ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনকালীন সরকার: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা এবং নিরপেক্ষ উপদেষ্টার প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। বিএনপি বলেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, সংবিধানের আওতায় সবকিছু হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মৃত। প্রধানমন্ত্রী তিন দেশ সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে সংসদে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারেন। তবে কূটনৈতিক মহল থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে একটি সমঝোতার জন্য আপস-রফার চেষ্টা চলছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নির্বাচনকালীন সরকারের কি কি ব্যবস্থা থাকা উচিত তার একটি প্রস্তাবনা এবং রুপরেখা তারা চূড়ান্ত করেছে। এই রূপরেখা নিয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বিএনপি এখন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে আসেনি। তবে কূটনৈতিক মহল আশা করছেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতা হবে।

কূটনৈতিক অঙ্গন থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের যে রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে নিরপেক্ষ উপদেষ্টাদের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের ১০ জন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ উপদেষ্টা থাকবেন। এই উপদেষ্টারা প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিবেন, উপদেষ্টাদের পরামর্শ অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের সীমাবদ্ধ ক্ষমতা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে উপদেষ্টারাই থাকবেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিরপেক্ষ উপদেষ্টা হিসেবে কারা থাকবেন—এ বিষয়টি নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ আলোচনা হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এটি ছাড়াও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কূটনৈতিক মহল কতগুলো প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো নির্বাচন তদারকির জন্য সেনা মোতায়েন এবং সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ। 

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের একটি প্রচলিত রীতির রয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর থাকে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে গত নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার দাবি করা হয়েছিল। যদিও সেই দাবি নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেনি। এবার কূটনৈতিক মহল থেকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা মোতায়ন এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি বলা হচ্ছে। এছাড়াও নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের সার্বিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পণ করা, নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনের রদবদল ক্ষমতা সরকারের হাত থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষকদের অবাধ ক্ষমতা প্রদান এবং তাদেরকে নির্বাচনী বুথে যাওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে সমঝোতা প্রস্তাবই হোক না কেন তা সংবিধানের আওতায় হতে হবে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো সমঝোতা প্রস্তাব হবে না। আওয়ামী লীগ এটাও বলছে, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ গুলো যেমন; ব্রিটেন বা ভারতে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশেও একই রকম হবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন ওয়েস্টমিনিস্টার ডেমোক্রেসি অনুসরণ করা হবে। সেই বিবেচনায় আগামী নির্বাচনকালীন সরকার যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হচ্ছে—এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে বিএনপি প্রধান আপত্তি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে। তারা বলছে যে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেই ক্ষমতা অপরিসীম। এই ক্ষমতা থাকলে উপদেষ্টামন্ডলী যতই নিরপেক্ষ হোক বা নির্বাচন কমিশনকে যতই ক্ষমতা দেয়া হোক না কেন তাদের কিছু করার থাকে না। যদিও এই মতের সাথে একমত নন কূটনীতিকরা। 

তারা মনে করেন যে নির্বাচন যেহেতু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং উপদেষ্টামন্ডলী থাকবে নিরপেক্ষ কাজেই নির্বাচনে কোনো রকম ক্ষমতা প্রয়োগ বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবেই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। কূটনৈতিক মহল চায় যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। বিএনপিকে অংশগ্রহণ করার জন্য একটি একটি সমঝোতা বিভিন্ন দিক নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। 

নির্বাচনকালীন সরকার   সেনাবাহিনী   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী-এমপিদের ফেসবুক আইডি ‘ভেরিফায়েড’ করে দিবে সরকার

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেক (ভুয়া) ফেসবুক আইডি খুলে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এসব বন্ধে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ কী তা জানতে চান।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ‘আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের (যাচাইকৃত) জন্য পাঠালে আমরা ভেরিফাই (যাচাই) করে দেব। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, তারা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার জন্য আবেদন করতে পারে এবং সে অনুযায়ী ভেরিফায়েড হয়ে থাকে। তবে এটা শুধু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংসদ সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির উদ্যোগে তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলো ভেরিফায়েড করা হয়েছে।

মেটা প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করার নিয়ম

মেটা বলছে, দুইভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে, ভেরিফায়েড ব্যাজ। অর্থাৎ আবেদনকারী যেসব তথ্য দেন, সেগুলো এবং তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক পেজে যেসব কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে, সেগুলো যাচাই–বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকটি হচ্ছে, মেটা ভেরিফায়েড। এটা টাকা দিয়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশনের ভিত্তিতে ভেরিফায়েড। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা–সংক্রান্ত নানা সেবা, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এ ভেরিফিকেশন শুধু ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে হয়, কোনো পেজের জন্য নয়।

দুই পদ্ধতির যেভাবে ভেরিফায়েড হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই অ্যাকাউন্টের পাশে ব্লু টিক (নীল চিহ্ন) থাকে।

ভেরিফায়েড ব্যাজ পেতে অ্যাকাউন্টধারীকে অবশ্যই মেটার শর্ত ও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস মেনে চলতে হবে। এতে অবশ্যই মেটার নীতি অনুযায়ী প্রোফাইল, কভার ফটো ও নাম থাকতে হবে। অ্যাকাউন্ট অবশ্যই প্রকৃত ব্যবহারকারীর হতে হবে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। একটি সঠিক বায়ো (পরিচিতি) এবং অন্তত একটি পোস্ট থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টটি সুপরিচিত, অনেক বেশি অনুসন্ধান করা ব্যক্তি, ব্র্যান্ড বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো সরকারি কোনো পরিচয়পত্র দিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বর বা পরিষেবা বিলের অনুলিপি, নিবন্ধন নম্বর বা করের কাগজ, প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের অনুলিপি লাগবে।

আবেদনের সঙ্গে এসব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যদি আবেদন বাতিল করে, তাহলে ৩০ দিন পর আবার আবেদন করা যাবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট/পেজ ভেরিফায়েড করতে কোনো টাকা লাগে না।

অন্যদিকে মেটা ভেরিফায়েড সেবা শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য। এর জন্যও সরকারি পরিচয়পত্র লাগবে। পাশাপাশি ভেরিফায়েড হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগবে, যার মাপকাঠি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের জন্য আলাদা।

মন্ত্রী-এমপি   ফেসবুক আইডি   ভেরিফায়েড আইডি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এই লাইন বধিত হচ্ছে নতুন নকশায়। যা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের আশুলিয়া নয়, বর্ধিত হবে টঙ্গী পর্যন্ত।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বর্ধিতাংশ আসছে বছর কমলাপুরে পর্যন্ত চালু হবে।

এদিকে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।

উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরো একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ঐ অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে।

তিনি বলেন, যদিও প্রাথমিক পরিকল্পনায় এখনই এ অংশের কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল না। তবে এবার দ্রুত এ পথে হাঁটতে চায় ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত নকশা হবে। এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।


মেট্রোরেল   বাংলাদেশ   ঢাকা   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট অসিম জাওয়াদ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মেবিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ বহনকারী বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর হেলিকপ্টার থেকে তার কফিনবন্দি মরদেহ কাঁধে করে নামিয়ে আনেন বিমানবাহিনী সদস্যরা। পরে নিহত অসিমকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ছেলের কফিনবন্দি মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা।

পরে দুপুর ২টার দিকে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে জুমার নামাজের পর পাইলট আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পর লাশবাহী গাড়িতে করে মরদেহ সেওতা কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে দাফন করা হয় এই পাইলটকে।

এদিকে পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ শেষবারের মতো এক নজর দেখতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ তার স্বজনরা। অসিমের মরদেহ বহনকারী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার করে তার বাবা আমানউল্লাহ, স্ত্রী অন্তরা আক্তার দুই সন্তানসহ স্বজনরা সেখানে নামেন। সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত অসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট অসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।


মানিকগঞ্জ   চিরনিদ্রায়   পাইলট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাত্র সন্তান বৈমানিক অসিম জাওয়াদকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ। সন্তানের লাশ সামনে রেখে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও একমাত্র সন্তানকে তারা বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেখে সন্তান এভাবে চলে যাবে- সেটা কখনো ভাবতে পারেননি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন ।

ড. আমান উল্লাহ বলেন, আমি তো ডাক্তার, আমি জানি কতটা জীবন ঝুঁকি আছে এ দায়িত্বে। ওর মাও নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওর পছন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ঝুঁকি জেনেও বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিনি যে, আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ও শুধু আমাদের ছেড়ে যায়নি। ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকেও ছেড়ে গেল। আমি জানি না, ওর মতো করে বাচ্চাগুলোকে পালন করতে পারব কিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। 

কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পাইলট অসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেটিং অ্যাপসে বান্ধবীকে বিক্রি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা. সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।

সেখানে মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট করার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। রুম ডেটের কথা বলে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও নিয়েছে কারও কারও কাছ থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ বাজারও নিয়েছে।

নিজের ছবিতে যখন আর কাজ হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য বিকাশে টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন। অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অডিও ও মেসেজের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

বান্ধবীর দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন অন্য কেউ আর প্রতারিত না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করার পরই নিজের ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


ডেটিং   অ্যাপস   বিক্রি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন