ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতিসংঘ সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের ভুল ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে কোনো আমন্ত্রণ জানাননি জাতিসংঘ মহাসচিব। বরং বিএনপির অনুরোধে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে আলোচনা করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লেভ জানকো। এ কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তার অফিসের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন অফিসার জোয়স লুইস ডায়াজ।

সফরের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। ঢাকায় বিএনপির নেতারাও মহাসচিবের এই সফরের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে রুহুল কবির রিজভী , মওদুদ আহমেদরাও।

মির্জা ফখরুলের এই সফর নানা মহলে হাস্যরস ও প্রশ্ন উঠেছে। আর এই প্রশ্ন বড় হয়ে ওঠে ফখরুলের এই সফরের সময় খোদ জাতিসংঘের মহাসচিরের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান না করার বিষয়টিও। জাতিসংঘের সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, মহাসচিব এই মুহূর্তে গুতেরেস অবস্থান করছে আফ্রিকান দেশ ঘানায়। সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের শেষকৃত্যে অংশ নিতে। তাহলে কিভাবে মির্জা ফখরুল তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বলেন। তাছাড়া মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হকও গণমাধ্যমে জানিয়েছেন এমন কোন খবর তাদের কাছে নেই।

তবে স্থানীয় সময় বৃহপতিবার সকাল ১০টায় বৈঠক জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈঠক করেছেন, সহকারী মহাসচিব মিরোস্লেভ জানকোর সাথে। ঘন্টাব্যাপি তাদের বৈঠক হয়। জানা যায়, বিএনপির অনুরোধেই মিরোস্লেভ জানকোর সঙ্গে মির্জা ফখরুলে বৈঠক হয়। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এমন বৈঠক নিয়মিত করা হয়ে থাকে।

এর আগেও বিদেশ সফর ও বিদেশিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির দেয়া তথ্য অসত্য প্রমাণিত হয়েছিল।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর কী বার্তা দেয়?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিনয় মোহন কোয়াত্রা তার বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে ভারত সফরে যেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। আর এটি হলে নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী হওয়ার পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর হবে ভারতে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে এমন এক সময় যখন ভারতে নির্বাচন চলছে। নতুন সরকার কারা গঠন করবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। সাধারণত নির্বাচনকালীন সময়ে ভারত এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। নির্বাচনের পর নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে তারা আমন্ত্রণ জানাবে এবং পররাষ্ট্র নীতির কলাকৌশল কী হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ ভারতে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না। বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর এই বার্তাটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত করেছে। 

ভারতে ইন্ডিয়া জোট বা এনডিএ জোট যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে গত এক যুগে যে সম্পর্কের অগ্রযাত্রা সেটিকে দুই পক্ষই অব্যাহত রাখতে চায়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের মধ্য দিয়ে সেটি সুস্পষ্ট করা হল।

জুনের ৪ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন। 

ভারত কতগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধের বাইরে অবস্থান গ্রহণ করে। বিশেষ করে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি এমন একটি অবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, পররাষ্ট্র নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন তারা করে না। আর এ কারণেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যাচ্ছেন। 

নানা কারণে বাংলাদেশের ওপর ভারত অনেকখানি নির্ভরশীল। সবচেয়ে বড় কারণ হল যে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় ভূমিকা। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চল অতীতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনদিন কোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটিতে পরিণত হবে না এবং ঘাঁটি হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতেও দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে তিনি শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেন। 

এছাড়াও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান ভারতকে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল করেছে। এ কারণেই বিগত নির্বাচন গুলোতে ভারত সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ অঞ্চলের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা যে গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্যটি ভারত কোন রকম রাখঢাক ছাড়াই দিয়েছে। এটির পিছনে প্রধানত ভারতের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপদ্রব বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের কারণে অনেক খানি কমে গেছে। আর এ কারণেই ভারতের ক্ষমতায় যারাই আসুক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। এই বার্তাটি দিতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রা ঢাকায় আসছেন।


ভারত   পররাষ্ট্র সচিব   বিনয় মোহন কোয়াত্রা   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি মালিকানাধীন ২৮ শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে: মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, লোকসানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। আর লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমাতে বা ভর্তুকি থেকে বের হতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত শিল্পমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বিএসইসি’র অধীন গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ইস্টার্ন টিউবস লিমিটেড লোকসানে চলছে। বিএসএফআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে ১৫টিই লোকসানি হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বিসিআইসির অধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল), আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (এএফসিসিএল), যমুনা ফার্টিলাজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল), চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পিএলসি (জিপিএফপিএলসি), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল), কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল), বাংলাদেশ ইদুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফএল) এবং উসমানিয়া গ্লাসশীট ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউজিএসএফএল)।

শিল্পমন্ত্রী জানান, ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন মেশিনারিজ সংস্থাপন, স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োগে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, পণ্যের বহুমুখীকরণ, পণ্যের বিপণনে ই-সপ প্রস্তুতসহ বিভাগীয় শহরে শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি, ইনহাউজ প্রশিক্ষণ/কর্মশালার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ই-কমার্স সাইট তৈরির কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএসএফআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তুকি থেকে বের হওয়াসহ লোকসান কমানোর লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে।

তিনি জানান, বিসিআইসির অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টিএসপিসিএল ও ডিএপিএফসিএল ভর্তুকির আওতায় পরিচালিত। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে টিএসপিসিএল এবং ডিএপিএফসিএল মোট ১ হাজার ৭৭৭ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে। ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য সার কারখানাগুলোর প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান   শিল্পমন্ত্রী   নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। 

প্রথমত, ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয় সেজন্য তিনি নেতাকর্মীদেরকে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আওয়ামী লীগের প্রধান চাওয়া। 

দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যে কোন মূল্যে যেন উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ সেটি তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেখাতে চান। 

তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি প্রতিষ্ঠান, সেটি প্রমাণের জন্য উপজেলা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, উপজেলা নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব আবার প্রমাণিত হবে। বিএনপি ছাড়াও যে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু হতে পারে সেটি প্রমাণিত হবে। এ কারণে উপজেলা নির্বাচনে বেশ কিছু বিষয় সরাসরি নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দলের নেতাকর্মীদের জন্য একটি পরীক্ষা। কারা আওয়ামী লীগের আদর্শ নীতি অনুসরণ করে এবং কারা আদর্শ নীতির বিপক্ষে কাজ করে সেটি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে পাঁচটি বিষয়ে নজর রাখছেন। প্রথমত, এই নির্বাচনে মন্ত্রী এবং এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কিন্তু তারা নজরদারির মধ্যে আছেন এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত মন্ত্রী-এমপি যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলায় আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেছেন তারা ফল ভোগ করবেন। কাজেই মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কে কী ভূমিকা রাখছেন- এর ওপর নজরদারি রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বারবার দলের নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে বরদাস্ত করা হবে না। উপজেলা নির্বাচনে যেন কোনরকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয় সেজন্য তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। এই বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নজরদারির মধ্যে রেখেছেন, যে উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থী যেন প্রভাব বিস্তার করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করে সেটি খেয়াল রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থক কেউ যেন দলের স্বার্থ বিরোধী কোন তৎপরতায় যুক্ত না হয় সে বিষয়টিও নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চতুর্থত, উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসন যদি কোথাও পক্ষপাত করে, কোন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করে সেক্ষেত্রে তাদেরও ভবিষ্যতে হিসেব করা হবে বলেই সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি এই নির্বাচনে পক্ষপাত করে বা কাউকে সমর্থনের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সেটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসবে এবং ভবিষ্যতে সেটি তাদের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেল ৫ টায় কেওক্রাডং পাহাড় সংলগ্ন দুর্গম পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টহল দলের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ে কেএনএ এর একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

আইএসপিআর জানিয়েছে, পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কেএনএ সন্ত্রাসীদের ব্যবহারকৃত বাঙ্কার, পর্যবেক্ষণ চৌকি ছাড়াও ৩টি একে-২২ রাইফেল, ১টি শটগান, ৭১ রাউন্ড তাজা এ্যামোনিশন, ১৫৭ রাউন্ড শটগান এ্যামোনিশন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি, ১টি ড্রোন, ৩টি জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও মোবাইল ফোনসহ ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফের ঢাকা সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফের বাংলাদেশ সফরে ঢাকা আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তার সফরটি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক একটি সূত্র। 

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এটি লুর প্রথম ঢাকা সফর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১৪ থেকে ১৬ মে ঢাকা সফর করতে পারেন লু। তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসবেন। 

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, গত মাসে ডোনাল্ড লু ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে লু ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে তার ঢাকা সফরের আগ্রহের কথা জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকেও লুর ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে ঠিক কবে নাগাদ লুর সফর হবে, তা চূড়ান্ত ছিল না।

এর মধ্যে সোমবার (৬ মে) ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র-সচিব খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন