ক্লাব ইনসাইড

জাবিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে গ্রাফিতি, শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার অনশন

প্রকাশ: ১২:৩৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের প্রতিবাদে জড়িতদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।

অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার নাম এনামুল হক এনাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন তিনি।

অনশনরত এই ছাত্রলীগ নেতা দফা দাবি উত্থাপন করেন, দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করতে হবে।

এসময় ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জাতির জনকের ছবি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে। এঘটনার আট দিনের বেশী সময় পেরিয়ে গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন থেকেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে এসেছে।

অথচ এখন পর্যন্ত জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। এরা আসলেই জাতির পিতার আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জাতির পিতাকে এভাবে অবমাননা করা অত্যন্ত হীনতা, লজ্জার গুরুতর অপরাধ।

ঘটনার বিচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনে এই নেতা বলেন, ‘উপাচার্যের কাছে আমাদের দাবি ছিলো অনতিবিলম্বে এটি মুছতে হবে। আমরা দাবি করার পরেও কোনো স্টেপ নেননি। প্রায় সাতদিনের মাথায় অনেক চাপাচাপির পর একটি লোক দেখানো কমিটি গঠন করেন।

যারা ব্যঙ্গচিত্রটি এঁকেছে তারা ইতোমধ্যে সেটি স্বীকার করে তাদের ফেসবুক পেজে আপলোড দিয়েছে। এখানে তো কে অভিযুক্ত সেটা প্রমাণিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তো যেকোনো সমস্যা হলে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে ব্যবস্থা নেন। তাহলে এই ঘটনায় কেন ব্যবস্থা না নিয়ে উদাসীনতা দেখাচ্ছেন?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার একান্ত সচিব জানায় তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন।

এছাড়াও এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অবগত করেছি। তিনি প্রথম থেকেই কেন যেন এই ব্যাপারে উদাসীন ভাব দেখিয়েছেন।

তার পদক্ষেপগুলো ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে তাল মিলিয়ে। এতোদিন হয়ে গেলেও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি এবং প্রশাসনের থেকে ব্যাপারে বিচার আদায় করে নিতে পারেননি।

অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ছাত্রলীগ একক ব্যক্তির সংগঠন নয়। আমাদের যেকোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত নিতে হলে আলোচনা করতে হয়। আমরা ঘটনার পর স্মারকলিপি দিয়েছি, বিক্ষোভ মিছিল করেছি।

এছাড়া সর্বশেষ গণজমায়েত গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি। এর প্রেক্ষিতে উক্ত গ্রাফিতিটি মুছে দেয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর নতুন প্রতিকৃতি আঁকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে জায়গাটি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ছাত্র ইউনিয়নের আঁকা চিত্রটি মুছে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তদন্ত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার শামীম আহমেদ চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজউদ্দীন এবং সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-) বি এম আজিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা মানবিকী অনুষদের নতুন ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি আঁকা ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত নারী ধর্ষণের ঘটনার পর সেই স্থানে গত ০৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি মুছে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছে ৪৭ ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অমর্ত্য রায় ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী।

বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন যোগাতে এবং নিপীড়কদের হুঁশিয়ার করতে নতুন গ্রাফিতিটি আঁকা হয়েছে। প্রায় তিন বছর পার হওয়ায় পূর্বের ছবি ক্ষয়ে গিয়ে অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া পাশের দেয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিশাল, স্পষ্ট এবং নান্দনিক গ্রাফিতি দৃশ্যমান রয়েছে। চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে গ্রাফিতি অঙ্গন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   ছাত্রলীগ   অনশন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ক্যান্সার কেড়ে নিল ইবি শিক্ষকের প্রাণ

প্রকাশ: ১২:১৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘদিন ব্রেইন ক্যান্সারে ভোগার পর মারা গেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড.আ.ন.ম ইকবাল হোসাইন। ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার (০৪ মে) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন।

মৃত্যৃকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ জোহর সাগরদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, বরিশালে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাদ আসর ভোলায় নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভিসি, প্রো-ভিসি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ছাত্রসংগঠন। পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, ড. ইকবাল হোসাইন ১৯৭৩ সালের পহেলা মার্চ ভোলার জেলার চরফ্যাশন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম ব্যাচের (১৯৯১-৯২ সেশন) ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিভাগে ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০০৫ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ২০০৮ সালে সহযোগী  অধ্যাপক ও ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালের  ১৯ নভেম্বর বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ব্রেইন ক্যান্সার-এ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।


ইবি   শিক্ষক   ক্যান্সার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে ইবি ছাত্রলীগের বাইক সার্ভিস

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail শিক্ষার্থীদের সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে ছাত্রলীগের ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’

গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১ টায় পরীক্ষা হয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। ইবি কেন্দ্রে মোট ৭টি ভবনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৪৬ জন।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে শাখা ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, থানা গেইট ও জিয়া মোড় এলাকায় এই সার্ভিস চালু রেখেছে নেতা কর্মীরা। সরেজমিনে বাইকে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১১ মে, আসন প্রতি লড়বেন ৬ জন

এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে সুপেয় খাবার পানি বিতরণ, ভর্তিচ্ছুদের ব্যাগ, মোবাইল ও মানিব্যাগ রাখার ব্যবস্থা, অবিভাবকদের বিশ্রামের জন্য অভিভাবক কর্নার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থাও করেছে শাখা ছাত্রলীগ।

ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে আমাদের এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


ভর্তি পরীক্ষা   জয় বাংলা বাইক সার্ভিস   ছাত্রলীগ   ইবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ: শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরতে বাস সুবিধা

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনির্দিষ্টকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষনার সিদ্ধান্তের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের পরও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস সার্ভিস দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

 

বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস সার্ভিসের বিষয়টি জানানো হয়।

 

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ৯৩ তম জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ও ১ মে বিকেল চারটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সে সূত্রে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে দুই ধাপে চারটি বাস ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, এদিন শিক্ষার্থী নিয়ে বেলা আড়াইটায় ও সাড়ে তিনটায় দুই ধাপে ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী দুইটি করে বাস ছেড়ে যায়।

 

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রশাসন থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ীই আজকে চারটি বাস দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বিভাগীয় কয়েকটি শহরেও বাসের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' 


বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাস থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) সিলেট, ভাঙ্গা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নোয়াখালী (লক্ষীপুর) অঞ্চলে বাস ছেড়ে যাবে।


কুবি   অনির্দিষ্টকাল বন্ধ   হল   বাস  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, হল ছাড়তে নাড়াজ শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ঘোষণায় আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ মে) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হল চালু রাখার ও ক্লাসে ফেরার দাবি জানান। এছাড়া এই মানববন্ধনের একাত্মতা পোষন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর আল-আমিন হোসেন।

 

গতকাল মঙ্গলবার (৩০) মার্চ রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সভায় সিন্ধান্ত হয় হল বন্ধের।

 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম আবর্তনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা সুলতানা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সার্কাস চলছে। প্রথমে প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিল ২রা মে পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, অনলাইনে ক্লাস চলবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শিক্ষক সমিতি আবার এই মগজ গলা গরমে সিদ্ধান্ত দিল ২৮ এপ্রিল থেকে স্ব-শরীরে ক্লাসে ফিরবে, এর আগে তারা আবার ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করেছিলো। এখন আবার প্রশাসন আমাদেরকে হল থেকে বের করে দিচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনিতে বেশ কিছু বিভাগ করোনার কারণে পিছিয়ে আছে তার ওপর তাদের এ ধরণের সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক সমিতি আর উপাচার্যের দ্বন্দ্বে আমরা বলির পাঠা হয়ে আছি। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান আশা করছি।'

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম আবর্তনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ বলেন, 'আজকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি নিজেদের কিছু ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য। আমাদের ক্লাস, পরীক্ষা চালু করতে হবে, হল গুলো খোলা রাখতে হবে। শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার তদন্ত করে সঠিক বিচার করতে হবে দোষীদের। চলমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান করতে হবে, অন্যথায় আমরা আমাদের কর্যক্রম চালিয়ে যাব।'

 

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে একাত্মতা পোষন করে নাসির হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংকট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌছেছে। শিক্ষার্থীদের সংকটের মুখেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার মনে হয় না, এমন কিছু ঘটেছে। আর কাজী নজরুল হলে কোনরকম অবৈধ অস্ত্র বা টাকা ঢুকেনি। আমার হল খোলা থাকবে। আমার হলের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।'

 

শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক আল-আমিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমার হলে কোনপ্রকার অবৈধ অস্ত্র নেই। আমার হল স্বাভাবিক আছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা তাদের মতো করে হলে থাকতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কেউ জোরপূর্বক হল থেকে বের করতে পারবে না।'

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন হল প্রভোস্টদের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে হল খুব সুন্দর ভাবেই চলছে। আর একাডেমিক কার্যক্রম চলুক সেটাও আমি চাই। আমি মনে করি এই উপাচার্য একজন অদক্ষ প্রশাসক। তার পদত্যাগই সবকিছুর সমাধান।'

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছি। যখন কোন একটা ছুটি হয় তখন কিন্তু প্রতিবার একই নোটিশ যায় যে হল ছাড়তে হবে। অনেক সময় হল সিলগালা করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। যেহেতু এই নোটিশে সিলগালার কথা বলা নাই সেক্ষেত্রে কেউ যদি বিকাল চারটার মধ্যে হল ত্যাগ না করে তাহলে নিশ্চই হল প্রসাশন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিবে।'


কুবি   উপাচার্য   শিক্ষক সমিতি   বন্ধ ঘোষণা   অনির্দিষ্টকাল   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের সম্মানহানির অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

 

গতকাল (৩০ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।

 

অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে, আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের (বর্তমান প্রক্টর) পিএইচডির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পিএইচডি সেমিনারে আমন্ত্রিত হলে সকল ডীন যাবার চেষ্টা করি। কমিটির সদস্য না হলেও মিথ্যা পোস্টে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদার হানি হয়েছে। একজন ডীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুন্ন করছেন বলে মনে করি।

 

অভিযোগপত্রে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আবুল হোসেন আরো বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না।

 

এদিকে এরআগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডীন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১ তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার।

 

এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালিগালাজসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে 'ভোট চোর' সহ নানা কটুক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

 

এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

 

এদিকে আবু সালেহ সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে লিখিত অভিযোগ দেয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগ ও আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। শিক্ষক সমিতিও সেকান্দারের ফেসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে।


জবি   সম্মানহানি   শিক্ষক   ডীন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন