ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সম্পদের হিসেব দেয়ার কী হল?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার গত মেয়াদে ঘোষণা করেছিল যে, সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পত্তির হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এই বাধ্যবাধকতা প্রতিপালিত হচ্ছে না। 

২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম গিয়েছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সফরে এবং সেখানে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ইতোমধ্যে অনেক বাড়ানো বাড়ানো হয়েছে। কাজেই তাদের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া হবে না। 

আওয়ামী লীগ সরকার তার তৃতীয় মেয়াদের শেষ দিকে এসে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তারপর দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমলারা তাদের সম্পদের হিসেব দিচ্ছেন না। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, যে কোন ব্যক্তি তার আয় ব্যয়ের বিবরণী আয়কর রিটার্নে জমা দিয়ে থাকেন। আয়কর রিটার্নে সব সম্পত্তির হিসাব দেওয়া থাকে। কাজেই নতুন করে সম্পত্তির হিসাব দেয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তা এটাও বলেন যে, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান যে নিয়মটি করেছিল সেটি এখনকার সময়ে প্রযোজ্য নয়। এখন আয়কর বিবরণীতে পুংখানুপুংখ ভাবে সব কিছু উল্লেখ করতে হয়। কাজেই সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়াটা অযৌক্তিক একটি সিদ্ধান্ত। 

তবে অন্যান্য মহল থেকে বলা হয় যে, এটি আমলাদের আরেকটি কৌশল। আয়কর বিবরণীতে যেটি দেয়া হয় সেটির কোন প্রকাশ্য দলিল নয় এবং এই তথ্যগুলো এক গোপনীয় তথ্য। আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রে এনবিআর এই তথ্যগুলো গ্রহণ করে যা জনসমক্ষে উল্লেখ করা হয় না। কিন্তু একজন আমলা তার চাকরি জীবনের শুরুতে তিনি কী পরিমাণ সম্পদের মালিক ছিলেন এবং প্রতি ধাপে ধাপে তার কী পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি পেল সেই হিসেবটি সাধারণ মানুষের জানা উচিত। এবং যখন একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তার সম্পদের বিবরণী দেবেন, এক মাসে তিনি উপার্জন করলেন সেটি দিবেন তখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে যে, তার সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে।

অবশ্য কেউ কেউ বলে থাকেন যে, সরকারি কর্মকর্তারা পূর্ণকালীন চাকুর। সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কিছু করার এখতিয়ার তাদের নেই। কাজেই তারা যে বেতন এবং অন্যান্য ভাতাদি পান সেটি তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। তবে প্রশ্ন ওঠে অন্য জায়গায়, একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি আয়ের উৎস শুধুমাত্র তার বেতন ভাতাই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের এত বিপুল সংখ্যক সম্পদ হয় কীভাবে? কীভাবে তারা বিদেশে বাড়িঘর কেনেন? বিদেশে সম্পদ করেন? 

সাম্প্রতিক সময়ে একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হিসেব নিয়ে হৈ চৈ চলছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা তার আয়কর বিবরণী দিয়েছিলেন সেই আয়কর বিবরণীতে তিনি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্পদ প্রাপ্তির উৎস কী তা জানিয়েছিলেন নাকি সেটি যেমন জনসমুখে প্রকাশ করা দরকার তেমনি ঊর্ধ্বতন আমলারা কীভাবে এই বিলাশ বহুল জীবন যাপন করেন, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠান সেই সব বিষয়গুলো নিয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন। 

আয়কর বিবরণীতে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যে হিসেবে দেন তার মধ্যে অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত অনেক সম্পদের মালিক প্রায় সব উধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাই। আর এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং নীতিমালা তৈরি করা উচিত বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।


আমলা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ একদিকে যেমন নানারকম চাপে আছে তেমনি নানারকম সঙ্কট ক্রমশ দানা বেধে উঠছে। তবে আওয়ামী লীগের সামনে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই, আন্তর্জাতিক চাপও নেই। বরং জনজীবনের নানা কষ্ট এবং দুর্ভোগ আওয়ামী লীগ সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলেছে। জনজীবনে বিভিন্ন অস্বস্তি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে জনজীবনে যেসমস্ত ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে..

দ্রব্যমূল্য: দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে এবং এটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইতিমধ্যেই চলে গেছে। দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি এখন রীতিমতো ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

আরও পড়ুন:  ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুৎ সংকট: তীব্র দাবদাহে বিদ্যুৎ সংকট জনজীবনের জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে এখন লোড শেডিং আস্তে আস্তে বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলা করতে না পারলে সরকারের জন্য একটি জনঅসন্তোষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং বন্ধ নিয়েও জনগণের মধ্যে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র দাবদাহে খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান অভিভাবকরা মেনে নিতে পারছেন না। এবং তারা এনিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে কোন পথে যায় সেনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানারকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য কিশোর গ্যাং, হুমকিতে প্রজন্ম

কিশোর গ্যাং: গত কয়েক মাসে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ব একটি জন অশান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় নানারকম কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার, তাদের নানারকম অপরাধ সাধারণ মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে যে, দ্রুত এ সমস্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এ ব্যবস্থা যদি গ্রহণ না করা হয় সেটিও এক ধরনের জনঅশান্তির কারণ সৃষ্টি করবে বলেই সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কারো কারো ধারণা এইসব কিশোর গ্যাংয়ের সাথে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অপরাধী অপরাধীই। সে যে দলই করুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে তৎপর। তবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কোন দৃশ্যমান শক্ত অবস্থান সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলেও অনেকে মনে করছেন। না হলে এ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।

আরও পড়ুন: কমলাপুরে এখনও আসেনি ভোরের ট্রেন, ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়

দুর্ঘটনা: সড়ক এবং রেল দুর্ঘটনা জনজীবনে অস্বস্তির আরো বড় একটি কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত নানারকম দুর্ঘটনায় জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারেও সরকারকে একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  


আওয়ামী লীগ   বিদ্যুৎ সংকট   সড়ক দুর্ঘটনা   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান   দ্রব্যমূল্য   কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তপ্ত শহরে নারীদের বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করছি: হিট অফিসার

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের জীবনকে সহনীয় করে তুলতে তাপপ্রবাহ কমিয়ে আনার জন্য বেশকিছু সমাধান নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাসের ছাদে পানীয় জল সরবরাহ, নারীরা যাতে স্বস্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নারীবান্ধব শৌচাগারের ব্যবস্থাসহ বেশকিছু বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভার প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেওয়া আফরিন বলেন, গরমের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং ঢাকার জন্য টেকসই ও শীতল ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য এটি তাদের যাত্রার কেবল শুরু।

তিনি বলেন, ২০২৩ সাল ছিল স্মরণকালের উষ্ণতম বছর এবং গত মাসে ঢাকায় তাপপ্রবাহ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দীর্ঘ ও তীব্র ছিল। গরমে দমবন্ধ হয়ে আসছিল, আক্ষরিক অর্থেই এত গরম ছিল যে মানুষ শ্বাস নিতে পারছিল না।

তিনি আরও বলেন, চিফ হিট অফিসার হিসেবে আমি অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা বসতিতে বসবাসকারী নারীদের ওপর এই তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেছি। গরমের কারণে সম্প্রতি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের কাজের পাশাপাশি শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে কাজ করা হয়েছে, যা তাদের জন্য কখনো করা হয়নি। এমন একটি শহরে তাদের আরও প্রান্তিক করে তুলেছে।

তিনি বলেন, সেই শূন্যস্থানটি পূরণ করার দিকে আমাদের নজর; যা আমাদের উত্তপ্ত শহরকে নারীদের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তোলে। তাপপ্রবাহের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী এবং যেসব ঝুঁকি মোকাবিলা করেছে, তারা চিহ্নিত করেছে।

সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রক সামাজিক উদ্যোক্তা বুশরা আফরিনকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টার (আর্শট-রক) ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষের কাছে স্থিতিশীল সমাধান নিয়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে।


হিট অফিসার   এডিবি   অফিসার বুশরা আফরিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আমরা দায়মুক্ত হয়েছি, পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

শনিবার (০৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, একটা শুভদিন। সেই মহীয়সী নারীর স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হলাম। এই যে আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা হয়তো মাঠে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। বৃহত্তর সেদিনের কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের একজন পুরোধা নারী ছিলেন এই শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা বড় ভুল থেকে যায়। আমরা কিছুটা হলেও, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু আমাদের অপরপক্ষ, সেদিনের রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, এই ঘাতক দালালরা কীভাবে নয় মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক-হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেই দিকটা কিন্তু আমরা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা যথাযথভাবে না হলেও কিছুটা আলোচনা হয়, কিন্তু ওই দিকটা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাসটা ব্যাপকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাবো যে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবির সমন্বয়ে এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পরে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী   আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন