ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের পাঁচ প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই নির্বাচন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি না সেটাই এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জয় পরাজয় নয়। তবে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন পর্যন্ত কোন রকম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তারা পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলছে। ৭ জানুয়ারি ভোট কীভাবে হয় তার ওপর নির্ভর করছে এই নির্বাচনের স্বীকৃতির অনেক কিছু। তবে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক ভাবে আলাপ আলোচনা করছেন। নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করছেন। খুঁটিনাটি প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আর এই সমস্ত খোঁজ খবর নেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের কাছে পাঁচটি প্রশ্ন বড় আকারে এসেছে এবং এই প্রশ্নগুলো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিরোধী দলের নেতা, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন মহলকে কাজ করা হচ্ছে। আর এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করবে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের ব্যাপারে কী মনোভাব গ্রহণ করবে।

যে পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে পশ্চিমাদেরকে তৎপর দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে;

১. বিরোধী দল কে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান প্রশ্ন হল এবার নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ কে। সাধারণত নির্বাচনে একটি পক্ষ এবং প্রতিপক্ষ থাকে। এবার নির্বাচনে প্রতিপক্ষ কে-এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই জানতে চেয়েছে, এবার নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ কে? টেকনিক্যালি জাতীয় পার্টির এবার নির্বাচনে প্রধান প্রতিপক্ষ। কিন্তু যেহেতু জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ২৬ টি আসনে আসন সমঝোতা করেছে, কাজেই জাতীয় পার্টিকে এখন আর আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী দল বলা যাবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া এবার নির্বাচনে প্রচুর স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের গোষ্ঠীবদ্ধ পরিচয় থাকবে কি না, সে বিষয়টিও পশ্চিমা দেশগুলো জানতে চায়। 

২. বিএনপি কেন এলো না: এই নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের একটি বড় প্রশ্ন হল বিএনপি কেন নির্বাচনে এলো না? বিএনপি নেতাদের কাছেও এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে যে, তারা কেন নির্বাচনে এলো না? বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল যে পরিস্থিতিতে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায় সেটি ছিল সরকারের পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা সরকার বাস্তবায়ন করেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি তাদের নেতৃত্বের সঙ্কটের কারণে। কারণ তাদের কোন নেতা নেই। নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের কে প্রধানমন্ত্রী হবে এটি যেমন অমিমাংসিত তেমনি নির্বাচনে তারা প্রার্থী বাছাই এবং অন্যান্য বিষয়গুলো কীভাবে করবে তা নিয়েও তাদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসেনি। পশ্চিমা দেশগুলো দু পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। কিন্তু তাদের নিজস্ব মতামত অর্থাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসেনি এ সম্পর্কে তাদের ভাবনা তারা এখন পর্যন্ত বলেনি। 

৩. সংলাপ-সমঝোতা কেন হল না, দায় কার?: পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নির্বাচনের আগে যে সংলাপের দরকার ছিল, যে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পশ্চিমা দেশগুলো আহ্বান জানিয়েছিল, সেই সংলাপটি হল না কেন? সংলাপ না হওয়ার দায় কার? যথারীতি এ ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় উভয়কে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। তবে বিএনপি যে শর্তহীন সংলাপে রাজি ছিল না প্রথমে এই বক্তব্যটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভালোমতোই এসেছে। 

৪. ভোটাররা কি পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে?: এবারের নির্বাচনে একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে এসেছে তা হল নির্বাচনে কি পর্যাপ্ত পছন্দের প্রার্থী আছে? পছন্দের বিকল্প প্রার্থী কি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? নির্বাচন কমিশনের কাছেও এই প্রশ্ন তুলেছিল পশ্চিমা দেশগুলো। অবশ্য নির্বাচন কমিশন মনে যে, জনগণের কারা পছন্দের কারা পছন্দের নয় সে বিষয়টি তাদের দেখার বিষয় নয়। এটি ভোটের দিন জনগণ যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন।

৫. ভোটের পর সমঝোতা: যে প্রশ্নটি নিয়ে এখন কূটনীতিকরা বিভিন্ন জায়গায় কথাবার্তা বলছেন তা হলো ভোটের পর কি সমঝোতা সম্ভব? সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আর সে কারণেই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে কেউই অবস্থান গ্রহণ করছেন না। কিন্তু কয়েক দেশ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে জানতে চেয়েছে যে, ভোটের পর কোনো ধরনের সমঝোতা হওয়ার সুযোগ আছে কি না বা ভোটের পর রাজনৈতিক মতভেদ দূর করার কোনো উদ্যোগ সরকার নেবে কিনা। সরকার অবশ্য বলেছে যে, তারা এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনের পরে নতুন একটি সরকার নির্বাচিত হবে তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশের নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি মালিকানাধীন ২৮ শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে: মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, লোকসানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে বা ভর্তুকি থেকে বের হতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত শিল্পমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বিএসইসি’র অধীন গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড লোকসানে চলছে। বিএসএফআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ১৫টিই লোকসানি হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিসিআইসির অধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল), আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল), যমুনা ফার্টিলাজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি (জিপিএফপিএলসি), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল), বাংলাদেশ ইদুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফএল) এবং উসমানিয়া গ্লাসশীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউজিএসএফএল)।

শিল্পমন্ত্রী জানান, ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন মেশিনারিজ সংস্থাপন, স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োগে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, পণ্যের বহুমুখীকরণ, পণ্যের বিপণনে ই-সপ প্রস্তুতসহ বিভাগীয় শহরে শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি, ইনহাউজ প্রশিক্ষণ/কর্মশালার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ই-কমার্স সাইট তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএসএফআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তুকি থেকে বের হওয়াসহ লোকসান কমানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে।

তিনি জানান, বিসিআইসির অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টিএসপিসিএল ও ডিএপিএফসিএল ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে টিএসপিসিএল এবং ডিএপিএফসিএল মোট ১ হাজার ৭৭৭ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে। ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য সার কারখানাগুলোর প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান   শিল্পমন্ত্রী   নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। 

প্রথমত, ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয় সেজন্য তিনি নেতাকর্মীদেরকে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আওয়ামী লীগের প্রধান চাওয়া। 

দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যে কোন মূল্যে যেন উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ সেটি তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেখাতে চান। 

তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি প্রতিষ্ঠান, সেটি প্রমাণের জন্য উপজেলা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, উপজেলা নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব আবার প্রমাণিত হবে। বিএনপি ছাড়াও যে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু হতে পারে সেটি প্রমাণিত হবে। এ কারণে উপজেলা নির্বাচনে বেশ কিছু বিষয় সরাসরি নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দলের নেতাকর্মীদের জন্য একটি পরীক্ষা। কারা আওয়ামী লীগের আদর্শ নীতি অনুসরণ করে এবং কারা আদর্শ নীতির বিপক্ষে কাজ করে সেটি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে পাঁচটি বিষয়ে নজর রাখছেন। প্রথমত, এই নির্বাচনে মন্ত্রী এবং এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কিন্তু তারা নজরদারির মধ্যে আছেন এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত মন্ত্রী-এমপি যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলায় আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেছেন তারা ফল ভোগ করবেন। কাজেই মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কে কী ভূমিকা রাখছেন- এর ওপর নজরদারি রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বারবার দলের নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে বরদাস্ত করা হবে না। উপজেলা নির্বাচনে যেন কোনরকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয় সেজন্য তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। এই বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নজরদারির মধ্যে রেখেছেন, যে উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থী যেন প্রভাব বিস্তার করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করে সেটি খেয়াল রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থক কেউ যেন দলের স্বার্থ বিরোধী কোন তৎপরতায় যুক্ত না হয় সে বিষয়টিও নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চতুর্থত, উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসন যদি কোথাও পক্ষপাত করে, কোন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করে সেক্ষেত্রে তাদেরও ভবিষ্যতে হিসেব করা হবে বলেই সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি এই নির্বাচনে পক্ষপাত করে বা কাউকে সমর্থনের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সেটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসবে এবং ভবিষ্যতে সেটি তাদের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেল ৫ টায় কেওক্রাডং পাহাড় সংলগ্ন দুর্গম পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহল দলের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে কেএনএ এর একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত বাঙ্কার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১টি শটগান, ৭১ রাউন্ড তাজা এ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোনসহ ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফের ঢাকা সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফের বাংলাদেশ সফরে ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার সফরটি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক একটি সূত্র। 

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি লুর প্রথম ঢাকা সফর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে ঢাকা সফর করতে পারেন লু। তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসবেন। 

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, গত মাসে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে লু ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তার ঢাকা সফরের আগ্রহের কথা জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকেও লুর ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ঠিক কবে নাগাদ লুর সফর হবে, তা চূড়ান্ত ছিল না।

এর মধ্যে সোমবার (৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পোস্তগোলা শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবিত হবে কিনা, প্রশ্ন ড. আওলাদ হোসেনের (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পোস্তগোলা-শ্যামপুর শিল্পাঞ্চল আবার পুনরুজ্জীবিত হবে কিনা জানতে চেয়েছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে সম্পূরক প্রশ্ন উত্তর পর্বে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এর কাছে তিনি এ প্রশ্ন করেন।

ড. মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এক সময় পোস্তগোলা-শ্যামপুর শিল্প এলাকা ছিল। সেখানে ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, চাঁন টেক্সটাইল সহ অসংখ্য পুরোনো ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। তবে সেগুলো এখন বন্ধ রয়েছে। নদীর পাড়ে এই মূল্যবান জায়গা এবং বন্ধ হয়ে থাকা শিল্প কারখানা গুলোর ব্যাপারে কোন সুরাহা আছে কিনা জানতে চান ড. আওলাদ হোসেন।

ড. আওলাদ হোসেন এর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপনি অপ্রিয় সত্য কথা বলেছেন। আমি নিজেও ওই অঞ্চলের সন্তান। স্বাধীনতার পর থেকে সেখানে বেশ কিছু ইন্ডাস্ট্রি ছিল। এরপর বিভিন্ন সময় সেগুলো অবৈধভাবে দখল হয়েছে।  আমাদের সেনাবাহিনার কিছু জমিও আছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘিরে। মাননীয় সংসদ সদস্য যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে শিল্প মন্ত্রণালয় সঠিব সিদ্ধান্ত নেবে। এবং সরকার সেখানে অবশ্যই এগুলো যারা বেআইনি ভাবে দখল করেছে সেগুলোকে দখলমুক্ত করে আমরা সেগুলোকে কাজে লাগাব। কারণ এই জায়গাগুলো অত্যন্ত মূল্যবান জায়গা। সেখানে নতুন কলকারখানা স্থাপন করা যাবে। দরকার হলে শ্রমিকদের জন্য আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থাও করা যাবে।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেনকে তার (শিল্পমন্ত্রী) সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে আহ্বান করেন।


বুড়িগঙ্গা নদী   পোস্তগোলা শিল্পাঞ্চল   ড. আওলাদ হোসেন   ঢাকা-৪  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন