ইনসাইড বাংলাদেশ

শাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের কিন্তু নিয়ে গেল ভারত-এ কেমন প্রহসন?

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইল শাড়ি- নামটাই যেখানে এ শাড়ির পরিচয় বহন করে সেই শাড়ি নাকি ভারতের! তাতশিল্পে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এই নামকড়া জেলাটি যে ভারতের অংশ সেটি বোধকরি বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় পণ্যটি ভারত গোপনে নিজেদের করে হাতিয়ে নেয়ার আগে আমরা কেউই জানতাম না!

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলে, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।’

উদ্ভট এবং সেই সাথে হাসি পাওয়ার মতো ঘটনা মনে হলেও আদতে এই নির্মম সত্য যে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের মনে বিশেষ করে টাঙ্গাইলবাসীর মনে প্রতিনিয়ত কাঁটার মতো বিঁধছে সে খবর কারোরই অজানা নয়।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার তাতী ভাইদের আবেগ এই টাঙ্গাইল শাড়ি। এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাস। যে শাড়ি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কুটির শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সে শাড়ির স্বত্ব একরকম হুট করেই সবার অগোচরে ভারত নিজের নামে জিআই স্বত্ব করে নিয়ে গেল এবং এবারও ঠিক আগেকার মতোই ‘রসগোল্লা’ এবং ‘নকশিকাঁথা’র জিআই স্বত্বের মতো আমরা আমাদের নিজস্ব পণ্যের অধিকারের স্বীকৃতি পাওয়া থেকে বঞ্চিত। তবে এ পরিণতিতে আমাদের নিজেদের দোষ কম নয়, বরং বেশিই! এমন করে প্রতিনিয়ত এক এক করে যে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে আমাদেরই হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী সম্পদ তাতে কার কি আসে যায়!

এই যে জবাবদাহিতার অভাব, নিজেদের সম্পদ নিজেদের করে ধরে রাখার দায়বদ্ধতার অভাব, এসব দায় কাদের? কবে ঘুম ভাঙবে বাংলাদেশের প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) কর্মকর্তাদের?

নিজেদের অধিকার ও সম্পদ নিয়ে আমরা বরাবরই উদাসীন। কেউ এসে নিজেদের সম্পত্তিতে টান না দিলে যেন আমাদের টনক নড়ে না। কৃষ্টিতে, সংস্কৃতিতে এত সমৃদ্ধশালী আমাদের এই দেশটির এটিই প্রথম সম্পদ খোয়ানো নয়। নিজেদের পূর্বপুরুষদের হাতে গড়ে তোলা বহু সম্পদের স্বীকৃতি খোয়ানোর নজির আমাদের আগে থেকেই আছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমে ভারত ‘রসগোল্লা’ এবং ‘নকশিকাঁথা’র জিআই স্বত্ব নিয়ে গেছে। অথচ দুই পণ্যের জন্মও কিন্তু ছিল পূর্ব বাংলায়।

তাঁতশিল্প আমাদের অতি প্রাচীন এক ঐতিহ্য। কিন্তু এই ঐতিহ্যবাহী সম্পদ রক্ষণের দিকে আমরা কতটা যত্নশীল? সংস্কৃতির দিক দিয়ে এতটা ধনী আমাদের এই দেশের কৃষ্টি, শিল্প থেকে এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে বহু ঐতিহ্যবাহী সব শিল্প। কত হাজার তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে পেটের তাগিদে, কত লাখ তাঁতশ্রমিক বেকার হয়ে এই ব্যবসা ছেড়েছে সে খবর কে রাখে? কেউ রাখার প্রয়োজনও মনে করে না। অথচ, বিশ্বের কাছে নিজেদের এসব শিল্প তুলে ধরে সম্মান বয়ে আনা কতই না সহজ ছিল আমাদের জন্যে। যে কাজটা ভারত বারংবার করছে। সমালোচনা করলেও তাদের এই সক্ষমতার প্রশংসা করতে দ্বিধা নেই। 

তবে দেরীতে হলেও বাংলাদেশের মানুষের এবং সেই সাথে পেটেন্ট কর্তৃপক্ষের যে টনক নড়েছে এটিই আশার কথা। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের এহেন ঘোষণায় বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে ব্যাপক ক্ষুব্ধ। ভারত মন্ত্রণালয়টির করা ফেসবুক পোস্টের নিচে বাংলাদেশের হাজারো মানুষ প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। সবার মনে একটিই প্রশ্ন, টাঙ্গাইল শাড়ি কীভাবে ভারতের হয়? আদৌ ভারত কি এ দাবি করতে পারে? টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের বলে দাবি করার পেছনে যেসব যুক্তি দেয়া হচ্ছে সেসব যুক্তি অনেকে খণ্ডনও করছেন। অনেকে আবার এমন মন্তব্যও করেছেন যে, "জনপ্রিয় নায়িকা সুচিত্রা সেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য জনপ্রিয় সব সিনেমা কাজ উপহার দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় এই গুণী অভিনেত্রীকে কে না চেনেন-জানেন। কিন্তু তাই বলে কি তার জন্মস্থান বাংলাদেশের পাবনা জেলায় এ কথাটি বদলে যাবে? এও কি সম্ভব?"

টাঙ্গাইল শাড়ির সঙ্গেই এর নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা ভৌগোলিক অবস্থান যুক্ত। মানে এটি এমন একটি শাড়ি, যার উৎপত্তিই হচ্ছে টাঙ্গাইলে। আর এই টাঙ্গাইল হচ্ছে বাংলাদেশের একটি জেলা। 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্র শেখর সাহার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্বের দাবি কোনোভাবেই ভারত করতে পারে না। কারণ, ভৌগোলিকভাবে টাঙ্গাইল কোনোকালেই পশ্চিমবঙ্গের ছিল না। তারা অন্য নামে তাদের শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিতে পারে, কিন্তু সেটির সঙ্গে টাঙ্গাইল নাম থাকলে কোনোভাবেই তা যৌক্তিক হবে না।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান বলেন, 'টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে ভারত যা করেছে, তা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। জামদানির জিআই হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে তারা সুযোগ খুঁজছিল।'

তিনি বলেন, ‘গত মাসে ভারতের এ কার্যক্রমের বিষয়টি জানতে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করলে বুঝতে পারি, তিনি এ-সংক্রান্ত কিছুই জানেন না। এমনকি তাঁত বোর্ডের জিআই পণ্যের আবেদনবিষয়ক কমিটির অনেকেও জানেন না এবং এ-সংক্রান্ত ফাইল দুই মাস ধরে পড়ে আছে। ফলে ভারতের কাছে আপত্তি বা আবেদন জানানোর সুযোগ থাকলেও তা করা যায়নি।’ তবে বাংলাদেশেরও টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) মো. রাশিদুল মান্নাফ কবীর।

তিনি বলেন, ‘তখন এটি হবে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি বা আলাদা করে দেশের নাম উল্লেখ থাকবে।’ আমরা বাংলাদেশের সকল মানুষও সেটাই আশা করি। ঘরের পণ্য ঘরেই ফিরে আসবে। যে জেলার নাম পর্যন্ত ভারত কোনোভাবে বহন করে না, টাঙ্গাইল নামে যেখানে কোনো জায়গা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নেই সেখানে "টাঙ্গাইল শাড়ি" নামক পণ্যটি ভারত নিজের নামে করে বসে আছে। এর চেয়ে প্রহসন আর কিইবা হতে পারে!

টাঙ্গাইল শাড়ি   জিআই পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে লফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতীয় আইনজীবী ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’কে ভারতের আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

সারোওয়াত সিরাজ শুল্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেধাসত্ত্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশের জিআই পণ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার আইনজীবী ফার্ম ভারতে নিয়োগ করেছে। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ভারতীয় ল ফার্ম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের মাটিতে লড়াই করবে। তারা রেকটিফিশনের জন্য, বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট বিজয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সকল জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।


টাঙ্গাইল শাড়ি   জিআই পণ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্চিত ও জমি দখলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়কে অবস্থান নেয়। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যায়। 

দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষককে বহিরাগতরা লাঞ্চিত করার খবর পেয়ে তারা বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশ এসে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা ক্লাসরুমে ফিরে যায়।

নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জোর করে স্থানীয় কয়েকজন দখল করতে চান। এ নিয়ে একাধিক সালিশ হলেও তা সমাধান হয়নি। রাতের বেলায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে দখলবাজরা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে নিতে চায়। প্রতিষ্ঠানের ফল লুটে বাধা দেয়ায় শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসাইন জানান, প্রতিষ্ঠানটির ৪৪৯ দাগে ১ একর ৯৪ শতক দালিলিক ও দখলীয় সম্পত্তি রয়েছে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নাগের বাড়ির মনোয়ার ও লিটন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ওপর প্রাচীর নির্মাণ করার চেষ্টা চালায়। এনিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার সকালে একই বাড়ির সুমন ও রুবেল প্রতিষ্ঠানের গাছ থেকে ফল লুট করার সময় শিক্ষকরা বাধা দিলে তারা তাদের লাঞ্চিত করে। এসময় শিক্ষকদের হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা হয়। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

এদিকে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধের কথা জানান অভিযুক্ত সুমন ও রুবেল।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক জানায়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্তের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তবে আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেই।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে— এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।

সরকারি চাকরি   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   ফরহাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত ওয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জেনারেশনে (উৎপাদন) যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, আজকে (সোমবার) যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ   প্রধানমন্ত্রী   নসরুল হামিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরির বয়সসীমা কী ৩৫ হচ্ছে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন। 

তিনি বলেছেন, বিশ্বের ১৬২ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর। আবার অনেক দেশে চাকরিতে বয়স প্রবেশ উন্মুক্ত। নেই বয়সসীমার বালাই। দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করে মহিবুল হাসান চৌধুরী মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালে ৩৫ বছরের চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে বলে তার ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন। এমনকী চীনের চাকরিতে বয়সসীমা ৪০ বছর। সেক্ষেত্রে সার্বিক বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩৭ বছর এবং পুলিশের এসআই ও সার্জন নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই ডিও লেটার ইতোমধ্যে পেয়েছে। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন যে, এই নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। 

এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেই সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি চাকরি বয়সসীমার বৃদ্ধির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়টা যুবলীগের এই আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছিল এবং সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির বয়সও বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে এখন সেশনজট নেই। শিক্ষার্থীরা ২৫ বছর বয়সেই তার শিক্ষা জীবন শেষ করেন। এ কারণে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবকে প্রধানমন্ত্রী তখন নাকচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান যখন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে ডিও দিয়েছেন তখন এটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

মহিবুল হাসান একজন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের স্পর্শকাতর নীতি নির্ধারণী বিষয় তিনি ডিও দিলেন কেন-এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা হচ্ছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি যদি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে তার মনোভাব ব্যক্ত করতে চাইছেন, সেটাতে ডিও দেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিনা সেটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। 

অনেকে বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেখা করে সরাসরি তিনি বিষয়টা উত্থাপন করতে পারতেন। সেটি না করে একটি ডিও দিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক স্ট্যান্ড কিনা তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এই কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে অনেকে মনে করে।

কেউ কেউ মনে করছেন, সরকার হয়ত বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের যা বলেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইতিবাচক কোন মনোভাব গ্রহণ করা হয়নি বা প্রধানমন্ত্রীর আগের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়েছে এমন কোন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তাহলে মহিবুল হাসান চৌধুরী একজন দায়িত্ববান এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে কীভাবে এই ডিও লেটারটি দিলেন। এটি কী সরকারের সমন্বয়হীনতার একটি প্রতিফলন নাকি সরকার সত্যি সত্যি চাকরির বয়সসীমার ব্যাপারে দেখতে চায়।

বর্তমানে চাকরিতে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। যদিও বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। আবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চাকরির বয়স ৬৭ বছর। এই বাস্তবতা বিচার করে অনেকে মনে করেন যে, চাকরির অবসর বয়সের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য আনা দরকার। সেই বিষয়টিকে বিবেচনা করে চাকরির অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিও একটি আলোচিত এবং কাঙ্খিত বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে সরকার চাকরির বয়সসীমা বাড়াবে কিনা সেটি নিয়ে এখন একটা ধোঁয়াশা রয়েছে। 

তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এখন পর্যন্ত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবেনি।

চাকরির বয়সসীমা   শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী   জনপ্রশাসন মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন