নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৮
ত্যাগ ও মহিমার দিন পবিত্র ঈদুল আজহা হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব। এদিন পশু কোরবানির মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তা বান্দার আত্মত্যাগ ও বনের নয় মনের পশুকে কোরবানি করার জন্য মহা-নিয়ামত হিসেবে দান করেছেন।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীবাসীর অনেকেই নাড়ির টানে নিজ নিজ শেকড়ে ফিরে গেলেও রাজধানীতে স্থানীয় বসবাসকারীর সংখ্যাও কম নয়। তারা নিজ নিজ পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকাতেই ঈদ করছেন। কোরবানি দিচ্ছেন ঢাকাতেই। কোরবানির পশু জবাই ও জবাই পরবর্তী মাংস কাঁটা-কুটি ও ওজন মাপজোকের জন্য প্রয়োজন কসাইয়ের। কিন্তু বিপুল পরিমাণ কোরবানির পশু জবাইয়ে রাজধানীতে ঘাটতি দেখা গেছে পেশাদার কসাইয়ের। এ চিত্র নতুন নয়। রাজধানীতে প্রতি ঈদুল আজহায় পেশাদার কসাইয়ের অভাবে অনেকে অপেশাদার কসাইয়ের দিকেই ঝুঁকেন।
রাজধানীতে পেশাদার কসাইয়ের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ঈদুল আজহায় অপেশাদার কসাইয়ের সংখ্যা পেশাদার কসাইয়ের তুলনায় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এরা সবাই বিভিন্ন পেশার লোক, যাদের মধ্যে দিনমজুর, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতার সংখ্যাই বেশি। নিজ নিজ পেশা ছেড়ে ঈদুল আজহার তারা পুরাদস্তুর কসাই বনে যান। রহমত আলী এদেরই একজন। পেশায় রিকশাচালক হলেও রাজধানীর মোহম্মদপুরে অপেশাদার কসাই হিসাবে গরু কাঁটা-কুটির কাজ করছেন আজ। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই যখন স্বজনদের উদ্দেশে্য ঢাকা ছেড়েছেন, অনেকেই আবার একটু বেশি লাভের আশায় গ্রাম ছেড়ে রাজধানীতে পা রেখেছেন। দিনমজুর সিরাজ মিয়া এসেছেন কিশোরগঞ্জ থেকে। তার মতো অনেকেই এসেছেন দিনাজপুর, জামালপুর, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগাঁ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, পুটয়াখালীসহ নানা জেলা থেকে। এরা এসেছেন গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবার ফিরে যাবেন আজ সন্ধ্যায়।
কথা হয় আজকের দিনের কসাই, রিকশাচালক রহমত আলী সাথে। সারাদিনের ব্যস্ততা জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ‘আইজ দম ফেলার সময় নাইক্যা। হারা দিনে চাইরডা গরু কাঁটার কন্টাক আছে।’
আজ আয় কেমন, এ প্রশ্ন করাতে রহমত জানায়, প্রতিটি পশু জবাই ও মাংস বানাতে তিনি পশুর মূল্যের হাজার প্রতি ১০০ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। অবশ্য কেউ কেউ ১৫০ টাকাও নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের দিনমজুর সিরাজ মিয়া জানান, তিনিসহ আরও ছয়জন এসেছেন পেশাদার কসাইয়ের সঙ্গে খ্যাপ খাটতে। আগে থেকেই পেশাদার কসাইরা গরু বুকিংও দিয়ে রেখেছেন। তাদের সঙ্গে টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছেন তারা। আজ বিকাল তিনটা পর্যন্ত পাঁচটি গরু বানানোর চুক্তি নিছে তার টিম। বিকালেই পারিশ্রমিক আর কোরবানিদাতার পক্ষ থেকে মাংস নিয়ে গ্রামে ফিরে যাবেন তারা।
রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, মিরপুর এলাকায় এসব একদিনের কসাইয়ের সরব উপস্থিতি। যদিও অপেশাদার কসাই ও পেশাদার কসাইয়ের কাজের রেটের মধ্যে খুব বেশি একটা পার্থক্য নেই তবুও ত্যাগ ও মহিমার এদিনে তাদের ত্রুটিযুক্ত কাজ ও কাজে দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে তেমন অভিযোগ নেই কোরবানিদাতাদের।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।