আন্দারমানিক নামটি শুনলেই মনে ভেসে ওঠতে পারে আধাঁরের মধ্যে হয়তো আলোর ঝলকানি। কিন্ত
গ্রামটির পুরোটা এত অন্ধকার যে, মনে হয় যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন গ্রাম। শিশুদের
জন্য ৪ কিলোমিটারের মধ্যে সরকারি কোন প্রাইমারি স্কুল নেই, ভালো রাস্তা নেই, বর্ষাকালে
হাঁটা যায় না। এ গ্রামে কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। প্রাথমিক চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা
নেই। গ্রামের এক মাত্র কাঁচা রাস্তাতে ৭-৮ ফুট উচূঁ একটি কালভার্ট গ্রামকে দ্রুত
যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এ গ্রামেই রয়েছে ৯টি ইটভাটা। প্রায় সময় হয় চুরি,
ডাকাতি।
শিক্ষায় অবহেলিত
ও দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চিত এ গ্রামের নাম দক্ষিণ আন্দারমানিক। গ্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার
আয়তনের এ গ্রামে ৩ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারিগঞ্জ
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এ গ্রামে কোন জনপ্রতিনিধির পা পড়েনি বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ।
এখন ক্ষুব্দ
গ্রামবাসীরা রাস্তা ও স্কুলের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
সরেজমিনে গেলে
স্থানীয়রা জানায়, উন্নয়ন বলতে গত বছর পাঁচেক আগে সরকারের শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের
আওতায় গ্রামটিতে বিদ্যুৎ এসেছে। এছাড়া আর কিছুই হয়নি।
কৃষক মোঃ নোমান
জানায়, গত ৪০ বছরের মধ্যে এ গ্রামের রাস্তায় একমুঠো মাটি পড়েনি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
এ গ্রাম এড়িয়ে চলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা সংসদ সদস্য কেউই জীবনে এ গ্রামে আসেনি।
শুধু নোমানই না, তার সাথে গ্রামের অন্তত ৫০ জন মানুষের সাথে কথা বললে সবাই একই অভিযোগ
করেন।
রিকসা চালক
হাসান জানায়, গ্রামের শিশুদের জন্য সরকারি প্রাইমারি স্কুল নেই। গ্রামের বেশির
ভাগ শিশু স্কুলে যেতে পারে না। গ্রামবাসীদের অনুদানে চলা একমাত্র বেসরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়টি ঠিক মতো চলতে পারছে না। কারণ শিক্ষকরা বেতন পায় না, সরকারের কোন প্রকল্প
থেকেও কোন সহায়তা নেই। তাই বিনে পয়সায় আর কত দিন ?
মোঃ শামছুল
আলম কাবুল নামের এক ব্যক্তি জানায়, পুরো গ্রামের সব মানুষ কৃষক ও শ্রমজীবি। তাদের সন্তানদের
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ৫৫ বছর আগে মোঃ শামছুল আলম কাবুলের বাবা আক্তারুজ্জামান নিজে
নিরক্ষর থাকা সত্ত্বেও গ্রামে একটি স্কুল স্থাপনের জন্য ৫০ শতক জমি দান করেছিলেন।
পরে গ্রামবাসীরা
সেই জমিতে গড়ে তোলেন দক্ষিণ আন্দারমানিক এ জামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নিরক্ষর ও কৃষক গ্রামবাসীদের দান অনুদানে ১৯৯১ সাল থেকে বিদ্যালয়টি নানা সমস্যার
মধ্য দিয়ে ৩৩ বছর পার করছে। এর মাঝে দেশব্যাপী ২৬ হাজার বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও
একমাত্র বাদ পড়ে দক্ষিণ আন্দারমানিক এ জামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
প্রধান শিক্ষক
মোঃ লুৎফর রহমান জানায়, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন বিনা বেতনে গ্রামের প্রায় আড়াইশ ছাত্রছাত্রীদের
পড়াশোনার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্ত তাদেরও তো সংসার রয়েছে। আমরা সরকার কিংবা অন্য কোন
সংস্থা থেকে কোন প্রকার দান অনুদান পাই না।
মোঃ লুৎফর রহমান
জানায়, এর মাঝে আরো করুণ বিষয় হলো, ২০১৯ সালে ঝড়ে এ বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি উড়িয়ে
নেয়। তখন আমরা চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের নিকট সহযোগিতার
জন্য বারবার সশীররে গিয়ে দরখাস্ত করি। কিন্ত কেউই ৫ টাকা দিয়েও সহযোগিতা করেনি। অথচ
প্রতিদিন আমরা শুনি সব জায়গায় নাকি সরকারের সহযোগিতা রয়েছে।
অন্যদিকে কমান্ডার
মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি জানায়, গ্রামের মাঝ বরাবর একমাত্র কাঁচা রাস্তাটিতে
রয়েছে রাস্তা থেকে ৭-৮ ফুট ওপরে সুউচ্চ একটি ভাঙ্গা কালভার্ট। কালভার্টির কারণে গ্রামের
কাঁচা রাস্তাটিতে রিকসা, সাইকেল চলতে পারে না। এ গ্রামে সহজে কেউ যাতায়াত করতে পারে
না। নানা দিকে গ্রামবাসীর কষ্টের শেষ নেই।
মোঃ আইম্যান
নামের এক তরুণ জানায়, গ্রামে প্রায় সময় চুরি, ডাকাতি হয় এবং অপহরণের ঘটনাও ঘটছে। আইন
শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো না। এ তরুণ জানায়, উন্নয়ন বলতে গত বছর পাঁচেক আগে সরকারের
শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের আওতায় গ্রামটিতে বিদ্যুৎ এসেছে। এছাড়া আর কিছুই হয়নি। তবে গ্রামবাসীর
এত কষ্টের মাঝেও এ গ্রাম জুড়ে রয়েছে ৯টি ইটভাটা। ইটভাটা গুলো গ্রামবাসীদের কষ্টকে আরো
বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ আন্দারমানিক
এ জামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন জানায়, গ্রামের
একমাত্র বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রাখতে আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। বিভিন্ন দপ্তরে হাটঁতে হাটঁতে
এখন ক্লান্ত। গ্রামে ভালো রাস্তা নেই, বর্ষাকালে হাঁটা যায় না। এ গ্রামে কেউ আত্মীয়তা
করতে চায় না। চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।
তিনি ক্ষোভের
সাথে জানান, পত্রিকায় একটি সংবাদ দেখে অবাক হয়েছি যে, গত ৬ মার্চ তারিখে লক্ষ্মীপুর
জেলার প্রথম স্মার্ট ভিলেজ হিসেবে যে গ্রামের গেইট উন্মোচন করা হয় সে স্মার্ট
হোসেনপুর গ্রাম এবং চরম উন্নয়ন বঞ্চিত দক্ষিণ আন্দারমানিক গ্রাম একই ইউনিয়ন তেওয়ারিগঞ্জে
অবস্থিত।
মোহাম্মদ সিরাজ
উদ্দিন জানায়, এটা আমাদের জন্য লজ্জার আর অপমানের। কারণ আমরা বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম
করছি। কিন্ত একই ইউনিয়নের আরেকটি গ্রাম বিলাসি হচ্ছে। আমরা এর বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম
সৃষ্টিকর্তার ওপর।
তিনি এমন বৈষম্য
দূর করার জন্য দক্ষিণ আন্দারমানিক এ জামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ
এবং গ্রামের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারসহ উন্নয়নের দাবি জানান।
এসব বিষয়ে জানতে
চাইলে তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হোছাইন জানান, তিনি নিজে
এলজিএসপি প্রকল্পের একটি তালিকায় দক্ষিণ আন্দারমানিক এ জামান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
অন্তর্ভুক্ত করে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন। তবে উপজেলা পিআইও অফিস তালিকা থেকে বিদ্যালয়টির
নাম কেটে দিয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের মাটির রাস্তায় চেয়ারম্যানের কোন কিছু করার নেই বলে
জানান তিনি।
একই বিষয়ে জানতে
চাইলে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, গ্রামটির বিষয়ে
কেউ তাকে জানায়নি। এখন যেহেতু জেনেছেন তাই শীঘ্রই তিনি এলাকাটি পরিদর্শন করে গ্রামের
রাস্তা ও বিদ্যালয়টির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।
বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।
মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।
ঝড় বজ্রসহ বৃষ্টি আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।