ইনসাইড বাংলাদেশ

গত অল্পদিনে সাম্প্রদায়িকতা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে: সম্প্রীতি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত অল্পদিনে সাম্প্রদায়িকতা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে গেছে। এটি রোধ না হলে সার্বিক উন্নয়ন মলিন হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

সংগঠনটি বলছে, সাম্প্রদায়িকতা আছে বলেই সম্প্রীতির প্রয়োজন। সময়ের আবর্তে ক্ষয়ে গেছে বিশুদ্ধ সংস্কৃতি। বদল হয়েছে পাঠ্যবই। রাজাকারও মন্ত্রী হয়েছে এদেশে। সুতরাং অল্পদিনে অনেক পরিবর্তনের কারণে র‌্যাডিকালিজম চাড়া দিয়েছে। সবমিলে একটা অস্থির সময় পার করছে এদেশের জনগন। মনের মধ্যে রাগ ক্ষোভ পুষে না রেখে তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গঠনে সব মানুষের জোটবদ্ধ হওয়া জরুরী।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের তালিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন করে কেউ কেউ। কারণ এদেশে রাজাকারদের মতো আত্মস্বীকৃত খুনিরা মন্ত্রী হয়েছে। তাদের দোসরেরা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মূল্যায়ন যদি হয় রক্তের দামে, তাহলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে পৃথিবীর অন্য কোনো জাতি স্বাধীনতা কেনে নাই।

বক্তব্যের বিভিন্ন পর্যায়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন স্তরে কিভাবে সাম্প্রদায়িকতা দেখেছেন তার বর্ননা করেন। একইভাবে শিশু কিশোরদের মধ্যে মুক্তবুদ্ধি তথা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ কিভাবে প্রোত্থিত হতে পারে তারও সরল সমাধান দেন।

নাট্যজন, আবৃত্তিকার ও অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক পূজা উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা, একাত্তর টেলিভিশনের নূর সাফা জুলহাস, চিকিৎসক নেতা ও সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ, সময় টেলিভিশনের সম্পাদক মোস্তফা হোসেইন, সম্প্রীতি বংলাদেশের কেন্দ্রিয় নেত্রী জয়ম্রী ব্যানার্জী, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, একুশে টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত অনুষ্ঠান প্রধান সাইফ আহমেদসহ অন্যরা।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, নির্বাচন এলেই সাম্প্রদায়িক নানা দাঙ্গা আমরা দেখতে পাই। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা-ধর্ষণ হয়েছে, তা ইতিহাসের কালো অধ্যায়। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে আমরা কোনো সাম্প্রদায়িকতা চাই না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আর কোনো সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা মেনে নেব না।

তিনি বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি নানা অপশক্তি তৎপর। তারা দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়, আমাদেরকে সেটা রুখে দিতে হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এগুলোকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা যদি একত্রে সবাই মিলে দাঁড়াতে পারি, তাহলে তাদেরকে আমরা রুখতে পারব। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, যতোই ষড়যন্ত্র থাকুক সেগুলো ছিন্ন করে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িকতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে শান্তি-সমৃদ্ধির দিকে আমাদের এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, ২০০১ সালের বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। ওই সময়ে যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার হয়েছিল, তা প্রায় একাত্তর সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে ব্যাপারগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে সমাজের সর্বস্তরে ঐক্য প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। দেশে কালো অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। যখনই সুযোগ পেয়েছে হিংস্র বিষধর নাগিনীরা ছোবল মারতে চেয়েছে।

তারা বলেন, আজ আমরা যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। হিংস্র শ্বাপদের দল মরণ কামড় দেওয়ার জন্য তৈরি আছে। আমাদের শত বছরের ঐতিহ্য, আমার অহংকার আজ হুমকির মুখে। এসব শ্বাপদকুলের সঙ্গে আমাদের মোকাবেলা অবশ্যম্ভাবী।


সম্প্রীতি বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেটিং অ্যাপসে বান্ধবীকে বিক্রি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা. সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।

সেখানে মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট করার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। রুম ডেটের কথা বলে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও নিয়েছে কারও কারও কাছ থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ বাজারও নিয়েছে।

নিজের ছবিতে যখন আর কাজ হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য বিকাশে টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন। অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অডিও ও মেসেজের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

বান্ধবীর দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন অন্য কেউ আর প্রতারিত না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করার পরই নিজের ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


ডেটিং   অ্যাপস   বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যমুনার বুকে দৃশ্যমান হল বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুটির গত এপ্রিল থেকেই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে’।

আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে’।

সেতুটির ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার।

ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। নির্মাণ শেষে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহনের খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে’।


যমুনা নদী   দৃশ্যমান সেতু   বঙ্গবন্ধু রেলসেতু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুগলকে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার মামলায় খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ( মে) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা- সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। বৃহস্পতিবার ( মে) রাতে চেয়ারম্যান লালের বরখাস্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং- (জি.আর ১৫৫/২০২৩), তারিখ: ১২/১০/২০২৩-এর অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, চুয়াডাঙ্গা আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪() ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন; যেহেতু, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসীর আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।‘


যুগল   ইউপি   চেয়ারম্যান   বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস?

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বদলির আদেশ হয়েছে। তাকে সরিয়ে নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বার্তা দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ডেভিড স্লেটন মিলকে বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা যায়। ডেভিড স্লেটন মিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এমন এক সময় যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য এবং দৃঢ় অবস্থান অনেকটাই টলটলয়মান। 

উল্লেখ্য, পিটার ডি হাস বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২০২২ সালে ১৫ মার্চ। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। আর একারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের প্রকাশ্য বৈরিতা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাঁর আলাদা অবস্থান এবং পক্ষপাত আওয়ামী লীগকে ক্ষুব্ধ করেছিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা করেছিল। কিন্তু এ সব উপেক্ষা করে পিটার ডি হাস বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেছিলেন। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে সরাসরি নাক গলিয়ে ছিলেন এবং বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি রীতিমতো একটি পক্ষ হয়ে গিয়েছিলেন। 

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে ডোনাল্ড লু'র চিঠি নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। যখন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন তিনি ছুটিতে চলে যান। সেই সময় বোঝা যাচ্ছিল যে, পিটার ডি হাসের বাংলাদেশের মিশন ব্যর্থ হয়েছে এবং তাকে ফিরে যেতে হবে। অবশেষে পিটার ডি হাস ফিরে যাচ্ছেন। 

বাংলাদেশে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাধারণত তিন বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন এবং এই তিন বছর মেয়াদ পূর্তির পরই নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়। কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পিটার ডি হাসের আগে যিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ছিলেন আর্ল আর মিলার তিনি ২৯ নভেম্বর ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করে ২১ জানুয়ারি ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব পালন করে ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর তাঁর দায়িত্ব শেষ করেন। অর্থাৎ তিন বছরের বেশি সময় তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একইভাবে ড্যান মজিনাও ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৫ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ থেকে দায়িত্ব শেষ করে চলে যান। 

অবশ্য কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত তার মেয়াদের কম সময়েও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হ্যারি কে টমাস। যিনি ২০০৩ সালের ১৪ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে দুই বছরের কম সময়ের আগেই ২০০৫ সালের ২ জুলাই বিদায় নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রদূতরা তাদের মেয়াদ পূর্ণ করেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিটার ডি হাস তার মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ পেলেন না। কেন পিটার ডি হাসকে তার মেয়াদ পূর্তির আগেই সরিয়ে নেওয়া হল, এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। 

তবে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পরই নির্ধারিত ছিল পিটার ডি হাস আর বাংলাদেশে থাকছেন না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য। বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান এবং নীতি কৌশল ছিল সেটা বাস্তবায়নই ছিল পিটার ডি হাসের প্রধান কাজ। আর এই কারণেই তিনি সরকার বিরোধী একটি প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।

বিভিন্ন কূটনৈতিক মহল মনে করেন যে, পিটার ডি হাস যে অবস্থান নিয়েছিলেন সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নীতির অংশ। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই তার অবস্থান থেকে সরে আসে এবং এখন নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এ কারণেই এই পিটার ডি হাস রাষ্ট্রদূত থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নটা একটা অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এই বাস্তবতা থেকেই পিটার ডি হাসকে সরিয়ে নেওয়া হল বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

পিটার ডি হাস   মার্কিন রাষ্ট্রদূত   বাংলাদেশের নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   ডেভিড স্লেটন মিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিচুর রহমানসহ ২৬ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করা হয়। বিচারক গোলাম ফারুক গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রামের বাসিন্দা এইচএম তারেক।

আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিচুর রহমান হারিছ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভুইয়া, লুৎফুর রহমান দ্বীপ, ইমরান মিয়া, সোহেল সিকদার, মীর নাইয়ান, সাদ্দাম খান, কাজী সাইমুর রহমান, এনএইচ আজবি, শাকিল খান, পিয়াল সরদার, কেএম মিলন, এইচএম রাসেল, আবির আহম্মেদ, সজিবুর রহমান জিয়া, রাতুল শরীফ, শেখ রায়হান শাওন, তালুকদার মো. রবি, মেহেদি হাসান শাওন, শাহাদাত তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন দিলু, জিএস জাহিদুল ইসলাম।

তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডিতে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, মামলার ২৬ আসামি গৌরনদী উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষক। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাহিলারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিয়া মনির ও সৈয়দ মনিরুন্নাহার মেরিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আক্রমণাত্মক বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে খুন জখমের পাঁয়তারাসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম জানান, মামলার বিষয়ে আদালতের নথিপত্র এখনো হাতে পাননি। মামলার নথি হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কে হারিছুর রহমান বলেন, আমার প্রতি গৌরনদীর সাধারণ মানুষের ভালোবাসা দেখে এবং আসন্ন নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে গৌরনদীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আমার বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   সাইবার ট্রাইব্যুনাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন