দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি আসনের দুটিতে নৌকা, একটি স্বতন্ত্র ও অন্যটিতে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থীর বিজয় হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী-০১ (ডোমার-ডিমলা) আবারও আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা), নীলফামারী-০২ (সদর) আসনে টানা ৫ম বারের মত আসাদুজ্জামান নূর (নৌকা), নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাচি) ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে ভোট গননা শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বেসরকারী ভাবে এই ফলাফল ঘোষনা করেন।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে আবারও বিজয় লাভ করে নৌকা প্রতীকের আফতাব উদ্দিন সরকার। তিনি ভোট পান ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী তছলিম উদ্দিন (লাঙল) পান ২৪ হাজার ৬৬১। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (নোঙর) পান ১৩ হাজার ২১৭ ভোট।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে টানা পঞ্চমবারের মত বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান নুর। তিনি ভোট পান ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (ট্রাক) পান ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলী চৌধুরী (লাঙল) পান ৩ হাজার ৮৪৩ ভোট।
নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাচি)। তিনি ভোট পান ৩৯ হাজার ৩২১ । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা (ঈগল) পান ২৫ হাজার ২০৫ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল (লাঙল) পান ১০ হাজার ২২৮ ভোট।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (কাঁচি) । তিনি ভোট পান ৬৯ হাজার ৯১৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকছেদুল মোমিন ট্রাক পান ৪৫ হাজার ৩০১। এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান (লাঙল) পান ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।
প্রসঙ্গত, নীলফামারীর চারটি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টির সাথে সমাঝোতায় ২ ও ৩ নম্বর আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে আওয়ামীলীগ। কিন্তু নীলফামারী-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রার্থী রানা মোহাম্মদ সোহেল স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। নীলফামারী-৪ আসনেও বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের (কাঁচি) কাছে পরাজিত হন।
নীলফামারী বিজয়ী নৌকা- স্বতন্ত্র বিদ্রোহী নির্বাচন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বাল্যবিবাহ সামাজিক আন্দোলন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।