দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনির শ্রমিক-কর্মচারীরা এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে খনি স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ডের এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে খনি শ্রমিক, খনির উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হেদায়েতের মধ্যদিয়ে মধ্যপাড়া পাথর খনির সকল ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, এ বিশ্বাস নিয়ে খনির উৎপাদন ও উন্নয়নকাজে নিয়োজিত কর্মচারী ও শ্রমিকগণ গত শক্রবার বিকেলে খনির ওয়েলফেয়ার ভবন চত্বরে এ বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। পবিত্র ক্বোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শুরু করা হয়।
বিশেষ
দোওয়া ও মিলাদ মাহফিল
পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান
অতিথি বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী
চিন্তাবিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর গভর্নর ও
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির উপদেষ্টামন্ডলী সদস্য ও চেয়ারম্যান খন্দকার
গোলাম মওলা নকশেবন্দী, বিশেষ
অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমান
সরদার। এতে খনির ৭
শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে
উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল শুরুর পূর্বে এক সংক্ষিত আলোচনা
সভায় শ্রমিকরা বলেন, আমরা এ দেশের
অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে
দিনরাত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম
করে জিটিসি’র মাধ্যমে খনির
উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাকা
সচল রেখে লোকসানী এ
খনিকে পর পর ৪
বারের মত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে
পরিনত করেছি। কিন্তু বর্তমানে এই খনির উৎপাদন
ও উন্নয়ন নিয়ে এবং শ্রমিকদের মজুরী
বন্ধের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। যারা
এই চক্রান্তÍ জড়িত তাদের হেদায়েতের জন্য আমরা এই
ব্যতিক্রমী দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের
আয়োজন করেছি।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার বক্ততারা বলেন,
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামার্নীয়া—ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) কে সহযোগিতা না
করে খনি কতৃর্পক্ষ শুরু
থেকে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে, নানা
চক্তান্ত করে, খনির উন্নয়ন
ও উৎপাদনে বাধা সৃষ্ঠি করেই
আসছে। তা সত্বেও জিটিসি
ও এখানে কর্মরত প্রায় এক হাজার শ্রমিক—কর্মচারী দেশ ও পরিবারের
কথা বিবেচনা করে খনির উন্নয়ন
ও উৎপাদন সচল রেখে চলেছে
এবং খনিটিকে দেশের উন্নয়নের একটি অনন্য মডেল
হিসেবে প্রতিষ্ঠ করেছে।
শ্রমিকরা
অভিযোগ করেন, খনি কতৃর্পক্ষ নগদ
টাকায় পাথর বিক্রি করে
অথচ জিটিসিকে সময়মত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে না। এতে
খনির উন্নয়ন উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। খনির উন্নয়ন এবং
উৎপাদন বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জ¦ালানী
ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন
তারা। এসব অভিযোগের ব্যাপারে
মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা
পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আবু দাউদ মুহাম্মদ
ফরিদুজ্জামানের সাথে একাধিকবার মোবাইল
ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তিনি
ফোন রিসিভ না করায় তার
মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে
খনি থেকে প্রতিদিন সাড়ে
৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন
করা হচ্ছে। গত মে মাসেই
রেকর্ড ১ লাখ ৩৮
হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন
করা হয়। এসব ঘটনাই
প্রমান করে মধ্যপাড়া পাথর
খনির খনির উন্নয়ন, উৎপাদন
ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
জিটিসি কতটা সফল!
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।