ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়?

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফর শেষে আজ বিকেলে গণভবনে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন এবং দলের ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সাধারণত প্রতি ঈদ প্রধানমন্ত্রী গণভবনে করেন এবং গণভবনেই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। তবে এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। ঈদের পর দিনই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি দুইদিনের গোপালগঞ্জ সফর করেছেন এবং সেখানে দলের ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পুনরায় নৌকায় ভোট দিতে আহ্বান করেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফর এবং সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় রাজনীতিতে বিশেষ নতুন কোনো বার্তা কিনা তা নিয়ে রাজনীতিতে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোনো আসন থেকে সজীব ওয়াজেদ জয় নির্বাচন করছেন কিনা সেই প্রশ্নটিও সামনে চলে আসছে।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের গোপালগঞ্জ সফর নিশ্চিত সেখানকার মানুষের জন্য আলাদা একটা মাত্রা যোগ করেছে। কারণ তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তারই পরামর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে এবং তার যোগ্যতা ও তরুণ প্রজন্মের কাছে তার জনপ্রিয়তার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সবসময় চেয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি রাজনীতিতে আসুক। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিক এবং দেশের মানুষকে নেতৃত্ব দিক। তবে সরাসরি রাজনীতিতে আসা না আসা সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আর আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারে সুনিদিষ্ট তথ্য জানা নেই।



আওয়ামী লীগের অন্য আরেকজন নেতা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সরাসরি রাজনীতিতে না আসলেও রাজনীতিতে তার অংশগ্রহণ আছে। কারণ দলের সন্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র হিসেবে তিনি তার মাকে সহযোগিতা করছেন। 

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় এবার জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হোক বা না হোক সেটি আলাদা বিষয়। তবে তিনি যে নির্বাচনে বড় অবদান রাখবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এর আগে আমরা দেখেছি যে, ২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিল তার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। অর্থাৎ তিনি সরাসরি নির্বাচনে না করলেও নির্বাচনে তার একটি বড় প্রভাব থাকবে বা তার উপস্থিতি থাকবে সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। তবে তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। সেজন্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

নির্বাচন   সজীব ওয়াজেদ জয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা কী ৩৫ হচ্ছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন। 

তিনি বলেছেন, বিশ্বের ১৬২ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর। আবার অনেক দেশে চাকরিতে বয়স প্রবেশ উন্মুক্ত। নেই বয়সসীমার বালাই। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করে মহিবুল হাসান চৌধুরী মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালে ৩৫ বছরের চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে বলে তার ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন। এমনকী চীনের চাকরিতে বয়সসীমা ৪০ বছর। সেক্ষেত্রে সার্বিক বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩৭ বছর এবং পুলিশের এসআই ও সার্জন নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ডিও লেটার ইতোমধ্যে পেয়েছে। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন যে, এই নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। 

এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি চাকরি বয়সসীমার বৃদ্ধির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়টা যুবলীগের এই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছিল এবং সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির বয়সও বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে এখন সেশনজট নেই। শিক্ষার্থীরা ২৫ বছর বয়সেই তার শিক্ষা জীবন শেষ করেন। এ কারণে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী তখন নাকচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান যখন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে ডিও দিয়েছেন তখন এটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

মহিবুল হাসান একজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের স্পর্শকাতর নীতি নির্ধারণী বিষয় তিনি ডিও দিলেন কেন-এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা হচ্ছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি যদি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে তার মনোভাব ব্যক্ত করতে চাইছেন, সেটাতে ডিও দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিনা সেটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। 

অনেকে বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেখা করে সরাসরি তিনি বিষয়টা উত্থাপন করতে পারতেন। সেটি না করে একটি ডিও দিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক স্ট্যান্ড কিনা তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এই কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে অনেকে মনে করে।

কেউ কেউ মনে করছেন, সরকার হয়ত বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের যা বলেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইতিবাচক কোন মনোভাব গ্রহণ করা হয়নি বা প্রধানমন্ত্রীর আগের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়েছে এমন কোন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তাহলে মহিবুল হাসান চৌধুরী একজন দায়িত্ববান এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে কীভাবে এই ডিও লেটারটি দিলেন। এটি কী সরকারের সমন্বয়হীনতার একটি প্রতিফলন নাকি সরকার সত্যি সত্যি চাকরির বয়সসীমার ব্যাপারে দেখতে চায়।

বর্তমানে চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। যদিও বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। আবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চাকরির বয়স ৬৭ বছর। এই বাস্তবতা বিচার করে অনেকে মনে করেন যে, চাকরির অবসর বয়সের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য আনা দরকার। সেই বিষয়টিকে বিবেচনা করে চাকরির অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিও একটি আলোচিত এবং কাঙ্খিত বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে সরকার চাকরির বয়সসীমা বাড়াবে কিনা সেটি নিয়ে এখন একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। 

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবেনি।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে উপজেলা নির্বাচন: শেষ সময়ের প্রচারে ব্যস্ত জেলার সভাপতি-সম্পদাক

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ মে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান ইমান আলী মোল্লার পক্ষে প্রচারণায় নামেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সোমবার (৬ মে) ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রচারণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফসহ জেলা আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতাকর্মী।

এসময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী  শামসুল আলম চৌধুরীর আনারশ মার্কা, ভাইস চেয়ারম্যান ইমান আলী মোল্লার চশমা মার্কা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আহমেদ মেহেবির কলস মার্কার পক্ষে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বেশকিছু সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাকে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিতে দেখা যায়।

ফরিদপুর   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিয়ের মাত্র ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে চাঁদপুরের এক ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  

মারা যাওয়া নারীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। পারিবারিক কোন্দল নাকি অন্য কোনো কারণে নুসরাত আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ জানেন না।

গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত গলায় ফাঁস দিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, আমরা লাশ থানায় এনেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ছাত্রলীগ   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৬:৫৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।


এর আগে, রবিবার (০৫ মে) সন্ধ্যায় আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ও শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন ফেসবুক লাইভে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 

 

নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন। 



এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।

 

অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’

 

উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   বর্জন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (আনারস) ও রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে (দোয়াত কলম) শোকজ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনকে ১২ ঘণ্টা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলকে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল (দোয়াত কলম) আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কর্মী-সমর্থক দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩ ও বিধি ৩১ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে গতকাল রোববার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

রিয়াজ উদ্দিনের নোটিশে বলা হয়েছে, রোববার (৫ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে অর্থ লেনদেনের চেষ্টা করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রার্থী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান ফজলু আনারস প্রতিকের টি-শার্ট পরে শহরের মাহমুদপুর এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী  রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। এমন কর্মকান্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৭ এর পরিপন্থি।

 

এ অবস্থায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উপজেলা পরিষদ বিধিমালা ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   শোকজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন