ডিবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিনতাই
মন্তব্য করুন
চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তপ্ত রোদে পুড়ছে সারাদেশ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নিয়ে বিপাকে পড়ছে কৃষকরাও। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের বৃষ্টি কামনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। নামাজ শেষে সবাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টির প্রার্থনা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই।
নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম কাম খতিব আশরাফ উদ্দীন খান। এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
নামাজে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. ময়নুল হক, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হান্নান শেখ, ড. আলীনূর রহমান, ড. রুহুল আমিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান হাবিবসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কয়েক শ' শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ইবি ইস্তিসকার নামাজ বৃষ্টি তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা
করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সশরীরে যাবতীয় শ্রেণী কার্যক্রম ও পরীক্ষা নেওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চবি শ্রেণী কার্যক্রম পরীক্ষা তীব্র তাপদাহ
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে সাজিদ হাসান আলিফ নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অতিরিক্ত সময় দেয়া হলেও এ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১১ নং কক্ষে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরীক্ষা সময় শেষ হলে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
কক্ষটিতে কর্তব্যরত শিক্ষক জানায়, ‘হঠাৎ করে খেয়াল করলাম ছেলেটি প্রচুর ঘামাচ্ছে, তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমকে কল করি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম, টেনশন থেকে ছেলেটির এমন অবস্থা হতে পারে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমার রুমে নিয়ে এসে ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি যেহেতু ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই একজন রোভার সদস্য কে ডেকে ছেলেটির পরীক্ষা চলমান রাখি। তবে সে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অসুস্থ
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ২৪ টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা দিতে দেখা গেছে জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখছেন তারা। এছাড়াও ফ্রি লেবুর শরবত, বিস্কুট ও পানিও দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক এসব সংগঠনগুলো।
এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী সাঈদ বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে এসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো খুবই সাহায্য করছে। কোথায় কিভাবে কি করতে হবে তারা সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমার সিট কোথায় পড়েছে বুঝছিলাম না। পরে জেলা কল্যানের ভাইয়ারা সাহায্য করেছেন।’
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষার্থী যারা দূর দূরত্ব থেকে আসছে তাদের কে খাবার পানি, হালকা নাস্তা, তাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ইত্যাদি রাখতে ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করছি। নতুনদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিষেক সাহা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে, যাতে তারা যেনো কেউ পরীক্ষা দিতে এসে কোনো রকম হয়রানি না হয়।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন