ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ এবং সিআরআইয়ের প্রথম আলো-চরকি প্রেম

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

“নাম তার প্রথম আলো, বাস করে অন্ধকারে” জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলো সম্পর্কে এই উক্তিটি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রথম আলোর কাজ হল দেশের বিরোধিতা করা, জনগণের বিরোধিতা করা, আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করা। এর আগে তিনি সংসদে বলেছিলেন, আমি নিজের প্রথম আলো পড়িনা। প্রথম আলোর একমাত্র কাজ হল সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট খবর পরিবেশন করা। সেই প্রথম আলোতেই আজ শোকের দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বেদনায় ভরা দিন’ শিরোনামে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। যদিও লেখাটি গতকালই দেশের শীর্ষস্থানীয় সমস্ত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর আজ এটি প্রথম আলোতে কারা প্রকাশ করল, কিভাবে প্রকাশ করল—এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আজকে যখন প্রথম আলো আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ‘বেদনায় ভরা দিন’ শিরোনামে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে, তখন শোক দিবসেও প্রথম আলো সরকার বিরোধিতার যুদ্ধ থেকে সরে আসেনি। বরং প্রথম আলোতে প্রধান তিনিটি শিরোনামের মধ্যে রয়েছে, ‘ডিম–ভাজির নাশতাও ৬০ টাকার নিচে নয়’, ‘এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪০০ ছাড়াল’, ‘সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ইসি’ অর্থাৎ শোকের দিনও সরকারের সমালোচনা থেকে সরে আসেনি প্রথম আলো। যখন অন্যান্য পত্রিকাগুলো শোক দিবসে প্রথম পৃষ্ঠাজুড়ে শুধুমাত্র শোকাবার্তাময় ছবি এঁকেছে, শোকের আবহ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে দেশ রসাতলে যাচ্ছে এ রকম একটি আবহ তৈরি করেছে তাদের সংবাদের মাধ্যমে। 

এটিই প্রথম নয়। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রথম আলো অবিরতভাবে সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম ভয়ংকর সংবাদ পরিবেশন করছে। তাদের লক্ষ্য শুধু সাংবাদিকতা নয়, এই সংবাদগুলোর মাধ্যমে তারা সরকারকে যেমন অজনপ্রিয় করতে চায়, পাশাপাশি সরকারকে বিপদেও ফেলতে চায়। যেমন- ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’, কিংবা ভাতের স্বাধীনতা চাই—এ ধরনের সংবাদগুলো যেকোনো বিচারেই রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক। আর এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলো বর্জনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলো বর্জনের ডাক দিলে কি হবে, আওয়ামী লীগের মধ্যে, সরকারের মধ্যে প্রথম আলো প্রেমিকের সংখ্যা কম নয়। এর প্রমাণ পাওয়া গেল প্রধানমন্ত্রীর এই লেখাটায়। এই লেখাটি কি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে? এই লেখাটি কারা প্রথম আলোতে দিল? প্রথম আলো যদি সরকার, আওয়ামী লীগ বা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া এই লেখাটি প্রকাশ করে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর জবাব আওয়ামী লীগ, তথ্য অধিদপ্তর কিংবা প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং কি দেবেন?

এর চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা হল প্রথম আলোর মালিকানাধীন চরকি। যে চরকি এখন পর্যন্ত অনুমোদনহীন। চরকি একটি ওটিটি প্লাটফর্ম, যার প্রধান কাজ হল মাদকাসক্ত, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইত্যাদিকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরা এবং সরকারের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক সাংস্কৃতিক মনোজগৎ তৈরি করা। সেই কাজে চরকি সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ যখন চরকিকে আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন চরকিসহ সুশীল সমাজ এর প্রতিবাদে রীতিমত মাতম তুলেছেন। এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' আজ থেকে চরকিতে প্রচারিত হচ্ছে। 

চরকি বাংলাদেশের একমাত্র ওটিটি প্লাটফর্ম নয়। এখন আই স্ক্রিন, বিঞ্জ সহ একাধিক ওটিটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যারা চরকির চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। তাছাড়া ডটারস টেল যে আন্তর্জাতিক মানের এবং আবেগঘন তথ্যচিত্র, সেটি অনায়াসেই নেটফ্লিক্স বা প্রাইম ভিডিওতে প্রচারিত হতে পারে। নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও এধরনের তথ্যচিত্র হরহামেশাই প্রচার করছে। এমনকি বাংলাদেশের তথ্যচিত্র অ্যামাজন প্রাইম এবং নেটফ্লিক্সে প্রচারিত হয়েছে। তাহলে সিআরআই যারা ডটারস টেলের নির্মাতা এবং মালিক তারা এটি প্রথম আলো নিয়ন্ত্রিত বিতর্কিত চরকিতে দিল কেন? প্রথম আলোর সঙ্গে তাদের কি প্রেম?

সিআরআই আওয়ামী লীগের একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান যেটির চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি নিশ্চয়ই এ সম্পর্কে কিছু জানেন না। সিআরআই এর মধ্যে কোন ভূতেরা এই তথ্যচিত্রটি চরকিতে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিল, কারা সিআরআইয়ের ট্রাস্টিদেরকে এ ব্যপারে প্রলুব্ধ করল, এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যখন একধরনের যুদ্ধ করছে প্রথম আলো গোষ্ঠী, আর প্রকাশ্যে বিএনপিকে সমর্থন করছে, একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার করছে, তখন আওয়ামী লীগ ও সিআরআইয়ের প্রথম আলো ও চরকি প্রেম দেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই হতবাক।


আওয়ামী লীগ   সিআরআই   প্রথম আলো   চরকি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

একটা সময় ছিল সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতো। সেই সময় এসব সচেতন মানুষ কিশোরদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে প্রশ্রয় দিতেন না। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকেই তৎকালীন পূর্ববঙ্গে কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেলেও নব্বইয়ের দশক থেকে শিল্পায়ন ও নগরায়নের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিশোর গ্যাং তৈরির প্রবণতা। বিভিন্ন নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ পুলিশের সাম্প্রতিক তথ্যা অনুযায়ী ঢাকা শহরে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে তাদের ৪০ শতাংশই কিশোর।

জাতীয় দৈনিকের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় অন্তত ৫ শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সক্রিয় ৭০টিরও বেশি কিশোর গ্যাং। র‌্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ৭০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। 

এই কিশোররাই বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে গ্যাং। একটা সময় ছিল, কিশোররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে লিপ্ত হতো, কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তারা ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, মাদকবাণিজ্য, চাঁদাবাজির মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পরবর্তি প্রজন্ম পড়ছে মারাত্মক হুমকিতে। আজকের কিশোররাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে নেতৃত্ব দিবে আজকের প্রজন্ম। তাহলে সেই প্রজন্ম অপরাধ জগতের গ্যাং, কিশোর গ্যাংয়ে যদি পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ ও সুশিল সমাজ গঠণ এবং উন্নত জাতি পরিণত করা হতে পারে দূর্বিসহ।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছে, আপনার সন্তান কী করছে? কার সঙ্গে মিশছে, তা জানা যেমন জরুরি, তেমনি সন্তানকে সময় দেওয়াও জরুরি। তার সঙ্গে গল্প করা, তার মনের অবস্থা বোঝা, তার কাছে বাবা-মার অবস্থান তুলে ধরা। সহজ করে বললে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধন খুবই জরুরি। এই বন্ধন যত শিথিল হয়, সন্তান তত বাইরের জগতে ছুটবে, তখন তাকে ফেরানোর কোনো রাস্তা থাকবে না।

যেকোনো সামাজিক সমস্যায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগ। এই সময়ে শিশু-কিশোরাও অনলাইনে অনেক কিছু দেখে, যার ভেতর নেতিবাচকতা বেশি এবং তারা সহজেই সংগঠিত হয়। শহরগুলোতে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই, সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। শরীরচর্চা, খেলাধুলার সঙ্গে সংস্কৃতিচর্চা থাকলে কিশোর-তরুণরা অপরাধ ও মাদক থেকে দূরে থাকে। সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। পথশিশু ও অভিভাবকহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এনে সুশিক্ষিত করতে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিলে সুফল মিলবে। কারণ ভালো নাগরিক হতে তাদের শিক্ষা ও ভালো পরিবেশ দরকার।


কিশোর গ্যাং   প্রজন্ম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপনে পাবনায় রোববার সকালে পাবনা জেলা আদালত চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়

'স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় লিগ্যাল এইড মেলা।

 

এরপর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক, জেলা জজ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেওয়ান মজনুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু, সরকারি কৌঁসুলি হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন।

 

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অসচ্ছল, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত জনগণের সমান আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসন, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। যার মাধ্যমে একটি ন্যায় ভিত্তিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

 

অনুষ্ঠানে সরকারি খরচে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারি জজ বেগম পারুল আকতার।

 

সভায় জানানো হয়, পাবনা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে গত ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক বছরে ৩৩০ জন নারী, ২৪৭ জন পুরুষ, ৩ জন শিশুর মামলা পরিচালনার ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৪৫টি বিরোধের মধ্যে ১১৪ বিরোধ বিকল্প বিরোধ পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

 

যুগ্ম জেলা দায়রা জজ মোঃ তাজউল ইসলাম এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম সুমাইয়া সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জেলা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ আবু ওবাইদা সহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, কর্মচারী, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ এবং বিচার প্রার্থী জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে ২০২৩ সালে সেরা প্যানেল আইনজীবি হিসেবে আবু বকর সিদ্দিক স্বপ্না রানী সরকারকে পুরস্কৃত করা হয়।


জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোরবানির পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদি পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নাই। দেশি গবাদি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। গবাদি পশুর বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সরকার এ বিষয়ে সতর্ক আছে।’

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে ফরিদপুরের মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী এসব কথা।

এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘ফরিদপুরে মধুখালীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগ এবং দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। পলাতকদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান প্রতিনিয়ত চলছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে অপরাধীদের আটক করা সম্ভব হবে।’

কোরবানি পশুর প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর এক কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ কোরবানির পশুর প্রয়োজন হতে পারে। সে হিসেবে আরো প্রায় ৩০ লাখ পশু বেশি আছে। ঘাটে ঘাটে বাজারে যাতে কোথাও চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত বছরে প্রায় ১৯ লাখ গবাদি পশু অবিকৃত ছিল। এবারও অনেক পশু বেশি আছে তাই আমদানি করার প্রয়োজন নাই। সরকার দেশীয় খামারিদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না।’


প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায়। আজ বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।


স্বর্ণ   বাজুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে গাড়ি চাপায় অটো ভ্যান চালকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় বিল্লাল হোসেন (৩০) নামের এক অটো ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে উল্লাপাড়া পৌরসভার কাওয়াক মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহত বিল্লাল হোসেন উল্লাপাড়ার সেনগাঁতী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ওয়াদুদ জানান, ‘অটো ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে শ্যামলীপাড়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন। কাওয়াক মোড়ে তার গাড়ির এক্সেল ভেঙ্গে গেলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারায়। এ সময় দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি গাড়ি অটো ভ্যানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিল্লাল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'


সড়ক দুর্ঘটনা   গাড়ি চাপা   চালকের মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন