বিষাদে রূপ নিচ্ছে ঈদের আনন্দ। শুধু সড়কেই রোজ ঝরছে প্রাণ। অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় ঈদের
সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। যেখানে হাসিমাখা মুখ প্রিয়জনের হৃদয় জুড়িয়ে
দেওয়ার কথা, সেখানে বাড়ির উঠানে আসছে নিথর দেহ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরসহ সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায়
২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ঈদের দিনই সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারা বছর যতসংখ্যক
মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে, এর প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ মৃত্যু শুধু ঈদের
মৌসুমে।
দুর্ঘটনার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে শুধু ঈদের সময় ফাঁকা সড়কে
বেপরোয়া গতিতে যান চলাচল, অনুপযোগী গাড়ি চলা, অপরিকল্পিত চলাচল, গণপরিবহনসংকট, আঞ্চলিক
মহাসড়কগুলোতে তিন চাকার যান চলচলের কারণে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত
তিন ঈদুল
ফিতরে মোট ৯৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল
আজহায় ৭৮৬টি দুর্ঘটনায় ৭৭০ জনের প্রাণ ঝরেছে সড়কে। গেল আট বছরে ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল
আজহা মিলিয়ে তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় চার হাজার ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায়
আহত হয়েছে আরো ১১ হাজার ৬৯৬ জন।
২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের
মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ শুধু ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত আট বছরে শুধু ঈদুল
ফিতরে এক হাজার ৯৭৮টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৩০৭ জনের
মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে ছয় হাজার ২২ জন।
এই সময়ে ঈদুল আজহায় এক হাজার ৮৮৪টি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন।
ঈদের সড়কে কেন এত মৃত্যু?
এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান
জানান, মূলত গণপরিবহনসংকটের কারণে ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে।
আর দুর্ঘটনায় ৫২ শতাংশ তরুণের মৃত্যু হচ্ছে। এর পেছনের মূল কারণ মোটরসাইকেল।
হাদিউজ্জামান বলেন, খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই সময়ে শ্রমজীবী মানুষ
ও তরুণদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। ভাড়া নৈরাজ্য এবং গণপরিবহনসংকটে দুর্বল বিকল্প ব্যবস্থাপনায়
শ্রমজীবীরা ঈদে
যাতায়াত করেন। বাসও অতিরিক্ত ট্রিপ দিতে চায়। গণপরিবহনসংকট দূর করা গেলে ঈদে
সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে।
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যু
সড়কে প্রতিদিনের মৃত্যুর তথ্য সংকলিত করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক
পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারের তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের
দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের
দিন মিলিয়ে
সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ১২২ জনের মৃত্যু
হয়েছে। আর আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, গত ৪ এপ্রিল ঈদ যাত্রা
শুরুর দিন থেকে গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনে সারা দেশে ২৮১টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত
হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫৫৬ জন।
এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পত্রিকা থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করি। পত্রিকায়ও ছোট ছোট দুর্ঘটনার খবর আসে না। দুর্ঘটনার মূল চিত্র এর চেয়েও অনেক বেশি হবে।’
ঈদের ৪ দিনে পঙ্গুতে দুর্ঘটনার ১২৯৫ রোগী
২২ বছরের তরুণ মোহাম্মদ রাকিব। ঈদের আগের দিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জের নিজ
এলাকায় বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পরই এক অটোরিকশার
সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তায় পড়ে যান তাঁরা। দুর্ঘটনায়
দুজনই গুরুতর আহত হন।
রাকিব ও তার বন্ধুকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে
একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও রাকিবকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল
ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
ঈদের আগের দিন থেকেই তিনি হাসপাতালের ক্যাজুয়াল ব্লক-১ ফ্লোরের
২ নম্বর বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশেই বসে তাঁর এক স্বজন মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা
দিচ্ছেন। মাঝেমধ্যে ধমকের সুরে বলছেন, ‘আমি বারবার জোরে বাইক চালাতে নিষেধ করেছি,
আমার কথা শুনলে তো এত বড় ক্ষতি হতো না।’
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ঈদের
চার দিনে এক হাজার ২৯৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ২১২ জন মোটরসাইকেল
দুর্ঘটনায়। চিকিৎসা নিতে আসা ৪০ শতাংশের বেশি রোগীর বিভিন্ন সার্জারির প্রয়োজন হচ্ছে।
আঞ্চলিক মহাসড়কে কেন দুর্ঘটনা
জাতীয় মহাসড়কের তুলনায় আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে নানা কারণে রাস্তা
দখল হয়ে থাকে। যান চলাচলের বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় দিন দিন আঞ্চলিক
মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আনফিট যানবাহন চলাচলের আধিক্য, ছোট
ও মাঝারি যান চলাচল বেশি থাকা, অনুমোদনহীন তিন চাকার যান চলা, সড়কে পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার
শৃঙ্খলার অভাব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারি কম থাকা এবং রাস্তার পাশে ঘন ঘন বাজার বসার
কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুঝুঁকি নিয়মিত বাড়ছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়ক স্থানীয়দের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে
পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। আঞ্চলিক মহাসড়কে পুলিশের নজরদারিও তুলনামূলক
কম থাকে।
আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, এসব সড়কে সব ধরনের গাড়ি অবাধে চলতে পারে। আনফিট গাড়ির চলাচল এবং গতির ভারসাম্য না থাকায় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
কমিউনিটি ক্লিনিক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
মন্তব্য করুন
সৌদি সরকার হজের ভিসার আবেদনের শেষ সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। পূর্বে ভিসার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে নানা জটিলতায় এখনো ৮০ শতাংশ হজযাত্রীই ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের বেশিরভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা অন্যতম কারণ। অল্প কয়েকদিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
সময় বাড়ানোয় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সচিব বলেন, হজ এজেন্সিগুলো এসময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।
আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে চলতি বছরের হজে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
“যতই থাকুক গরমের তেজ, রুহ আফজা রাখবে সুস্থ ও সতেজ” এমন স্লোগানে প্রায় দুই হাজার মানুষের মাঝে শরবত রূহ আফজা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে ফিতা কেটে তিনি শরবত, রূহ আফজা আপ্যায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় পথচারী ও শ্রমজীবীরা সংসদ সদস্যের কাছ থেকে এ শরবত পান করেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের উদ্যোগে এ শরবত বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব বেলাল হোসেন ক্বারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ, হামদর্দ নোয়াখালী অঞ্চলের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার নুর আলম, লক্ষ্মীপুর জোনাল ম্যানেজার এমরান হোসেন, লক্ষ্মীপুর শাখা ব্যবস্থাপক শাহজাহান ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রেজাউল করিম রিয়ান।
তীব্র গরম শরবত রূহ আফজা পথচারী
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহে পুরছে দেশ। দাবদাহে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুইজন নারী। এছাড়া নিহত ১০ জনের মধ্যে গতকাল সোমবার হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন তিন জন। হিটস্ট্রোকে আরও পাঁচজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গত ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে দশজনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৩২ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি গ্রামাঞ্চলে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার না–ও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না। অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৩ ও ২০০৭ সালের মধ্যে দেশে তাপপ্রবাহের দেশেগুলোয় মৃত্যু ২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোক ছাড়াও গরমজনিত আরও কিছু সমস্যা হয়। এর মধ্যে আছে: তাপজনিত শ্রান্তি, তাপজনিত সংজ্ঞালোপ, তাপজনিত পেশিসংকোচন, তাপজনিত ফুসকুড়ি। আর হয় তাপজনিত পানিশূন্যতা। প্রচণ্ড তাপ বিশেষ প্রভাব ফেলে অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও প্রবীণদের ওপর। এ ছাড়া যেসব মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাঁদের ঝুঁকি বাড়ে গরমে।
মন্তব্য করুন
৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখা এ বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সহাকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।
এএসপি পদোন্নতি পুলিশ পরিদর্শক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএসপি
মন্তব্য করুন
সৌদি সরকার হজের ভিসার আবেদনের শেষ সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। পূর্বে ভিসার আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন। হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।