ইনসাইড বাংলাদেশ

পাহাড়তলীতে রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বে বাড়ছে মাদক ব্যবসায়


Thumbnail

কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী যেন হয়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের আখড়া। টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাথে এ এলাকার বসবাসকারী পুরাতন রোহিঙ্গাদের সাথে গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক। ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে নিরাপদে ঘরে রেখে তা বিক্রি এবং পাচারের জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সব চেয়ে নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে পাহাড়তলী এলাকা। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

 

কক্সবাজার পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এই বৃহত্তম পাহাড়তলীতে অন্তত ১০ হাজার নতুন পুরাতন রোহিঙ্গা বসবাস করে। তাদের মধ্যে অন্তত ৫০০ জন সক্রিয়ভাবে এই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে জানায় স্থানীয় অনেকে।

 

কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, ‘আমার বলতে দ্বিধা নেই কক্সবাজার পৌর এলাকার মধ্যে সব চেয়ে বেশি রোহিঙ্গার বসবাস হচ্ছে আমার ৭ নং ওয়ার্ডে। তার মধ্যে বৃহত্তর পাহাড়তলীতে বেশি। এখানে পুরাতন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা স্থায়ী ভাবে বাড়িঘর বা বহুতল ভবন করে বসবাস করছে। তাদের প্রায় সবার ভোটার আইডি, জন্ম নিবন্ধনসহ স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট হয়ে গেছে। এখন পুরাতন রোহিঙ্গারাই নতুন করে ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা এনে এখানে স্থায়ী করছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মধ্যে অনেকে মাদক কারবারসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। মোট কথা এখানে ১০০ টি অপরাধের মধ্যে খুব বেশি হলে ১০ টিতে স্থানীয় মানুষ থাকলেও বাকি ৯০ টি অপরাধ করছে রোহিঙ্গারা। এখানে প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে সাবাড় করছে রোহিঙ্গারা, তাদের আশ্রয় দিচ্ছে কিছু স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আমার খুব খারাপ লাগে পাহাড় কাটার বিষয়ে প্রশাসনকে খবর দিলেও তারা আসেনা, বরং নানান ভাবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নেয়।’

 

পাহাড়তলীর সমাজ কমিটিসহ স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বৃহত্তর পাহাড়তলীতে অন্তত ২০০ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আছে,যাদের মধ্যে বড় ধরনের গড ফাদার আছে অর্ধশতাধিক আর বাকিরা খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং পাচারকারী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা।

 

স্থানীয় সূত্র হতে জানা যায়, রোহিঙ্গা নাছির উদ্দিন ও তার স্ত্রী (রোহিঙ্গা) ছেনু প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে অনেক মহিলা পাচারকারীও।  এছাড়া আবদুল হকের ঘোনার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা শাহ আলম কিছুদিন আগেও ইয়াবাসহ আটক হয়ে বর্তমানে জামিনে এসে আরো ব্যাপক আকারে ইয়াবা ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা কবির আহামদের ছেলে হামিদ হোসেন এলাকার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তার বাড়িতে এখন ক্যাম্প থেকে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গারা আসা যাওয়া করে, তারা মাদক এনে বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিয়ে যায়। আবার অনেক পতিতাবৃত্তিতেও জড়িত।

 

এছাড়া মালেক মুন্সির ঘোনার আমান উল্লাহ মাঝি, রোহিঙ্গা অলি উল্লাহ বৈদ্য নকল আইডি করে বর্তমানে স্থানীয় সাজলেও তাড়া ইয়াবা পাচার ও ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছে।

 

এদিকে সিরাজের ঘোনা এলাকায় আলিশান বাড়ি করে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জঙ্গি হাবিব উল্লাহ ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ সাতকানিয়াতে আটক হয়ে জেল খেটে বের হয়। বর্তমানে সে আবারো বেপরোয়া ভাবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে তার পিতা ইমাম হোসেন ভাই নুর আহামদ সহ বাড়ির মহিলারাও নিয়মিত ইয়াবা পাচার করে। সম্প্রতি ইসলামপুর এলাকার আলিশান বাড়ি করেছে রোহিঙ্গা কিসমত আরা। তার ভোটার আইডি নং ১৯৯৮১৫৯১০১৯০০০৪৪১। তার স্বামী আজিজ প্রবাসে থাকলেও বাড়িতে নিয়মিত রোহিঙ্গাদের আড্ডা হয় এবং এরা সকলেই ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত।   

 

এদিকে হালিমা পাড়া এলাকায় বর্তমানে বড় ইয়াবা গড ফাদার হচ্ছে হামিদ উল্লাহ এবং আবদুল্লাহ। আবদুল্লাহর পিতা মৃত কামাল ফকির জীবিত থাকতে ক্যাম্প থেকে রেশন আনতো এবং তার মৃত্যুও হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সে হিসাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবদুল্লাহর রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক। যা ব্যবহার করে সে চালিয়ে যাচ্ছে তার ইয়াবা ব্যবসায়।

 

সম্প্রতি ইয়াবা ব্যবসার প্রচলন বেড়েছে পাহাড়তলীর ইসুলু ঘোনাতে। এই এলাকার ইয়াবা ব্যবসার জনক বলা হয রোহিঙ্গা আবদুল হাকিম মাঝির ছেলে আরিফকে, সে তার ভাই শফিক ও মরিয়ম নামের এক নারী কিছুদিন আগেও ইয়াবা সহ আটক হয়েছিল। এছাড়া ইসুলু ঘোনার মান্নানের ছেলে পারভেজ, একই এলাকার জসিম নামের এক শীর্ষ মাদক কারবারিও কিছুদিন আগে নোহাগাড়ী সহ ইয়াবা নিয়ে আটক হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাতে অন্তত অর্ধ শতাধিক তরুণ তাদের হয়ে কাজ করছে।

 

এ ব্যাপারে পাহাড়তলী এলাকার নুরু মোহাম্মদ সওদাগর বলেন, ‘পাহাড়তলীতে আমাদের বাড়ি সেটা পরিচয় দিতে এখন সমস্যা হয়। কারন এখানে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস করছে। তারা প্রতিনিয়ত ক্যাম্প থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজন এনে বেপরোয়া ভাবে মাদক পাচার করছে। এমনকি ক্যাম্পে খুন করে এখানে এসে লুকিয়ে থাকে। মাদকের কারনে পুরো এলাকা এখন সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। অনেক বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আটক হলেও কিছুদিনের মধ্যে জেল থেকে বের হয়ে আরো বেশি করে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে।’

  

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত আছে। আর পাহাড়তলী এলাকার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে অপরাধ প্রবণতা বেশি । তাই এই এলাকাতে আরো নজরদারী বাড়ানো হবে। একই সাথে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসলে অপরাধীদের চিহ্নিত করে দিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আরো সহজ হবে।’


ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পাচারকারী   মাদক ব্যবসায়   কারবারসহ নানা অপরাধ   গড ফাদার   মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতীক: অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, কমিউনিটি ক্লিনিক এদেশের জনগণের ক্ষমতায়নের একটি প্রতীক। যারা জনগণের পক্ষে তারাই কমিউনিটি ক্লিনিকের পক্ষে। শুধু বাংলাদেশে নয়, কমিউনিটি ক্লিনিক এখন সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য সেবার মডেল।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিককে গত বছর ১৭ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একারণে আমরা এবারের কমিউনিটি ক্লিনিক দিবসকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ ডে’ হিসেবে উদযাপন করছি। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তুাপ্রসূত একটি উদ্যোগ। যে উদ্যোগকে সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, যারা দার্শনিক শেখ হাসিনার আদর্শের অনুসারী তারা কমিউনিটি ক্লিনিককে ভালোবাসে, কমিউনিটি ক্লিনিককে সফল করতে চাই।

তিনি বলেন, যারা বংলাদেশে বিশ্বাস করে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে তারা এই কমিউনিটি ক্লিনিকের পক্ষে। আর যারা বাংলাদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে রাখতে চায় যারা বাংলাদেশকে আবার পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায়, যারা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায় তারা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। একারণেই ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট এসে কমিউনিটি ক্লিনিককে বন্ধ করে দিয়েছিল। 

এবছর থেকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ স্বর্ণপদক’ চালু করা হয়েছে উল্লেখ্য করে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য এবছর আমরা তিন জনকে স্বর্ণ পদকে ভূষিত করেছি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর এই স্বর্ণপদক দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কমিউনিটি ক্লিনিক   অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী   প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৭ মে পর্যন্ত বাড়ল হজ ভিসা আবেদনের সময়

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি সরকার হজের ভিসার আবেদনের শেষ সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। পূর্বে ভিসার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে নানা জটিলতায় এখনো ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।

সময় বাড়ানোয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচিব বলেন, হজ এজেন্সিগুলো এসময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে চলতি বছরের হজে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


হজ   ভিসা   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে পথচারী ও শ্রমজীবীদের তৃষ্ণা দূর করতে শরবত বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন

“যতই থাকুক গরমের তেজ, রুহ আফজা রাখবে সুস্থ ও সতেজ” এমন স্লোগানে প্রায় দুই হাজার মানুষের মাঝে শরবত রূহ আফজা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে ফিতা কেটে তিনি শরবত, রূহ আফজা আপ্যায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 

এসময় পথচারী ও শ্রমজীবীরা সংসদ সদস্যের কাছ থেকে এ শরবত পান করেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের উদ্যোগে এ শরবত বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব বেলাল হোসেন ক্বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, হামদর্দ নোয়াখালী অঞ্চলের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার নুর আলম, লক্ষ্মীপুর জোনাল ম্যানেজার এমরান হোসেন, লক্ষ্মীপুর শাখা ব্যবস্থাপক শাহজাহান ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রেজাউল করিম রিয়ান।


তীব্র গরম   শরবত   রূহ আফজা   পথচারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ

প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুরছে দেশ। দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন তিন জন। হিটস্ট্রোকে আরও পাঁচজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   হিটস্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখা এ বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সহাকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।


এএসপি   পদোন্নতি   পুলিশ পরিদর্শক   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   এএসপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন