ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার-আজিজ ইস্যুতে অস্বস্তিতে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হঠাৎ করেই অরাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু সরকারের জন্য অস্বস্তির কারণ হিসাবে সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনা সরকারের জন্য বিব্রতকর বলে স্বীকার করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। 

গত ২০ মে মধ্যরাতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই স্যাংশন দেওয়া হয়েছে মূলত ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্টের ভিত্তিতে। যদিও ম্যাথিউ মিলারের প্রকাশিত বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনের কথা বলা হয়নি। তবে আল জাজিরার ওই আলোচিত বিতর্কিত প্রতিবেদনে যে সমস্ত প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিবৃতিতে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বলে বিজেপির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনাপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন টানা তিন বছর। কাজেই এই সরকারের কাছে পুরষ্কৃত হওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর বটেই। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্পষ্টভাবে বলেছেন, এটি ব্যক্তির অপরাধ। ব্যক্তির অপরাধের দায় সরকার নেবে না।

তিনি এটাও বলেছেন, সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আসছে সেটা সরকারকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে যে অস্বস্তি তা প্রকাশ পেয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে। তিনি লু এর সফরের উষ্ণতার পর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক ধরনের হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

আওয়ামী লীগের মধ্যেও এ নিয়ে অনেকের অস্বস্তি লক্ষণীয়। কেউ কেউ মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার নতুন করে কাউকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে কিনা বা যুক্তরাষ্ট্র যে এখনও বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক আজিজ আহমেদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

আজিজ আহমেদের রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় খুন হয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশিদের হাতে এবং তাদের নাম পরিচয় সরকার উদ্ধার করেছে। কিন্তু এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আনারের অন্ধকার জীবনেরও কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চোরাচালান বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাচালানের দ্বন্দ্ব নিয়ে আনার খুন হয়েছে এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে আসছে। 

প্রশ্ন উঠেছে, আনার যদি সত্যি সত্যি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, তাহলে এ ধরনের ব্যক্তি কিভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পান? যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় হলেই কি এ ধরনের ব্যক্তি মনোনয়ন পেতে পারেন কি না। এটি কিছুটা হলেও সরকারের জন্য বিব্রতকর। তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে ধরনের সংবাদ বেরিয়ে আসছে তাতে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে সরকারের মধ্যে। 

অনেক এমপি বলেছেন যে, তারা বিব্রত। একজন সংসদ সদস্য যদি এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন তাহলে পরে সংসদে কারা আছেন সেই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তির অবস্থা দিয়ে সকল সংসদ সদস্যের অবস্থান বিবেচনা করা ঠিক নয়। তবে এটি যে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর তা এখন আর কোন লুকোচুরির বিষয় নয়।


আনোয়ারুল আজীম আনার   আজিজ আহমেদ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১৭ এমপি নজরদারিতে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আনার হত্যাকাণ্ডের পর নজরদারিতে রয়েছেন ১৭ এমপি। এই ১৭ এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ তৎপরতা, অন্যায় এবং নানা রকম অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাদের গতিবিধি কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আর যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং সরকারকে বিব্রত না হতে হয় সে জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা বলে অনেকে ধারণা করছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই সমস্ত সংসদ সদস্যদের ইতোমধ্যে তাদের আচরণ ঠিক করার জন্য, সংযত হওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষনেতা এ সমস্ত বিতর্কিত এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তারপরও তাদের ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, ঝিনাইদহ থেকে নির্বাচিত এমপি আনার ভারতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আর তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আওয়ামী লীগের কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণে জানা গেছে। পাশাপাশি আনারের অন্ধকার জগৎ উন্মোচিত হয়েছে। তার মাদক ব্যবসা, চোরাচালান ব্যবসা সহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড সরকারকে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। আর এই সমস্ত কারণে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সরকার সতর্ক। ভবিষ্যতে আনার মতো এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাতে পারেন বা যাদের আচার আচরণ এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ তাদেরকে ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, এরকম অন্তত ১৭ জন এমপি রয়েছেন যারা গত কয়েক বছরে ফুলেফেঁপে উঠেছেন এবং যাদের অর্থ বিত্তের বৈধ পন্থা অজানা। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মাদক, চোরাচালান সহ নানা রকমের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা যেন এখন থেকে সতর্ক হয়ে যান, ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করেন সে জন্য যেমন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, তেমনি তাদের নিরাপত্তা এবং তারা কী করছে না করছে এই সম্পর্কে নজরদারি রাখা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের এ রকম বেশ কিছু এমপি রয়েছেন যারা বিতর্কিত, যাদের বিভিন্ন আচার আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু নানা রকম বাস্তবতার কারণে বিশেষত জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে তাদের ব্যাপারে কোন কিছু করা হয়নি। কিন্তু আনার হত্যার পর এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। যদি ভবিষ্যতে তারা এসব কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদেরকে গুছিয়ে না ফেলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ- এমন কথাও বলা হচ্ছে। যে ১৭ জন বর্তমান এমপিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত চারজন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত এবং এদের অন্তত একজন আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এমপিদেরকে বেপোরোয়া হওয়ার লাইন্সেস প্রদান করা হয়নি। কেউ যদি আইনপরিপন্থি কোন অবৈধ তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তার দায় দায়িত্ব সরকার নেবে না। এ ধরনের অবৈধ তৎপরতার সাথে যুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্মোহ ভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারাই আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে সরকার এখন শূন্যসহিষ্ণুতা নীতিতে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

নজরদারি   আনার হত্যাকাণ্ড   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের দিন সকালে রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। 

এ জামাতে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নামাজ আদায় করবেন। তাই নামাজের আগে ও নামাজচলাকালীন সময়ে আশপাশের কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখবে ডিএমপি। 

রোববার ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগের পক্ষ থেকে এই ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল থেকে মৎস্য ভবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিংয়ে যান চলাচল করতে পারবে না। এসব সড়কে ডাইভারশন দিয়ে অন্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল করবে। তবে হেঁটে এসব পয়েন্ট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করা যাবে।

ডিএমপি জানায়, ঈদ জামাতে আগত গাড়িগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠ, ফুলার রোড, মুহসীন হল মাঠে পার্কিং করতে হবে।

উপর্যুক্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসমূহ কার্যকর করার বিষয়ে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ঈদ   রাজধানী   ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিলেটে তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদনদীর পানি বাড়ছে। রোববার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় সিলেটে ৬০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৫২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত জেলায় মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

অন্যদিকে গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার খাল ও নালার পানি বেড়ে অনেক বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। ঈদের এক দিন আগে এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরসহ অন্য এলাকার বাসিন্দারা।

পাউবো জানায়, রোববার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৪১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে বৃষ্টিপাত কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সিলেট   বিপৎসীমা   পানি উন্নয়ন বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বোনের স্বামীর সঙ্গে বিয়েতে নারাজ, কাটা হলো গৃহবধূর চুল

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   
 
পুলিশের ভাষ্য, গত ৯ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত মাসুদ। প্রস্তাবে ওই গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় মাসুদ তার মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গৃহবধূ থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গতকাল শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।   

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি') সিরাজুল ইসলাম জানান, মাসুদ রানা ওই গৃহবধূর ছোট বোনের জামাই। তার সঙ্গে বিয়ের কিছু দিন পরই ওই গৃহবধূর ছোট বোনের মৃত্যু হয়। এরপর মাসুদ রানা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সাবেক স্ত্রীর বড় বোনকে বিয়ে করতে চান। এবং স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এতে রাজি না হওয়ায় আক্রোশেই গৃহবধূর চুল কেটে দেন তিনি। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কেটে দেওয়া চুলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।'

সিরাজগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চামড়া সংরক্ষণে প্রস্তত লালবাগের চামড়ার আড়ত

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আল্লার সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনে সংরক্ষণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন লালবাগের পোস্তার আড়তদাররা। পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় জবাই হওয়া পশুর চামড়া কেনার পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তারা নিজের পুঁজির পাশাপাশি ধার-দেনা করে শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ আড়তে ব্লিচিং পাউডার ও পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জায়গা পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুরনো চামড়া সরিয়ে আড়তগুলোতে শত শত লবণের বস্তা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত লবণ রাখার জন্য আড়তের ভেতরে জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে ।

পোস্তার চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, সারা বছরের চামড়ার প্রায় ৫৫-৬০ শতাংশই আসে কোরবানি দেওয়া পশু থেকে। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন তারা। ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত চলে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কার্যক্রম। তাই এ ঈদকে ঘিরে তাদের বাড়তি প্রস্তুতি রাখতে হয়। কোরবানির ঈদের দিন সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তার এক সপ্তাহ আগে আড়ত পরিষ্কার, লবণ সংগ্রহ এবং শ্রমিকদের প্রস্তুত করেন পোস্তার আড়তদাররা।

পোস্তার ব্যবসায়ীরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানোর ৪ থেকে ৯ ঘণ্টার মধ্যে লবণ দিয়ে তা সংরক্ষণ করতে হয়। না হলে ওই চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ বছর চামড়া সংরক্ষণের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছেন আড়তদারেরা।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে নগদ অর্থ, পর্যাপ্ত লবণ মজুত ও দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী-শ্রমিক প্রস্তুত রয়েছে। ট্যানারিগুলো মূলত ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করবে। মৌসুমি ব্যবসায়ী, মসজিদ ও মাদ্রাসাভিত্তিক যেসব ব্যক্তি চামড়া সংগ্রহ করবেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এবার সবমিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ১৫-২০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে।


চামড়া   সংরক্ষণ   পোস্তা   আড়ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন