাবে’। এজন্য বিএনপি নিয়ন্ত্রিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি কয়েক দফা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিএনপি নেতৃবৃন্দ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন। ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ড. কামাল হোসেনের মতো সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবীকে বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে যাবার জন্য অনুরোধ করেছেন। ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। জানা গেছে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। কিন্তু ব্যারিস্টার রফিকুল হক, অ্যাডভোকেট হাসান আরিফের মতো সিনিয়র আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে কোনো উৎসাহ দেখাননি।
বিএনপির প্রথম থেকেই বলার চেষ্টা করছে প্রধান বিচারপতিকে জোর করে ছুটিতে রাখা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, যে স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে সেটা প্রধান বিচারপতির না। কিন্তু তাঁদের এসব যুক্তি হালে বাতাস পায়নি। সাধারণ মানুষ মনে করছে, জোর করে যদি তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়, তাহলে তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দির আর ভিসা সেন্টারে যান কীভাবে?
লন্ডন থেকে বিএনপির নেতাদের কাছে বার্তা এসেছে, অকাট্য প্রমাণ চাই। অকাট্য প্রমাণ পেলেই সরকারের পতন অনিবার্য। এখন বিএনপি ব্যস্ত অকাট্য প্রমাণের সন্ধানে। অকাট্য প্রমাণ হতে পারে একটাই, তাহলো প্রধান বিচারপতির মুখের বয়ান। কিন্তু তেমন কোনো বাণী বা বক্তব্য আসেনি। সমস্যা হলো, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। এটা হতে পারে তাঁদের জন্য আলাদিনের চেরাগ। কিন্তু প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত কিছুইতেই পৌঁছুতে পারছেন না তাঁরা।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজকালের মধ্যে ড. কামাল হোসেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ নেবেন। ড. কামাল হোসেন নিশ্চয়ই বাধার সম্মুখীন হবেন না বলে তারা মনে করছেন।
সরকারের সূত্রগুলো বলছে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ একান্তই প্রধান বিচারপতির বিষয়। তিনি কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, কার সঙ্গে করবেন না-সেটি তাঁর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।
তবে, সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা বা সরকারের পতন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বিচারপতি একটি বড় উপলক্ষ্য হতে পারে। এর আগে বিএনপি পরিকল্পনা করেছিল, বর্তমান সংসদের ১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করানো। এটা যদি অবৈধ ঘোষণা করানো যেত তাহলে সরকারের আর বৈধতা থাকতো না। এ ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে করা একটি রিট হাইকোর্টে খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অবকাশের পরই আপিল বিভাগের রিট করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ছুটি, সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। এখন বিএনপি প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা মিথা প্রমাণের চেষ্টা কতটা সফল হয় সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’