আবারও বাংলাদেশ
মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন প্রশাসন
ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল
ইসলামকে স্পারসোর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে
ভারত যখন চাঁদে নভোযান পাঠায় তখন আলোচনায় আসে বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন
প্রতিষ্ঠান। ভারতের সফলতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটির ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা
ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ভারতের মহাকাশ
গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একজন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। অন্যদিকে আমাদের
বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদ ছিলেন একজন অতিরিক্ত
সচিব। প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তার পড়ালেখা ছিল কৃষি নিয়ে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর
স্পারসোর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. আব্দুস সামাদকে বাংলাদেশ জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। তবে তিনি ওই পদে যোগ দেননি। আজ
তাকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া পানিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের
মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মতিয়ার রহমানকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের
মহাপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যসেবা
বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীনকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির এমডিএস (অতিরিক্ত সচিব) মোখলেসুর রহমান সরকারকে জননিরাপত্তা
বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট
মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব সুব্রত শিকদারকে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের
জন্য পরিকল্পনা বিভাগের সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।