নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪২ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে আমি আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আজ সোমবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন শপথ নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সুতরাং জনগণের চাওয়া বুঝতে হবে। কিসে জনগণের কল্যাণ সেটা বুঝতে হবে। জনগণের কাছে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, যে ভোট তারা আপনাদের দিয়েছে, তার বিনিময়ে আপনারা যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন তাদের কি দিতে পারলেন, সেই হিসাবটা করতে হবে। আমরা সরকার গঠনের পর নানাবিধ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বরিশাল খ্যাত ছিল শস্যভাণ্ডার নামে। এই নামটি একসময় হারিয়ে যায়। আমরা আসার পর ফসলের উৎপাদন বাড়াতে নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। কিন্তু তার অবর্তমানে নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে অতিক্রম করতে হয়েছে। দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষার হার বৃ্দ্ধি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ নানা চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর অবহেলিত নয় কোনো দেশ, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।’
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাদকের হাত থেকে আমাদের পুরো সমাজকে মুক্ত করতে হবে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে চাই। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেইসঙ্গে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’