ইনসাইড বাংলাদেশ

বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নেবে

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ০৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে এই সংলাপ। নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে গেছে। তবে সংলাপে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা বিভক্তি।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারি। হিসাব অনুযায়ী, ৯০ দিনের গণনা শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা এবং আগামী জানুয়ারির শুরুতে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তপশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎ চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ডেকেছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ‘দুই ভাগে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কিংবা তাদের নির্ধারণ করা দুজন প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। তখন বিএনপিসহ ৯টি দল নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। তারা বলেছিল, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। অন্যদিকে, এবারও নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করছে বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্ররা। সংলাপ নিয়ে বিভক্ত ইসলামী দলগুলো। এ ছাড়া কিছু রাজনৈতিক দল এখনো রয়েছে সিদ্ধান্তহীনতায়। নিবন্ধিত দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সংলাপ নিয়ে তাদের এমন অবস্থানের বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইসির সংলাপে অংশগ্রহণ করবে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। তাদের দাবি, নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় শুধু রুটিন কাজ করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের মূল দায়িত্ব থাকবে ইসির। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করার জন্য ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে যাবেন তারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। ইসির সংলাপে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল যাবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তাদের ডাকে সাড়া দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ইসির ডাকা সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন বলে দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মতোই সংলাপে যাবে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪ দলের শরিকরা। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণফোরাম ও বিকল্পধারা।

অন্যদিকে, বিএনপিসহ যুগপতের মিত্ররা সংলাপে যাবে না। তাদের দাবি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এখানে ইসির কিছু করার নেই। তা ছাড়া বর্তমান ইসি সরকারের একান্ত অনুগত। সুতরাং ইসির এই সংলাপ কোনো সুফল বয়ে আনবে না। দলগুলো এখন সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নতুন ইসি গঠন ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে রয়েছে। দাবি আদায় করেই নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। সব নেতার নামে মামলা। মিথ্যা মামলায় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এমন অবস্থায় নেতাদের জেলে রেখে কে বসবে সংলাপে?’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই সিদ্ধান্তে আমরা অটল রয়েছি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলনে দাবি আদায় করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’

নির্বাচন কমিশনের এই সংলাপের বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্ররাও। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। সরকারের মনোভাব পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ইসি সংলাপ ডাকলে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। সুতরাং এখানে চা-নাশতা খেয়ে জনগণের পয়সা নষ্ট করে কোনো লাভ নেই।’

চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ইসির সংলাপে আমরা যাচ্ছি না। কারণ, যাওয়াটা অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন।’

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বিএনপিকে কারাগারে রেখে, থানার মধ্যে বন্দি রেখে, মামলা দিয়ে দৌড়ের ওপর রেখে অন্য সব রাজনৈতিক দলকে ইসির সঙ্গে সংলাপের জন্য ডাকা হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের একটা সন্দেহ যে, এখন থেকে দুই থেকে আড়াই মাস পর যে নির্বাচন হতেও পারে, সেখানে বিএনপিকে বাদ দিয়ে সব দলকে নিয়ে নির্বাচন করার একটা ছায়া আমরা দেখছি। বিএনপির কার্যালয়ই তো এখন তালাবদ্ধ। ইসির সংলাপের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করবে কে? তিনি বলেন, দেশের প্রধানতম বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে এই সংলাপে গিয়ে তো লাভ নেই।’

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। তবে আমরা সংলাপে যাব না। ইসি আমাদের কোনো এজেন্ডা না। আমাদের এজেন্ডা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং এদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। নির্দলীয় সরকার ছাড়া ইসির পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’

কোনো জোটে না থাকলেও সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বেশ কয়েকটি নিবন্ধিত দল। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিঠি পেয়েছি, সংলাপেও যাব। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইসি কী প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা আমরা দেখব।’

এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিঠি পেয়েছি, সংলাপেও যাব। নির্বাচন হলে সেখানেও অংশগ্রহণ করব।’

বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিঠি পেয়েছি, সংলাপে যাব। আগামীতে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য বলব।’

নতুন নিবন্ধিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) সংলাপে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

অন্যদিকে, যুগপৎ আন্দোলন কিংবা কোনো জোটে না থাকলেও স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বামপন্থি দলগুলো সংলাপে অংশ নিচ্ছে না। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। কিন্তু সংলাপে যাব না।’

এদিকে সংলাপের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। সংলাপে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবার (আজ) চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাপার মতো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এনডিএম ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)। সংলাপের চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে বিএমএলের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে ইসির সংলাপে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।’

এদিকে সংলাপ নিয়ে বিভক্ত ইসলামী দলগুলো। ইসির সংলাপে যাওয়ার পক্ষে ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। তবে ইসির সংলাপে যাবে না চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আর চিঠি পেয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের অনেকে। তবে সেখানে কোনো দল অংশ না নিলে ইসির কিছু করার নেই বলে অভিমত তাদের।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে যা যা করা দরকার, নির্বাচন কমিশন তা-ই করবে। এর অংশ হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। এখানে কে এলো আর কে এলো না—সেজন্য তো ইসি সংলাপ বন্ধ করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো দল না আসে, তাহলে ইসির কিছু করার নেই। বিএনপিকে ছাড়া তো আগে নির্বাচন হয়েছে এবং সে নির্বাচনের বৈধতাও ছিল। গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে হয়তো কথা উঠবে, এটা উঠতেই পারে। সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।’


ইসি   সংলাপ   রাজনৈতিক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে দুলাল মিয়া সরদার এবং অভিযুক্ত সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

 

ঘটনার পর পর মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

 

এনিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক মেহেদী হাসান রিটার্নিং অফিসার ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পলাশের মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস স্থাপন করা হয়। সেখানে ঘটনার দিন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম দলীয় রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে ১০/১২ জনের দলবল নিয়ে সেই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। 

 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার এবং মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম।

 

তাদের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ষড়যন্ত্র করে নিজেই নিজের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

অভিযুক্ত মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা সেখানে টাঙানো আমাদের দোয়াত কলম প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি স্যারকে জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে তারা ভয় পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অফিসে ভাংচুর করে আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে এবং গা বাঁচাতে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে চৌমুহনী বাজারে নিয়ে গিয়ে মারবে বলেও হুমকি দিয়েছে।’


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   ভাঙচুর   অগ্নিসংযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন জেলায় চালু হচ্ছে নতুন বিদ্যুৎ লাইন, সতর্কতা জারি

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ '৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন' নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। 

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার কথা। এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।    

সোমবার রাতে পিজিসিবি'র আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

নতুন লাইন যেসব এলাকা দিয়ে যাচ্ছে-

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর ও মুলাডুলি ইউনিয়ন। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর, নগর, মাঝগাঁও ও বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন এবং সিংড়া উপজেলার চামারী, কলম, চৌগ্রাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন।

এছাড়া বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ও ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এবং কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়ন এই নির্দেশনার আওতাভুক্ত থাকবে।


পিজিসিবি   বিদ্যুৎ   পাবনা   ঈশ্বরদী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে দৌরাত্ম বাড়ছে মানব পাচার সিন্ডিকেটের


Thumbnail

কক্সবাজারে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এরই মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করেছে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকায় ৩০ জন রোহিঙ্গা ও ৩০ জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম পেয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

 

তদন্তে উঠে এসেছে মানব পাচারের ভয়ংকর তথ্য। পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের উন্নত জীবনযাপনের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখিয়ে সাগর পথে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকে ফিরেছেন লাশ হয়ে। পাচারকারী ৬০ জনের ৩০ জনই রোহিঙ্গা সদস্য। আর ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা সদস্যদের সংখ্যাই বেশি।

 

স্থানীয়দের মধ্যে বাংলাদেশি এই চক্রের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে ডাকাত হোসাইন ওরফে দালাল। চক্রের ৬০ জনই মানব পাচারের সিন্ডিকেট বিদেশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি মানব পাচারকারী চক্রটি মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সংশ্লিষ্টতায় এবং সেখানকার দালাল চক্রের মাধ্যমে নৌ পথে প্রথমে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে বিমানযোগে বৈধভাবে অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। এরপর সেখানে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের জিম্মি করা হয়।

 

আকাশপথে নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ট্রলারে করে থাইল্যান্ড থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পাচার করে সেখানকার দালালদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যাদের জিম্মি করা হয় তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের মুক্তিপণ নিয়ে সাগরপথে আশপাশের দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৯ টি মানব পাচারের মামলা হয়। মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

যে কৌশলে পাচার হয়ে থাকে:

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার ও কার্গোতে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী খালাসের পর রপ্তানি যোগ্য পণ্যের জন্য ট্রলার ও কার্গো নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গর করে থাকে। মাদক চোরা চালান ও মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রোহিঙ্গারা নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গরকৃত ট্রলার ও কার্গোর পরিচালকের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য।

 

গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তথ্য উঠে এসেছে, তৎকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গারা সাগরপথে ট্রলারযোগে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।

 

উল্লেখ্য, আশ্রয় শিবিরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কর্মহীন অবস্থায় বসবাস করায় এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হওয়ায় আত্মস্বীকৃতি ও কাজের সন্ধান করতে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এসব রোহিঙ্গারা। এভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়ায় সাগরপথে যাওয়া স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলেও এদের বেশিরভাগই সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে মারা যান। আবার কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও উদ্ধারও হন।

 

বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে উন্নত জীবনযাপনের আশায় বিদেশে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেকটি অংশ অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বিদেশ গিয়ে কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশি পরিচয়ে অবৈধভাবে বসবাস এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করে থাকে। রোহিঙ্গাদের এমন কার্যকলাপের কারণে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

 

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বিগত সময়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। বিদেশে চাকরি প্রত্যাশী যারা যাচ্ছেন সেসব রোহিঙ্গারা দালালদের মাথাপিছু আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকেন। আর টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে।

 

কারাভোগ শেষে ফিরে এলেন ১৭৩ জন:

প্রায় আড়াই বছর মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও বিজিপির কাছে আটক হয়ে কারাভোগের পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার এবং ৭ জন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা। তবে পুলিশের ভাষ্য, এই ১৭৩ জন শুধু মানব পাচারকারীদের কাছেই নয় বিভিন্ন কারণে তারা ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন।

 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ জনের মধ্যে কারাভোগের পর দেশে ফিরে আসেন টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে নোমানসহ আরও ৫০ জন। তারা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন আড়াই বছর আগে। তারা সমুদ্রপথে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে আটক হয়েছিলেন।

 

ওই ট্রলারে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। চার থেকে পাঁচ দিন সাগরে ভাসমান থাকার পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী তাদের আটক করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে সে দেশের কারাগারে পাঠায়। প্রায় আড়াই বছর (৩০ মাস) কারাভোগের পর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গত ২৪ এপ্রিল স্বদেশে ফেরত আসেন নোমান।


নোমান জানান, উন্নত মানের চাকরির আশায় উনছিপ্রাং এলাকার হোসাইন দালালের প্রলোভনে পড়ে তিনিসহ রামু, মহেশখালী এবং আরও বিভিন্ন এলাকার ৪৯ জন মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন। তাদের আটক করার পর প্রতিদিন এক বেলা খাবার দেওয়া হতো। কারাগারে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের পাশাপাশি অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়েছিল, কখনো আর ফেরা হবে না দেশে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে তারা।

 

কইভাবে নোমানের মতো হোসাইন দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন হোয়াইক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহমদ। কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে দুই ছেলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে মুক্তার আহমেদ আল মামুনকে অল্প টাকায় মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে হোসাইন দালাল টেকনাফের বাহারছড়ার জাহাজপুরা এলাকা থেকে বোটে তুলে দেন। বোটে কয়েক দিন থাকার পর মিয়ানমার সীমান্তে নামিয়ে দেয়। পরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি তাদের আটক করে। হোসাইন দালাল মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা নেন। ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান। পরে দুই ছেলে মিয়ানমার থেকে কল করে জানায়, তারা কারাগারে আছে। হোসাইন দালালের ঘরে বেশ কয়েকবার গেলেও উল্টো আমাকে হুমকি দিয়ে তিনি বের করে দিয়েছিলেন। তিনি অনেক প্রভাবশালী। তার এক ভাগনে নাকি মন্ত্রীর সচিব।



মানব পাচার   রোহিঙ্গা   সাগরপথে   উন্নত জীবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রচণ্ড গরমের কারণে রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বার্তায় বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানায়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান তাপপ্রবাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে। চলমান গরম ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে গ্রাহকদেরর সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা-
১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন।

২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন।

৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন।

৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে রাখুন।

৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন।

৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন।

৭. বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন।


তীব্র তাপপ্রবাহ   বিদ্যুৎ   বিভাগ   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৫

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। রোগীবাহী মাই‌ক্রোবাস ও একটি যাত্রীবাহী বা‌সের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০-১২ জন।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দু’জন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও তিনজন। হতাহত সকলের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। তারা গত ৮ দিন থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

নিহত চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারা হলেন আবু আহমেদ, মাহমুদা বেগম, সায়রা খাতুন, দুলা মিয়া। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, বাঁশখালীর বেশকিছু অসুস্থ রোগী চোখের সমস্যা নিয়ে গত ৮ দিন আগে শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসা শেষে সোমবার তিনটি মাইক্রোবাস যোগে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী ফিরছিলেন। দু’টি মাইক্রোবাস চলে গেলেও একটা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলে দু'জন মারা যান। আর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকীরা সবাই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন।

ঈদগাঁও থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানান, বেলা ১২টার দিকে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যান।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে বেলা একটার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরও একজন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী (ট্রাফিক) জানান, মাইক্রোবাসে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসটি মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যায়।


কক্সবাজার   সড়ক   দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন