মার্কিন দু’জন কংগ্রেসম্যান চার দিনের সফরে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। আজ তারা রোহিঙ্গা এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসম্যান রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেইস গতকাল বাংলাদেশে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকগুলো থেকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সমঝোতার কোনো পথ আছে কি না, সেটা খুঁজে বের করার জন্য- সে ব্যাপারে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন। তবে তাদের সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় ছিল চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশ যেন চীনের প্রলোভনে পা না দেয়- এই বক্তব্যটি দুই কংগ্রেসম্যানের কাছ থেকে ওঠে এসেছে।
বিভিন্ন সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে, এই দুই কংগ্রেসম্যানকে আনা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেই উদ্যোগী হয়ে একজন ডেমোক্রেট এবং একজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে, তার পাল্টা হিসেবেই এই দুই কংগ্রেসম্যানকে আনা হয়েছে। কিন্তু তাদের আনার ফলাফল হিতে বিপরীত হলো কি না, সরকার খাল কেটে কুমির আনলো কি না?- এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রথমত, তারা যে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে চা-চক্রে মিলিত হয়েছিলেন, সেই বৈঠকে বিএনপি থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা আসেননি। বরং তৃতীয় শ্রেণীর নেতা পাঠিয়ে বিএনপি এ ধরনের বৈঠককে তাৎপর্যহীন করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও যারা গিয়েছিলেন, তারাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেন না। ফলে বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির সঙ্কট সমাধানে কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই দুই কংগ্রেসম্যান সুশীল সমাজের সাথে যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন মূলত সরকারের বিপক্ষে অবস্থানকারী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাই এবং এই বৈঠকের ফলে তারা উল্টো আরও একটি নেতিবাচক ধারণাই পেয়েছেন, বিশেষ করে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যানকে নেতিবাচক ধারণাই দিয়েছেন।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মার্কিন দুই কংগ্রেসম্যান নি:সন্দেহে তাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন এবং বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত তাদেরকে কিছু ধারণা দিয়েছেন। আর এই ধারণাগুলোর ফলে দুই কংগ্রেসম্যান যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সে উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে- তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভূমিকা রাখে, এফবিআই ভূমিকা রাখে, সিআইএ ভূমিকা রাখে, প্যান্টাগন ভূমিকা রাখে, হোয়াইট হাউজ ভূমিকা রাখে। একজন বা দুজন কংগ্রেসম্যান লবিং করতে পারেন বটে, কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে পারেন না। বাংলাদেশের ব্যাপারে যদি কোনো নেতিবাচক অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়েই থাকে, তাহলে এই দুই কংগ্রেসম্যানকে নিয়ে এসে আদৌ কি কোনো লাভ হবে? নাকি এই দুই কংগ্রেসম্যান এসে দেখলেন, সরকার যে কথাগুলো বলছে, বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। এর ফলে কি খাল কেটে কুমির আনা হলো না?
সরকার মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।
বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।
মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।
ঝড় বজ্রসহ বৃষ্টি আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।