সামনের বছর লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সব চাষী। তবে কোন না কোন বিপর্যয়ে সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রুপ নেয়। কখনো কখনো লাভ হলে তাও খুব সীমিত। করোনা, ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে এ বছর চলতি শীত মৌসুমে লাভের আশা করছেন দেশের ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালির ফুল চাষীরা। পানি সারা ফুলচাষী নেতারা বলছেন দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলে চলতি বছর ফুল বিক্রির মৌসুম (ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত) চার মাসে ৩ বেশি টাকার ফুল বিক্রি হবে গদখালির ফুল সেক্টর থেকে। অপরদিকে ফুলচাষী এবং বিপননে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত নভেম্বর মাস এবং চলতি মাস জুড়ে হরতাল অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহ ও পরিবহনে দ্বিগুন অর্থ গুনতে হয়েছে তাদের।
জানা গেছে, গোটা যশোর জেলার দেড় হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে প্রায়
৭ হাজার কৃষক এ ফুল চাষের সাথে জড়িত। দেশের মোট ফুলের চাহিদার ৮০
শতাংশ ফুল এই জেলা থেকেবাংলাদেশের সব জাগা ফুল সরবরাহ করা হয়। প্রতি বছর
ডিসেম্বর মাস থেকে গদখালির ফুলের চাহিদা ও বিক্রি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একইসাথে
বাড়তে থাকে ফুলের দামও।
প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ক্রিসমাস, ইংরেজি নববর্ষ, ১৪ই
ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও ২৬শে মার্চ
স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানকে টার্গের করে মোটা অংকের ফুল
বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে গদখালির ফুল চাষীরা। আসন্ন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে
ঘিরে এই ফুল সেক্টর থেকে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি
টাকা। বেশি
সরজমিনে বুদবার (১৩ ডিসেম্বর) গদখালি ফুলের পাইকারি বাজার
ঘুরে দেখা যায়, এ বাজারে গোলাপ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪-৫ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা
প্রতি পিস ৩-৪ টাকা, গাদা ফুল প্রতি হাজার ৪০০-৫০০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি পিস ৩-৪
টাকা, ঝাউ প্রতি পিস মানভেদে ৫০-১০০ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ১০-১২ টাকা। ভালো
দামে ফুল বিক্রি করে সন্তুষ্ট চাষী ও ব্যবসায়ীরা। গদখালির থেকে পানিসারা ফুল মোড়
পর্যন্ত বিভিন্ন বাগান, ফুলের সেড ঘুরে দেখা যায়, আসন্ন দিবসগুলোকে উদ্দেশ্য করে
ফুলের বাজার ধরতে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে চাষী এবং বাগানের
কর্মচারীরা।
পানিসারা এলাকার ফুলচাষী ইসমাইল হোসেন বলেন, এ বছর
চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ আর গাদা ফুলের চাষ করেছি। চাষের পরিমাণ কম হলেও এ বছর চাষীরা
মোটামুটি ভালো দাম পাচ্ছে। তবে হরতাল অবরোধে দ্বিগুন গাড়িভাড়া দিয়ে রাজধানীসহ
বিভিন্ন জেলায় ফুল সরবরাহ করতে হচ্ছে।
ফুল পরিচর্যার কাজ করছিলে ফুলচাষী সাইফুল ইসলাম। তিনি এ বছর ১ বিঘা
জমিতে জারবেরা, রজনীগন্ধার চাষ করেছেন। তিনি বলেন 'এ বছর রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতা আমাদের ফুল চাষীদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা বর্তমানে ভালো দাম
পেলেও শঙ্কায় ভুগছী। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা দিবসগুলোর
সুন্দরভাবে উদযাপিত হয় না তখন ক্রেতা পর্যায়ে আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে
যায়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর নানা কারণে চাষীরা দাম পায় না। এজন্য চলতি
বছর সব চাষী স্বল্প পরিমাণে ফুলের চাষ করেছে। বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি
নিচ্ছি আশা করি দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে ফুলচাষী নেতারা বলছেন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক
হলে চলতি বছর গদখালির ফুলচাষীরা রেকর্ড পরিমাণের অংকের ফুল বাজারজাত করতে পারবে।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ফুল বাহিরের জেলা গুলোতে বিপননে আমাদের সমস্যার
সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে চলতি মৌসুমের চার মাসে গদখালি
থেকে৩ শো কোটি টাকারবেশ বেশি ফুল বিক্রি হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এবং আসন্ন বিজয় দিবস ক্রিসমাস একুশে ফেব্রুয়ারি বিজয় দিবস ঘিরে ফুল
বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা বেশি । আমরা আশাবাদী
দেশ স্বাভাবিক হবে এবং ফুলচাষীরা তাদের ফুল সুন্দরভাবে বা জারজাত করে লাভবান হতে
পারবে।
ঝিগরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ জানান,এবার ৬৩০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে সরাসরি ফুল চাষী যুক্ত সাত হাজার কৃষক এর সাথে সম্পৃক্ততা ১ লক্ষ মানুষ এবারে ফুল চাষে টার্গেট করা হযেছে যদি হরতাল অবরোধ না থাকে বছরের ৭০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি বলেন আজ গদখালি বাজারে একটি গোলাপ ফুল ১০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে যেটা অতীতের থেকে অনেক ভালো বিক্রয় হয়েছ বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান।
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।