নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৯ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
গত নভেম্বর থেকে দুই দফা চেষ্টার পরও বাংলাদেশে অবস্থানকারী ১২ লাখ রোহিঙ্গার কাউকে নিজদেশে প্রত্যাবাসন করা যায়নি। এরই মাঝে মিয়ানমারে অবস্থানকারী ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে গতকাল সোমবার জাতিসংঘের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। এর ফলে শীঘ্রই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টি কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোহিঙ্গা নিধন অভিযান অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে ২০১৭ সালে রাখাইনে পরিচালিত দেশটির সেনাবাহিনীর নিধন অভিযানকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করে সেনাপ্রধানসহ দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘের ওই তিন সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুশম্যান গত বছরের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।
মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুশম্যান বলেছেন, রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর একই রকম অপরাধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিধন অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর। তারপর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।
মারজুকি দারুশম্যান বলেছেন, আমরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও গণহত্যা চালানোর মতো সকল অভিপ্রায়ের প্রমাণ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে তারা মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী পাশবিক এই অপরাধ করে আসলেও তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী হিসেবে স্থানীয় উগ্রপন্থী রাখাইন বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে এখন মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিনয় মোহন কোয়াত্রা
মন্তব্য করুন
গ্রেপ্তার কাচ্চি ভাই বেইলি রোড
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’