আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ছিল নবম দিন। এদিনও দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, মারধর, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর এমনকি গুলির খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্ভরযোগ্য
সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ-৬
(রানীনগর ও আত্রাই) আসনের
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওমর ফারুক ও তার সমর্থকদের ওপর একাধিক
হামলার খবর পাওয়া গেছে।
গত সোমবার সন্ধ্যার পর রানীনগর উপজেলা
সদরের বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল এলাকা, কাশিমপুর ও জিয়ানীপাড়া এলাকায়
পৃথক এসব হামলার ঘটনা
ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হওয়া চার
দফা হামলায় আহত হয়েছেন ছয়জন।
নৌকার প্রার্থী ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ
উঠেছে। এসব ঘটনায় থানায়
পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন দুই প্রার্থী।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের
স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ারের সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার
ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া বাজারে এই হামলার ঘটনা
ঘটে। নৌকার কর্মীরা এই হামলা করেছেন
বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী
ঈগল প্রতীকের পক্ষ থেকে অভিযোগ
করা হয়েছে। এই আসনের নৌকার
প্রার্থী টানা দুবারের সংসদ
সদস্য ও আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ)
আসনে নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা, হামলা ও ভাঙচুর এবং
কর্মীদের মারধরের লিখিত অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আলী হোসেন। গতকাল
দুপুরে আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি এবং যুগ্ম জেলা
ও দায়রা জজের কাছে এ
লিখিত অভিযোগ দেন সোনালী আঁশের
এই প্রার্থী।
গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও
সিটির একাংশ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ
নেতা রেজাউল করিমের নির্বাচনী পথসভায় নৌকার কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার
বোয়ালি ইউনিয়নের গাছবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পাঁচ সমর্থক আহত
হয়েছেন। এই আসনে নৌকার
প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক।
অন্যদিকে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা)
আসনের গলাচিপার বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া শরীফবাড়ি ব্রিজ বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকানে
নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদার
সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, পাবনার
ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী
লীগের কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ও
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের
পিআরপুর মোড় বাজার এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে। তবে
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এছাড়াও মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে
স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ
নাজমুল হকের নির্বাচনী ক্যাম্প
ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে
উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের
নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
জাকির হোসেন সরকারের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৬ জন কর্মী
আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে
উপজেলার জায়গীর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে
নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক
মাহবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী
সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী
মুরাদ হাসানের সমর্থকেরা একে অপরের নির্বাচনী
ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে সরিষাবাড়ী
পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুই পক্ষের
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত
ছয়জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র
প্রার্থী এ কে আজাদের
কর্মী-সমর্থকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলাসহ নানা বিষয়ে পাল্টাপাল্টি
অভিযোগ করেছেন। গত সোমবার এক পক্ষ আরেক
পক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন প্রচারণা সমর্থক সংঘর্ষ
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।
বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।
মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।
ঝড় বজ্রসহ বৃষ্টি আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।