মেহেরপুরে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতাসহ তিনজনের নামে মামলা করেছেন আব্দুল খালেক (৩৫) নামের
এক ভুক্তভোগী।
গত বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক
মামলাটি আমলে নিয়ে তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ফরজ আলী মেহেরপুর সদর উপজেলা বন বিভাগের মালি হিসেবে, আরজ আলী
মুজিবনগর বন বিভাগের মালি হিসেবে এবং লাইলী খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা অফিসে এমওসিএস পদে কর্মরত আছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মো: ফরজ আলী (৫০) ও মো: আরজ আলী নামের
দুই সহদার এবং ফরজ আলীর স্ত্রী লাইলী খাতুন মামলার বাদী আব্দুল খালেককে
প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর চাকুরী দেওয়ার কথা বলে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা
দাবী করলে বাদী ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর প্রতারক চক্র কে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা প্রদান
করে।
পরবর্তীতে আসামিগণ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিবর্তে আল-আরাফাত
সার্ভিসেস (প্রাঃ) লিমিটেড কোম্পানির আদমশুমারীর ‘ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর’
এর একটি ভুয়া নিয়োগ পত্র দেয়। এখন তারা বলে আপাতত কিছুদিন এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি
করলে পরবর্তীতে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের কথামতো বাদী নিয়োগপত্র নিয়ে
উক্ত প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয় নিয়োগ পত্রটি ভুয়া ও জাল। বাদী
আবারও আসামিদের কাছে গেলে আসামীরা টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।
২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল ভুক্তভোগী বাদী প্রতারকদের বিরুদ্ধে বাগোয়ান
ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান বিবাদীদের
গ্রাম আদালতে শুনানির জন্য ২০২২ সালের ১০,২৪ ও ৩১ মে তারিখে তিন দফা নোটিশ করলেও
বিবাদী প্রতারক চক্র গ্রাম আদালতের অবমাননা করে শুনানিতে হাজির হয়নি।
অতঃপর বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব হোসেন বাঁদিকে
একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক গত ২৩
নভেম্বর আব্দুল খালেক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মেহেরপুরে মামলার আবেদন
করলে আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে রবিবার ২৬ নভেম্বর তারিখে আসামিদের
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
এ তিন আসামি চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি প্রতারণা চক্র তৈরি করেছেন।
মেহেরপুরের অনেকের কাছে থেকে এভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন
বলে অভিযোগ রয়েছে।
মেহেরপুর সরকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তার পরোয়ানা
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।