ইনসাইড বাংলাদেশ

রাণীনগরে সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ৫

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

নওগাঁর রাণীনগরে সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ৪ বছর বয়সি এক শিশু নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

 

সোমবার (২৪জুলাই) দুপুরে উপজেলার রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সোনাকানিয়া ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

 

নিহত শিশু হুমাইরা খাতুন (৪) জেলার ধামইরহাট উপজেলার চৌঘাট গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। আহতরা হলেন, উপজেলার লোহাচুড়া গ্রামের সিএনজি চালক লেবু হোসেন (৫০), মোটরসাইকেল চালক মোয়াজ্জেম হোসেন (৫২), গুয়াতা এলাকার মোসারব হোসেন (২৮), কালীগ্রামের সাব্বির (১৬) ও সাব্বিরের মা সালমা (৪৫)।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এদিন সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে আবাদপুকুর থেকে রাণীনগর আসছিল। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলটিও রাণীনগরের অভিমূখে রওনা দেয়। পথে মধ্যে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সোনাকানিয়া জোরা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে সিএনজি একটি ব্রিজ দিয়ে এবং মোটরসাইকেল অপর ব্রিজ দিয়ে সড়কে নামার সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সিএনজিটি যাত্রী নিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। আর মোটরসাইকেল চালক সড়কে ছিটকে পড়েন।

এতে সিএনজির যাত্রী, চালকসহ ৫ জন ও মোটরসাইকেল চালক আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক লেবু, সিএনজির যাত্রী শিশু হুমাইরা ও মোটরসাইকেল চালক মোয়াজ্জেমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল আড়াইটার দিকে শিশু হুমাইরা মারা যায়। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএনজি চালক লেবু ও মোটরসাইকেল চালক মোয়াজ্জেমকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।


নওগাঁ   শিশু নিহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা, নারীর ৬ মাসের কারাদন্ড


Thumbnail জাল ভোট দিতে আসায় নারীকে আটক

পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ভুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে শাহানাজ বেগম (২৫) নামের এক নারীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

 

রবিবার (২৮এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ভুরিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ১৬৪ নং পশ্চিম ভায়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনাটি ঘটে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহানাজ বেগম ভায়লা এলাকার নুরুল ইসলাম ফরাজির মেয়ে ও আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। 

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রে ছদ্মবেশে দ্বিতীয় বারের মতো ভোট দিতে আসে তখন অনেক এজেন্টদের তাকে সন্দেহ হয়। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি জাল ভোট দেয়ার কথা স্বীকার করেন।

 

এঘটনায় তাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইনের ১৮৬০ এর ১৭১এর চ ধারা অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

শাহানাজ বেগম একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীর পক্ষে দ্বিতীয় বার ভোট দিতে এসে ধরা খেয়েছেন বলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।


ইউপি নির্বাচন   জাল ভোট   নারী আটক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বানারীপাড়ায় গাজাসহ আটক ২ মাদক কারবারি

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বানারীপাড়ায় ২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কচুয়া গ্রাম থেকে ২ কেজি গাঁজা সহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বানারীপাড়া থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে বরিশালে আদালতে পাঠানো হয়। 

 

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে কচুয়া গ্রামের রতন আলী সরদারের পুত্র সোলায়মান সরদার (২৮) এবং সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত খালেক ঘরামীর পুত্র উজ্জ্বল ঘরামীকে গাজাসহ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে আটক করা হয়। পরে তাদের থানায় সোপর্দ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে চিহ্নিত এই মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করে বরিশাল ডিবি পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।


মাদক ব্যবসায়ী   আটক   ডিবি পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়েদের ছবি এডিট করে ব্ল্যাকমেইলিং, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ জন

সবার বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর। তারা প্রথমে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করতো। তারপর সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাতো ওইসব মেয়েদের। শুধু ভয় দেখানোই নয়, মোটা অংঙ্কের টাকা দাবিসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো তারা। এমনই একটি চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

এঘটনায় গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল ভাদুড়িয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭), পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর মহল্লার শাহিন মন্ডলের ছেলে ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া মহল্লার বকুল হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২)

পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়েদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে ‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’, ‘The Boss’, ‘The Roast House’, ‘সত্য কথন ইসলাম’, ‘পাবনার অজানা তথ্যসহ অন্যান্য ফেসুবক পেইজের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে আসছিল।

পরবর্তীতে ফেসবুক পেইজ থেকে উক্ত ছবিগুলো ডিলিট করার জন্য পেইজ এডমিনরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে আরো আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার হুমকি দেয়া হতো। এমন অভিযোগের পরই পুলিশ অভিযানে নামে।

অভিযানের এক পর্যায়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ‘Exposure & Confession Center Pabna-ECCP’ এর এডমিন ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন, ইমন আহাম্মেদ শাহরিয়ার কবির আকাশ এবং সত্য কথন ইসলাম এবং ‘The Boss’ পেইজের এডমিন হাসিবুল হাসান তন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পাবনা জেলায় এসব সাইবার ক্রিমিনালদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে বহু ভুক্তভোগী সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অনেকে, অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেশ কিছুদিন ধরেই পাবনা ডিবি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, এসব ক্রিমিনাল প্রযুক্তি বিদ্যায় অত্যধিক পারদর্শী এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। আসামিদের বাহিরে আরও বেশ কিছু গ্রুপের এডমিন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং করে যাচ্ছে। তারা সকলেই আমাদের নজরদারিতে আছে। যে বা যারাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার বুলিংয়ের জড়িত থাকুক না কেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।


ফেসবুক   ব্ল্যাকমেইলিং   গ্রেপ্তার   অশ্লীল ছবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ পুলিশের সাম্প্রতিক তথ্যা অনুযায়ী ঢাকা শহরে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের ৪০ শতাংশই কিশোর।

জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সক্রিয় ৭০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং। র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৭০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। 

এই কিশোররাই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে গ্যাং। একটা সময় ছিল, কিশোররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হতো, কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তারা ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, মাদকবাণিজ্য, চাঁদাবাজির মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পরবর্তি প্রজন্ম পড়ছে মারাত্মক হুমকিতে। আজকের কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে নেতৃত্ব দিবে আজকের প্রজন্ম। তাহলে সেই প্রজন্ম অপরাধ জগতের গ্যাং, কিশোর গ্যাংয়ে যদি পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ ও সুশিল সমাজ গঠণ এবং উন্নত জাতি পরিণত করা হতে পারে দূর্বিসহ।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার সন্তান কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা যেমন জরুরি, তেমনি সন্তানকে সময় দেওয়াও জরুরি। তার সঙ্গে গল্প করা, তার মনের অবস্থা বোঝা, তার কাছে বাবা-মার অবস্থান তুলে ধরা। সহজ করে বললে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধন খুবই জরুরি। এই বন্ধন যত শিথিল হয়, সন্তান তত বাইরের জগতে ছুটবে, তখন তাকে ফেরানোর কোনো রাস্তা থাকবে না।

যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোরাও অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচকতা বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিলে সুফল মিলবে। কারণ ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার।


কিশোর গ্যাং   প্রজন্ম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনে পাবনায় রোববার সকালে পাবনা জেলা আদালত চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়

'স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় লিগ্যাল এইড মেলা।

 

এরপর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক, জেলা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেওয়ান মজনুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু, সরকারি কৌঁসুলি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন।

 

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অসচ্ছল, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগণের সমান আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসন, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। যার মাধ্যমে একটি ন্যায় ভিত্তিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

 

অনুষ্ঠানে সরকারি খরচে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারি জজ বেগম পারুল আকতার।

 

সভায় জানানো হয়, পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে গত ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক বছরে ৩৩০ জন নারী, ২৪৭ জন পুরুষ, ৩ জন শিশুর মামলা পরিচালনার ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৪৫টি বিরোধের মধ্যে ১১৪ বিরোধ বিকল্প বিরোধ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

 

যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মোঃ তাজউল ইসলাম এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম সুমাইয়া সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু ওবাইদা সহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, কর্মচারী, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ এবং বিচার প্রার্থী জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে ২০২৩ সালে সেরা প্যানেল আইনজীবি হিসেবে আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্না রানী সরকারকে পুরস্কৃত করা হয়।


জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন