নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ২০ মে, ২০১৭
শুল্ক পরিশোধ করে ব্যাগ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে ২০ ভরির মতো (২৩৪ গ্রাম) স্বর্ণ আনার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিমানবন্দর হয়ে যাত্রীরা প্রতি ভরিতে তিন হাজার টাকা করে শুল্ক কর দিয়ে এই স্বর্ণ আনতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ব্যবস্থায় মানুষ সাধারণত ব্যাক্তি বা পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে স্বর্ণ আনেন।
আবার, বিদেশ থেকে আসার সময় গায়ে থাকা কোনো স্বর্ণালংকার খুলে নিতে পারে না শুল্ক কর্মকর্তারা। অনেকে এই সুযোগ ব্যবহার করে অলংকার গায়ে জরিয়ে বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগকে ফাঁকি দেন। অলংকার গায়ে জরিয়ে দেশে আসা এক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক সময়ই অলংকার নিজেদের জন্য আনা হয় না, বরং স্বর্ণালংকারের দোকানে এগুলো বিক্রি করা হয়।
অথচ, দেশের স্বর্ণের বাজারের চাহিদা মেটাতে স্বর্ণ আমদানির কোনো আইন নেই। আবার এটি কোনো নিষিদ্ধ পণ্যও নয়। আইনি একমাত্র ভরসা আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর অনুচ্ছেদ ২৬ (২২)। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব অনুমতি নিতে হয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন এই অনুমতি পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব ব্যাপার। অনুমতি চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মতে, আইনের মধ্যে থেকেই তারা এসব প্রশ্ন করে থাকেন। আর ব্যবসায়ীদের মতে, এটি এক কথায় আইনী বেড়াজাল।
এদিকে, শুল্ক গোয়েন্দাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব স্বর্ণ আটক করে তাও নিয়মিত নিলাম করা হয় না। জব্দ করা এসব স্বর্ণের নিয়মিত নিলাম এবং বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানি সহজ করতে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি চিঠিও দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। চিঠিতে জব্দ করা স্বর্ণের নিয়মিত নিলাম না হওয়া এবং আমদানির অনুমতি চাইতে গেলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার কথা তুলে ধরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে স্বর্ণ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) দাবি জানিয়ে আসছিল। এজন্য বিভিন্ন সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা।
চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোরাকারবারীদের কাছ থেকে যে স্বর্ণ আটক করে, তা নিলামে বিক্রির একটি বৈধ প্রক্রিয়া রয়েছে। যদিও ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ধরনের কোনো নিলাম হয়নি বলে দাবি করা হয়। ফলে এসব স্বর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পড়ে আছে।
বাংলা ইনসাইডার / এমএএম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
মন্তব্য করুন
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধানমন্ত্রী নসরুল হামিদ
মন্তব্য করুন
চাকরির বয়সসীমা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জনপ্রশাসন মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে দেওয়া এক ডিও লেটারে উল্লেখ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ৩৩ নং পৃষ্ঠায় শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আর এ রকম একটি ডিও লেটারে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দেশে চাকরির বয়সসীমা উল্লেখ করেছেন।