১ অক্টোবর ২০০১।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এর আগে জুলাই মাসে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় শান্তিপূর্ণ
ভাবে। কিন্তু ১ অক্টোবরের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে সারাদেশে
বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তান্ডব শুরু করে, শুরু হয় সন্ত্রাস, নারকীয়তার বিভৎস
উৎসব। ঐ সময়কার ঘটনা উঠে এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সহে
না মানবতার অবমাননা’ শীর্ষক লেখায়। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে আজ ৩ অক্টোবর
লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলো-
পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করে
যখন নির্বাচনে গেলাম তখন যে বিষয়টা লক্ষণীয় তা হলো জনগণের চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার
মিল হলো না। ভোট পেলাম জনগণের। ভোটের সংখ্যা বাড়ল কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারসাজিতে
আসন কমে গেল। আমাদের প্রতিপক্ষ চারদলের জোট ৬২ শতাংশ ভোট কমে গিয়ে দাঁড়ালো ৪৬ শতাংশ
কিন্তু আসন বেড়ে গেল। অস্বাভাবিকভাবে ৩০০-এর মধ্যে ২২০টি আসন পেল তারা। ৩৮ ভাগ ভোট
পেয়ে আমাদের দল যেখানে ১৯৯৬ নির্বাচনে পেয়েছিল ১৪৬টি আসন, সেখানে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে
আমরা পেলাম ৬২ আসন। এই অস্বাভাবিক বৈষম্য নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল। যদিও দেশি- বিদেশি
পর্যবেক্ষকের সার্টিফিকেট পেতে অসুবিধা হলো না।
খেসারত দিতে হলো আমার দেশের
মানুষকে, ভোটারদের এবং দলের নেতাকর্মীদের। শুরু হলো মানবাধিকারের চরম অবমাননা। সংবিধান
লঙ্ঘন, গুম- খুন, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, নির্যাতন, দখল, অমানবিক নির্যাতন এখনও চলছে। একটা
রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে খালেদা- নিজামী জোট
সরকার, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে রয়েছে সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। ফলে মুক্ত
স্বাধীনভাবে গণতন্ত্র চর্চা হয়ে উঠছে দুরূহ। শাসকগোষ্ঠীর খেয়াল খুশিমতো চলছে নিয়ন্ত্রিত
গণতন্ত্র।
ছোট্ট শিশুদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে,
হত্যা করা হচ্ছে প্রতিদিন। এসিড নিক্ষেপ, হাত-পা কেটে ফেলা, চোখ উপড়ে ফেলা, হাতুড়ি
দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা অথবা পঙ্গু করে দেওয়া প্রতিদিনের ঘটনা। মানবতার বিরুদ্ধে
প্রতিদিন সংঘটিত হচ্ছে শত শত অপরাধ। নির্যাতিত হবার পর বিচার চাইতে পারে না মানুষ।
ক্ষমতাসীনদের মন্ত্রী বা এমপির হুকুম ছাড়া পুলিশ মামলা গ্রহণ করে না। কোর্টের মাধ্যমে
করলেও দ্রুত ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে আসামিদের খালাস করে দেওয়া হয়। ফলে সশস্ত্র ক্যাডার
বাহিনী দ্বিগুণ উৎসাহে নতুন নতুন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। নির্যাতিত হয়েও
ভয়ে মানুষ মুখ খোলে না। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলার সাহস পায় না। কারণ
তাহলে আরও অত্যাচার হবে। এভাবে নির্যাতন সয়ে সয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে আমার দেশের
মানুষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এ রকম ভয়ালরূপ আগে কখনো আমরা দেখিনি, বিশেষ করে শিশু
ধর্ষণ ও হত্যা আমি যখন মানবাধিকারের কথা বলছি তখন বার বার আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে
আমার নির্যাতিত মেয়েদের ভয়ার্ত ব্যথিত চোখ। তারা যেন প্রশ্ন করছে আমাদের কি অপরাধ?
ভোট দেওয়া অপরাধ, একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা অপরাধ, অনেকের তো ভোটার হবারও বয়স
হয় নি, তারপরও কেন এ নির্যাতন ভোগ করা
বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা
যে দেশে থাকবে সে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও থাকবে। কিন্তু স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ
করলে যদি এভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হয় তাহলে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে বিশ্বাস
করি কিভাবে? ভোটের অধিকারই যদি না থাকে ভাতের অধিকার নিশ্চিত হবে কি করে? মানবাধিকার
সেখানে প্রতিনিয়ত ভূলুণ্ঠিত।
(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-২।। পৃষ্টা:২৯-৩০)
মানবতা অবমাননা শেখ হাসিনা অক্টোবর
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ- সভাপতি শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন।
এদিকে গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আবুল কালাম আজাদ (কাপ পিরিচ), শ্রী ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জাহিদ হাসান বিপ্লব (হেলিকপ্টার) ও আবেদ হাসান মিলন (আনারস) প্রতীক পেয়েছিলিন। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও চালিয়েছেন।
অভিযোগ কারীরা জানান, ‘উপজেলায় সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন শেষ করেছি। সরকার ও আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশে এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির ভাবমূর্তি ও সম্মান রক্ষা করার জন্য সবসময় তাকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আইন ও নির্দেশ অমান্য করে খাদ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের নাম ব্যবহার করছে। আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই প্রতিদ্বন্দ্বির পক্ষে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বাধ্য করা হচ্ছে ওই পক্ষের হয়ে কাজ করতে। এমত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হানাহানি ও দ্বন্দ্ব ইত্যাদি রক্ষায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম।’
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জন প্রার্থীই প্রতীক পেয়েছিল। এখন নির্বাচনী মাঠে রইলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্জন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই চার জন পদপ্রার্থী নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সোমবার (০৬ মে) সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জাহিদ হাসান বিপ্লব ও আবেদ হাসান মিলন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিশ্চিত করেন।