ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রমজানের আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা ক্রেতারা


Thumbnail

করোনার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্য।  এ অবস্থায় আসছে রমজান উপলক্ষে নতুন করে বেড়েছে আলু, ছোলা, খেজুর, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন মসলার দাম, যা স্বল্প আয়ের মানুষদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা।

লক্ষ্মীপুর, রায়পুর,  রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকদিন ধরেই চাল, তেল, চিনির দাম বাড়তি। পাশাপাশি আটা, ময়দার দামও বেড়েছে সম্প্রতি। রোজার মাসে যেসব পণ্য বেশি ব্যবহৃত হয়, গত ২০দিনে সবগুলোর দাম বেড়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে রোজার মাসে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। 

তবে সরকারের এ উদ্যোগ রোজার মাসে ক্রেতাদের কতটা স্বস্তি দিতে পারবে তা এখন দেখার বিষয়। কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির তথ্যে উঠে এসেছে গত এক সপ্তাহে চাল, আটা, ময়দা, পাম অয়েল, মসুর ডাল, ছোলা, আলু, শুকনা মরিচ, আদা, দারুচিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোজায় বহুল ব্যবহৃত পণ্য খেজুর ও ছোলার দাম গত কয়েকদিনে বেড়েছে দ্বিগুণ।  খুচরা পর্যায়ে ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, যা কয়েকদিন আগে ছিল ৭০-৭৫ টাকা। অর্থাৎ ছোলার দাম এরই মধ্যে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

সরোজমিনে রামগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. সুমন  বলেন, রোজা উপলক্ষে এরই মধ্যে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে ছোলার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। 

তিনি বলেন, ছোলাসহ অন্যান্য ডালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। কারণ অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল, মিয়ানমার, তুরস্ক ও ভারত থেকে আমদানি করা ছোলাসহ অন্যান্য ডাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়ে প্রথমে খাতুনগঞ্জ বাজারে যায়। সেখান থেকে আসে মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে। খাতুনগঞ্জ দাম বাড়ালে আমাদের এখানে অটোমেটিক দাম বাড়ে। একইভাবে খাতুনগঞ্জে দাম কমলে ঢাকার বাজারেও কমে যাবে।
রামগতি বাজারের ব্যবসায়ী মো: আলী  জানিয়ছেন কয়েকদিন আগে খুচরা পর্যায়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হওয়া নিম্নমানের খেজুরের দাম বেড়ে এখন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, যা কিছুদিন আগে ছিল ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। আর ভালো মানের খেজুরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা। কিছুদিন আগে এই খেজুরের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে।

খেজুরের দামের বিষয়ে রায়পুরের ব্যবসায়ী রহমান   বলেন, আমরা সারাবছর খেজুর বিক্রি করি। খেজুরের দাম প্রায় এক বছর ধরে কম ছিল। তবে এখন বাড়তে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে আমরা যে খেজুর ৪০০ টাকা বিক্রি করেছি, তা এখন ৫৫০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ আড়তে খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। রোজাকেন্দ্রিক খেজুর এখনো বিক্রি শুরু হয়নি, কিন্তু এখনই দাম বেড়ে গেছে। সামনে বিক্রি বাড়লে দাম আরও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

লক্ষ্মীপুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রোজা কে সামনে রেখে প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গেছে 

যেমন ছোলা ৯০ টাকা আগে বিক্রি হতো  এখন ৮০ / ৮৫ টাকা,
মুশারি ১৩০ টাকা যা আগে বিক্রি হতো  এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫/১২০ টাকা,
পেয়াজ ৩৫ টাকা যা আগে বিক্রি হতো ২৫/৩০ টাকা, রৌসন ছোট কেজি ৮০ টাকা রৌসন বড় ১৩০ টাকা যা    রৌসন ছোট আগে বিক্রি হতো ৭০/৭৫ টাকা রৌসন বড় আগে বিক্রি হতো ১১৫/ ১২০ টাকা,
বুট বিক্রি হতো ৬০ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, চিনি আগে বিক্রি হতো ১১০ এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা,
সয়াবিন তৈল বিক্রি হতো  খোলা টা ১৮০ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা , তীর ৫ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা, জিরা বিক্রি হতো ৫৮০ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা,  বেশন আগে বিক্রি হতো ৬০/৬৫ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০/৮৫ টাকা, আদা আগে বিক্রি হতো ৯৫/১০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা,আলু বিক্রি হতো ১৫ টাকা আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮/২০ টাকা,শুকনো মরিচ দেশি আগে বিক্রি হতো ৩৫০/৩৮০টাকা  এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা,মিষ্টি মরিচ ৫২০ টাকা, রুআপজা বড় বতল বিক্রি হতো ৩৩০/৩৪০ টাকা একন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা,
ছোলা, খেজুরের পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে রসুন, আদা, হলুদসহ বিভিন্ন মসলা।

দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে ডিম। আগে কুড়ি কিনা যেত ১৮০ টাকা আর এখন কুড়ি ২৪০ টাকা রোজা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে কেনাকাটা করতে আসা মো. রাজু বলেন, এখনই সবকিছুর দাম বাড়তি। রোজার আগে আরও দাম বাড়বে এমন আশঙ্কায় আছি। তাই একটু আগেই রোজার কেনাকাটা করে রাখছি। কারণ আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা তো ভালো না। এর আগে দেখেছি মুনাফালোভী এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রোজা উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। এবারও সেসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে না, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?

মাংশ বাজার গরুর মাংশ হাড়সহ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা হাড় ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০থেকে ৮৫০ টাকা। খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা করে। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা বয়লার বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪০টাকা কক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ টাকা
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম তাতে কেউ স্বস্তিতে নেই। চাল, ডাল, তেল, চিনির যে দাম তাতে অধিকাংশ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। উচ্চবিত্ত ছাড়া কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ ভালো নেই। 

কমলনগর রিকশা চালক আজাদের সঙ্গে কথা হয় তিনি বলেন, এখন আমাদের জন্য কোনোরকম খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই বড় বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। রোজা নিয়ে ভাবার সময় কোথায়। এখন দু’বেলার বেশি খাই না। রমজানেও কোনো রকমে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবো। আর ছোলা-মুড়ি দিয়ে ইফতারি সেরে নেবো।
চাল, আটার দাম আরও বেড়েছে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হওয়া চাল ও আটার দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে তিন থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিকন চালের দাম বেড়ে এখন ৬০থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকার মধ্যে।

অপরদিকে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। যা কিছুদিন আগে ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। আর ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া খোলা ময়দার দাম বেড়ে এখন ৫০ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

রায়পুরে  ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খোকন  বলেন, গত কয়েকদিন সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। পারীজা  বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। এভাবে সব কোম্পানির চালের দাম বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া আটা, ময়দার দামও গত কয়েকদিনে বেড়েছে। এবছর রমজানে জিনিপত্রের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা জানি না। জিনিপত্রের দাম বাড়ায় শুধু ক্রেতারা নয়, আমরাও কষ্টে আছি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজবাড়ীতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়।  

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত চালক আব্দুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার দনিয়া ইউনিয়নের দোলাইরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনায় আহত সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে কোম্পানির কাভার্ডভ্যানে ফ্যান নিয়ে ভোর ৪টায় ফরিদপুরে যাই। সেখানে একটি দোকানে ফ্যান ডেলিভারি দিয়ে ঢাকায় ফিরছিলাম। পথে মজলিশপুর আখ সেন্টারের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সামনে থাকা একটি পিকআপভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে চলে আসে। এ সময় ট্রাকটির সঙ্গে আমাদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুর রহিম মারা যান।’

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল শেখ জানান, ‘নিহত চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানটি মহাসড়কের পাশে রয়েছে। তবে ট্রাকচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনা   বাস-ট্রাক   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা দেওয়া সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র প্রধান সহায়ক হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমার যদি সাধারণ মহিলাদের সেবা দিতে পারি বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবা দেওয়া যেতে পারে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিসাবে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম আজ দেশে বিদেশে নন্দিত। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসকরণে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। 

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ জমি দান করেছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ। ভালো কাজের মানুষ এগিয়ে আসেন। জনবহুল এই দেশের মানুষ এসকল কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য আটশ একর জমি দান করেছেন। আমরা সেখানে সেবাদানকারী নিয়োগ করেছি। তিন জন সেবাদানকারী সপ্তাহে ছয়দিন সেবা দিচ্ছেন। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র মা ও শিশুরা তাদের ঘরের কাছে ওষুধ সহ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছে।

এ পর্যন্ত ১৫ হাজার তিনশ ১৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত কমিউনিটি ক্লিনিকের এক কোটিরও অধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন এবং উচ্চতর চিকিৎসার জন্য কাউকে কাউকে রেফার করা হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক   স্বাস্থ্যমন্ত্রী   প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী   ডা. সামন্ত লাল সেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাপ্রসূত যুগান্তকারী পদক্ষেপ: স্বাস্থ্য সচিব

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কর্তৃক গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের অন্যতম এই কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রান্তিক জনগণ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের এ সাফল্য আজ বিশ্ববিদিত এবং এই সাফল্যের পিছনে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত সেবার একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। 

তিনি বলেন, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অর্থবহ করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে যার ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে স্থানীয় জনগণের নিবিড় সম্পর্ক ও সমৃক্তকরণে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। 

‘শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’-শ্লোগানটি ব্রান্ডিং হয়েছে উল্লেখ্য করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালকরণের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্য তথ্য জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাতায়নে সংযুক্ত হচ্ছে। কেবল জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা ও কার্যকারিতা স্বীকৃতি পেয়েছে ও পাচ্ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহতী উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট গৌরবের। 

কমিউনিটি ক্লিনিক   স্বাস্থ্য সচিব   জাহাঙ্গীর আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে অতি-দ্ররিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পে শুভঙ্করের ফাঁকি

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ধুবিল ইউনিয়নে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে প্রকল্প এলাকায় কম শ্রমিকের উপস্থিতি, হাজিরা খাতা ও সাইনবোর্ড না থাকা, শ্রমিক তালিকায় ইউপি উদ্যোক্তা, চৌকিদার, ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নাম অন্তভূক্ত করা, শ্রমিকদের সিম ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের পকেটে রাখা সহ নানাবিধ অনিয়ম।

 

জানা যায়, এই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ হতে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি প্রকল্পের বিপরীতে মোট ১৬৬৩ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। প্রতি শ্রমিকের জন্য দৈনিক চারশত টাকা মজুরী এবং সর্দারের ভাতা রয়েছে ২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ধুবিল ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৬৭ জন শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যেখান পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা ১১১ জন এবং মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ৫৬ জন।

 

সরেজমিনে ধুবিল ইউনিয়নের ইছিদহ, আমশড়া, চৌধুরী ঘুঘাট, ধুবিল মেহমানশাহী, মালতিনগর, ঝাউল প্রকল্প গুলো ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিক উপস্থিতি ষাট ভাগেরও কম।

 

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, উন্নয়নের জন্য সরকার থেকে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাট। ঝাউল লুৎফরের বাড়ী হতে শহিদুলের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ২৭ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখানে মূলত কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। প্রকল্পের সর্দার জানান, শুরু থেকেই এখানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। প্রকল্পের সভাপতি থেকে শুরু করে কেউ তদারকিও করতে আসে না।

 

একই চিত্র এই ইউনিয়নের সকল প্রকল্প গুলোতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য জানান, প্রকল্প শেষে বরাদ্দের বড় একটা অংশ যায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে। কাজেই এই প্রকল্পের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট।

 

এ ব্যাপারে ঝাউল প্রকল্পের প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে শ্রমিক অনুপস্থিত থাকবেই, কারণ চেয়ারম্যানের ভিআইপি লেবার, মহিলা ইউপি সদস্যের ভিআইপি লেবার থাকে। তারপর আবার উপজেলা অফিস ম্যানেজ করতে হয়।

কর্মসৃজন প্রকল্পের অনিয়মের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকল ইউনিয়নেই শ্রমিক উপস্থিতি কম। তাই আমার এখানেও কম। আপনারা পত্রিকায় লিখে কিছু করতে পারবেন না। কারণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সবকিছু নলেজে আছে।’


অতি দ্ররিদ্র   কর্মসৃজন   প্রকল্প   অনিয়ম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অগ্রগতির সব কিছুই ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক নয়, বাংলাদেশের যা কিছু অগ্রগতি তা সব কিছুই শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জন সেবামূলকসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সমস্ত কার্যক্রমই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ। যে যে ক্ষেত্রে তিনি বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন সেই ক্ষেত্রগুলো সবই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটি। যোগাযোগের প্রশ্নে শেখ হাসিনা যে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন এবং তিনি যেভাবে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলকে যুক্ত করেছেন সব কিছুই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটি। সব কিছুকে শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটি এর ভেতর নিয়ে আসতে হবে। 

তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও প্রগতিশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার ও সুসংহত করতে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দেশব্যাপী ১৪৩১৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পুষ্টিসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যতম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আবার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। জনগণ জমি দিচ্ছে, সরকার ভবন করছে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের এক অনন্য উদহারণ। 

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। আমি এই প্রতিষ্ঠানটির টেকসই অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তরোত্তর সম্মান বয়ে আনবে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলব। 

রাষ্ট্রপতি   মো. সাহাবুদ্দিন   প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী   কমিউনিটি ক্লিনিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন