ইনসাইড বাংলাদেশ

৫ মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হতাশা

প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বর্তমান সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। পনেরো বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। জনগণের জীবন জীবনমান বিকশিত হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে, সুযোগ সুবিধা বেড়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তি, অন্যান্য ক্ষেত্রে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসন্তুষ্টি, হতাশা। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা প্রতিনিয়ত মানুষের অস্বস্তি এবং বেদনার কথা শোনেন। এই বেদনা এবং অস্বস্তি নিয়ে তারা আলোচনাও করেন। 

আওয়ামী লীগের একাধিক তৃণমূলের নেতা মনে করেন যে, ৫ জন মন্ত্রীর ব্যর্থতার দায় গোটা সরকারের ওপর আসছে এবং সরকারের সব অর্জনকে এই ৫ মন্ত্রী ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে দিচ্ছে। সরকারের অর্জন ম্লান করার জন্য ৫ মন্ত্রীকে দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। এদের মধ্যে রয়েছেন;

১. বাণিজ্যমন্ত্রী: ব্যর্থ মন্ত্রীদের তালিকায় শীর্ষ নামটি অবশ্যই বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বাজারে ডিম সহ কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে যে এই নির্ধারিত মূল্যের ধারের কাছেও পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রীর এ ধরনের আশ্বাস এবং পদক্ষেপ এটি প্রথম নয়। তিনি বিভিন্ন সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গুলো নিয়েছেন তার সবই অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। আর এ কারণেই বাজারের ওপর কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। এবারও সেই একই কাণ্ড ঘটলো। বরং এটির ফলে আরেক ধরনের অরাজকতা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একের পর এক ব্যর্থ দায়িত্ব জ্ঞানহীন তৎপরতার পরও তিনি কিভাবে দায়িত্বে আছেন এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের।
 
২. অর্থমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন অর্থনীতির অবস্থা নাকি খুবই ভালো। অর্থনীতি নিয়ে যারা সমালোচনা করে তারা অর্থনীতির কিছুই বোঝে না। অর্থমন্ত্রী নিজে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তাকে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে তিনি উদয় হন।  বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন শঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে গেছে। ডলারের সংকট নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার। ব্যাংক গুলোর অবস্থা ভালো নয় বলে প্রতিনিয়ত খবর বেরোচ্ছে। এর মধ্যে তিনি অর্থনীতি ভালো দেখেন কিভাবে। অর্থমন্ত্রী যদি কার্যকর এবং জোরালো হতেন তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না বলেই অনেকে মনে করেন।

৩. পররাষ্ট্রমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং সাফল্য তুলে ধরার কাজে ব্যস্ত তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাগামহীন কথাবার্তা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তার বক্তব্য নিয়ে বিব্রত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে  জো বাইডেনের সাথে কথা বলেছেন, জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। কিন্তু এই ঘটনাটিকে এমন ভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থাপনা করেছেন যে বিরোধী পক্ষ এটি নিয়ে এখন বিতর্ক করার সুযোগ পাচ্ছে। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন কূটনীতিবিদ। তিনি অকূটনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন কেন? এ প্রশ্ন আওয়ামী লীগের। 

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী, ভারতকে বলেছি বাংলাদেশে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে ইত্যাদি নানা রকম বিতর্কিত অকূটনৈতিক বক্তব্য দিয়ে হাসির পাত্র হয়েছেন। এই অবস্থায় স্পর্শকাতর একটি কূটনৈতিক পথ অতিক্রম করছে বাংলাদেশ বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।

৪. স্বাস্থ্যমন্ত্রী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর আগের মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবার তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পান। কিন্তু পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই তিনি একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য খাতে নানা ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং অনিয়মের পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্বিকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল। সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাউকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একের পর এক বড় বড় ঘটনাগুলোতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যদিও তিনি নিজেকে সফল মন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন।

করোনা মোকাবিলার সময়ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে আলোচিত হয়। এ রকম পরিস্থিতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ একাধিক ব্যক্তিকে সরে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেকে করোনা মোকাবিলায় সফল বলে দাবি করার চেষ্টা করেন। এখন ডেঙ্গুর যে অবস্থা তাতে হাসপাতালগুলোতে নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা না থাকার অভিযোগ উঠলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মশা নিয়ন্ত্রণ না করলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেউ বলেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সকলে চায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। কিন্তু তিনি সেটা দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন না সাধারণ মানুষ।

৫. বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী: বিদ্যুৎ ছিল সরকারের একটি বড় অর্জন। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের একটি বড় কারণ হল বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি এবং নানা রকম অনিয়ম বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। এছাড়াও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সুদূর প্রসারী জ্বালানি নীতির অভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আবার সংকটে মুখে পড়েছে।
 
এই ৫ মন্ত্রীর কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের সব অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই।


ব্যর্থ মন্ত্রী   আওয়ামী লীগ   সরকার   দ্রব্যমূল্য   বিদ্যুৎ সংকট   ডলার সংকট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুদকে প্রথম নারী ডিজি শিরীন

প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পেয়েছেন শিরীন পারভীন। তিনি সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন। নিজস্ব জনবল কিংবা প্রেষণ- যেকোনো পর্যায় থেকে দুদকের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী ডিজি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতির কথা জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর তৃতীয় গ্রেডে শিরীন পারভীনকে মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি দিয়ে এ আদেশ জারি করা হলো।

দুদক   দুদক মহাপরিচালক   শিরীন পারভীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশ: ০৭:১৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।

সরকারি চাকরি   শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কী তালগোল পাকাচ্ছেন?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।

এবার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মরিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন আগের শিক্ষামন্ত্রী নেই। ডা. দীপু মনি এখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মহিবুল হাসান চৌধুরী, যিনি ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছেন।

কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে? কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কেন পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে হবে এনিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন একের পর এক হিট অ্যালার্ট দিচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ যখন দিনদিন চড়ছে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একগুঁয়েমি করছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

সকলেই দাবি করেন যে এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। সেখানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সহজে যেতে পারে। এবং করোনার সময় শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া এবার যে গরম পড়েছে, যে কয়দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক স্বাস্থ্যহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি রুটিনের দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমনটি শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। সেই রুটিনে অনেকগুলো বন্ধ থাকে। বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে, যেটি জুনে হওয়ার কথা। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে গ্রীষ্মের ছুটি এবং অন্যান্য ছুটিগুলো কমিয়ে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কোন দুর্ঘটনার মধ্যে পতিত হয়, তাহলে এটির দায় দায়িত্ব শুধু একা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তাবে না, পুরো সরকারের ওপর বর্তাবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা মনে করেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জোর করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে নেয়ার ফলে একটি অবিশ্বাসের সম্পর্ক হচ্ছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্কের মেলবন্ধনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান চর্চার জন্য জরুরী। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কর্তৃপক্ষ জোর করে খোলা রাখে, তাহলে স্বাভাবিক পরিবেশটি নষ্ট হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করে যে, অস্থিরতা না করে, একগুঁয়িমে না করে শিক্ষামন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেবেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তার অবস্থান পুর্নবিবেচনা করবেন।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি বছরের মত এবারও দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে পরবর্তী ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ সম্পর্কিত  সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের স্বার্থে সমূদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময় ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক ক্যাম্পেইনও চালানো হবে।

সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল সংস্থা এবং মৎস্য আহরণ, বিপণন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সকল অংশীজনকে ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহবান জানান মৎস্য মন্ত্রী। এছাড়াও মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবিদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন এবং সভায় সরাসরি ও জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, নৌ বাহিনী, কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ, র‌্যাব সদর দপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক, উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণসহ মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য আহরণের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন, মেরিন হোয়াইট ফিশ ট্রলার ওনার্স এসোসিয়েশন, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 


মাছ ধরা   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় তীব্র রোদে আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:১৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail তীব্র রোদে ঝড়ে পড়েছে আমের গুটি

উত্তরের শস্য ভান্ডার বলা হয় নওগাঁকে। এই জেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয় সেই ধান দিয়ে এই জেলা চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায় বিক্রি করা হয়। ধানের পাশাপাশি আম উৎপাদনে পিছিয়ে নেই এই জেলার কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। নওগাঁর সব আম বাগান গুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা। তাই আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার আম বাগানী চাষীদের মাঝে।

টানা দুই সপ্তাহের টানা গরম তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষীরা। এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে এ সমস্যা রোধ অনেকটাই সম্ভব।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানূরুপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়। এমন পরিস্থিতিতে আমের নতুন রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই ফলন বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছেন চাষীরা।

বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। তপ্ত কড়াইয়ের মতো তেঁতে উঠেছে পথ-ঘাট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

পত্মীতলা উপজেলার আম চাষী কাজী ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। তিনি আরও বলেন, এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটি শূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারনা করছি।

পোরশা উপজেলার আম চাষি হাজি মিজানুর রহমান বলেন, এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাবো। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।

নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি কাজল কুমার মহন্ত বলেন, এবার ১৫বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচন্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্বকভাবে। কঠিণ পরিস্থিতে রয়েছি আমরা।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি

তিনি আরও বলেন,  এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারন আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমান আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।


আম   তীব্র রোদ   ফলন বিপর্যয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন