প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। প্রচন্ড গরমে প্রশান্তি পেতে
আর রমযানকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন
স্থান থেকে তরমুজ আমদানি
করেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনাও ছিলো বেশ ভালো।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তরমুজে পচন ধরায় এবার
লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এজন্য বৈরি আবহাওয়াকেই দুষছেন
সংশ্লিষ্টরা।
জেলা
কৃষি বিভাগের তথ্য ও স্থানীয়দের
কাছ থেকে জানা যায়,
লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে
তরমুজের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর
সদরের কিছু এলাকা, কমলনগর
ও রামগতি উপজেলায় তরমুজের চাষ বেশি হয়ে
থাকে। এর মধ্যে শুধু
সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি, চর মটুয়া, পুকুরদিয়াসহ
আশপাশ এলাকার প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে
তরমুজের চাষ হয়েছে।
জানা
যায়, এ মৌসুমে এ
পেশায় জেলায় প্রায় ৩০ হাজার লোক
জড়িত থাকেন। লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত তরমুজ এ জেলার চাহিদা
মেটাতে না পারায় ভোলা,
বরিশাল, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আমদানি
করেন ব্যবসায়ীরা। জেলার সদর উপজেলার দত্তপাড়া,
বশিকপুর, লাহারকান্দি, দালালবাজার, জকসিন, কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্জ, মতিরহাট, রামগতি উপজেলার বিবিরহাট, আলেকজান্ডার বাজারসহ জেলার বিভিন্ন শহরে ও গ্রামে
রিকশা ও ভ্যানে ফেরি
করে তরমুজ বিক্রি করেন এসব মৌসুমী
ব্যবসায়ীরা। সারাদিন বেচাকেনা করে যা পান
তা দিয়ে সংসার চলে
তাদের। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে এসব ব্যবসায়ীদের।
মৌসুমী তরমুজ ব্যবসায়ী কামরুল হোসেন জানান, পঞ্চাশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে তিনি এ মৌসুমে ব্যবসা শুরু করেন। চাহিদা বেশ ভালো থাকায় ভোলা থেকে তরমুজ কিনে এনেছেন তিনি। কয়েকদিনের হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টিতে বেচাকেনা গত এক সপ্তাহ থেকে কমে গেছে। অনেক তরমুজে পানি লেগে পচন লেগেছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
শহরের
কয়েকজন তরমুজ ক্রেতা বললেন, আগে আকারভেদে যে
তরমুজ কিনতে হতো ৫০০ টাকায়
এখন তা ১০০ টাকায়
কিনতে পারছেন। তবে আগের মতো
সে স্বাদ নেই বললেই চলে
বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা।
পৌর
শহরের বাগবাড়ি এলাকার তরমুজ ব্যবসায়ী মিন্টু জানান, রমযানের শুরুতে তরমুজ বিক্রি ভালো ছিলো। একেকটি
তরমুজ আকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০
টাকায় বিক্রি হতো। এখন বৃষ্টির
কারণে তরমুজে পচন ধরায় লোকসানের
মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।
বাজারে ক্রেতারও তেমন আগ্রহ নেই
সুস্বাদু এ তরমুজ কিনতে।
লক্ষ্মীপুর
সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় ফলের আড়ত
তালতলা ফল বিতানের মালিক
আরিফ জানান, মৌসুমের শুরুতেই তরমুজের চাহিদা বেশ ভালো ছিলো।
রমযানে ইফতারে তরমুজ লোভনীয় একটি পণ্য হিসেবে
থাকলেও এমৌসুমে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এর চাহিদা কমে
গেছে। বৃষ্টিতে পানি লেগে তরমুজে
পচনও ধরতে শুরু করছে।
ফলে লাভতো দূরের কথা চালান মিলাতে
কষ্ট হচ্ছে বলে জানালেন এই
ফল ব্যবসায়ী।
লক্ষ্মীপুর প্রাকৃতিক দুর্যোগ তরমুজ ব্যবসায়ী তরমুজ
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।