অন্যের কাছ থেকে জমি
লিজ নিয়ে ফলের বাগান করেছেন
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর
মুরাদিয়া গ্রামের কাজেম আলী মৃধা। ২'একর
জমি ১০বছর মেয়াদী লিজ নিয়ে গড়ে
তুলেছেন বড় আকারের ফল
ও শাক-সবজির বাগান।
তার
বাগানে রয়েছে মাল্টা, কুল, কমলা, পেয়ারা,
লেবু ও আমসহ বিভিন্ন ফলের গাছ। বেশ ভালো
ভাবেই বেড়ে উঠছে এ ফলের
গাছ গুলো। ফল বাগানের ফাঁকে
ফাঁকে বিভিন্ন রকমারি শাকসবজি এবং পেঁপেও চাষ
করেছেন। খনন করেছেন তিনটি
পুকুর যেখানে চাষ করেছেন দেশী
জাতের শিং, টেংরা,কার্প
ও সাদা মাছ। গোটা
বাগান জুড়ে রয়েছে সবুজের সমারোহ। কোন কোন গাছে
ধরেছে মাল্টা , বড়ই গাছে
ফুল, কুঁড়ি ও ফল ধরেছে।
তিনি
জানান, পূর্বে তার চট্টগ্রামে চাকুরী
ছিল, করোনার কারণে চাকরি চলে যাওয়ায় ব্যবসায়
নামেন, সেখানেও লোকসান দিয়ে অবশেষে বাগান করার উদ্যোগ নেন।
মার্চ ২০২২ এ তিনি
৩টি পুকুর খনন করে জমিতে
মাটি দিয়ে বাগান প্রস্তুত করেন এবং এপ্রিল-মে মাস থেকে বাগানে
বারি-১জাতের ২৭০টি মাল্টা, অস্ট্রেলিয়ান উদ্ভাবিত বলসুন্দরী ও ভারতের ভারতসুন্দরী
উচ্চ ফলনশীল জাতের ১২০টি কূঁলের চারা, দার্জিলিং জাতের ৫০ টি কমলা,
দেশী জাতের ২০টি কাগজি লেবু
চারা ও এছাড়াও রয়েছে
উচ্চ ফলনশীল গোল্ডেন-৮ জাতের ৪০/৫০টি পেয়ারা গাছ।
এসকল ফলজ গাছে ইতিমধ্যে
মাল্টা, পেয়ারা,কূঁল ও লেবুর
ফলন ধরা শুরু করেছে।
এসকল ফলজ চারা তিনি
ঝিনাইদহের বিখ্যাত রফিকুল ইসলামের নার্সারি থেকে সংগ্রহ করেছেন
এবং প্রতিটি চারায় ১৪৫টাকা খরচ হয় ।
ফলের বাগানের ভিতর থাইল্যান্ডের রেডলেডি
ও লাল তীর জাতের
শতাধিক পেঁপে গাছ রয়েছে, এর থেকে গড়ে
প্রতিদিন শতাধিক পাকা পেঁপে বিক্রি
করেন। এছাড়াও বারমাসি বেগুন, লাউ, লাল শাক,
ধনিয়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি ও টমেটোর চাষ
করেছেন। শাক-সবজি বিক্রয়
করে গড়ে ২২/২৫
হাজার টাকা আয় করেন।
তিনি ৩টি পুকুরে দেশী
জাতের ১৫হাজার শিং, ১লক্ষাধিক গুলিশা
ও টেংরা, ১০হাজার কার্প জাতীয় মাছ চাষ করেছেন।
কত টাকা খরচ হয়েছে
জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাগান
তৈরিতে এ পর্যন্ত ১০
লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বাগানে রাসায়নিক সারের চেয়ে নিজের তৈরি জৈব সার
বেশি প্রয়োগ করেন এ লক্ষ্যে
তিনি গোবর ও অন্যান্য
জৈব পদার্থ দিয়ে সার প্রস্তুত করেন
এবং নিজে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে
জৈব কীটনাশক তৈরি করে প্রয়োগ
করেন। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ
মোতাবেক তিনি বাগানের ফলজ
ও শাক-সবজির পরিচর্যা
করে থাকেন। তবে তিনি উল্লেখ
করেন যে, তার এখন
অর্থের দরকার, নিজের যা ছিল তা
ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করেছেন। সংসারে স্বামী-স্ত্রী, বড় ছেলে চট্টগ্রামে
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১বর্ষে ও ছোট ছেলে
জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশোনা
করে। এমতাবস্থায় বাগান থেকে যে আয়
হয় তাতে সংসার ও
ছেলেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম
খেতে হচ্ছে। একজন বাগান খামারি
উদ্যোক্তা হিসেবে কোন ব্যাংক বা
এনজিও থেকে ঋণ প্রয়োজন
বলে জানান তিনি।
দুমকি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ
মেহের মালিকা বাংলা ইনসাইডার কে জানান, কাজেম
আলী মৃধা একজন দক্ষ
এবং শিক্ষিত নতুন কৃষি উদ্যোক্তা।
আমাদের প্রকল্প থেকেও তাকে ফলের চারা,
শাক-সবজির বীজ, সার, কীটনাশক
দিয়ে সহায়তা করে আসছি। তিনি
আমাদের পরামর্শক্রমে উক্ত বাগানের সফলভাবে
ফলজ গাছের চারা রোপণ করেছেন,
কোন কোন গাছে স্বল্প
সময়ের মধ্যেই ফল দিতে শুরু
করেছে। বাগান পরিচর্যা রোগবালাই দমন, সার কিট-নাশক প্রয়োগের ব্যাপারে
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন নিয়মিত
মনিটরিং করছেন।৷ আমি সময় পেলে
নিজে গিয়ে পরিদর্শন করি। পটুয়াখালী জেলা
প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
খায়রুল ইসলাম মল্লিকও বাগানটি পরিদর্শন
করেছেন।
একই
এলাকার নিজাম উদ্দিন বাংলা ইনসাইডার কে জানান, পটুয়াখালীর
দুমকিতে আজগর আলীর বাগান
এবং ঘেরে আমি নিজে
গিয়ে দেখেছি তার বাগানে অনেক
রকমের ফল এবং গাছ
মাছ শাকসবজি ইত্যাদি চাষাবাদ করতে। সে অল্প কিছু পূজি
নিয়ে হালকা কিছু গাছ লাগিয়ে
ব্যাবসা শুরু করে। সে
অনেক বড় ব্যাবসায়ী হোক
এই আশা করি এবং
দোয়া করি তার পাশে
কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি গবেষণাবিদেরা
থাকুক।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।