ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য ফাঁস; নেপথ্যে সেই ড্যাব নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৬ জুন, ২০২০


Thumbnail

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটায় একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়ম সামনে আসার পর এবার ফাঁস হলো তাদের কোটি কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের কেচ্ছা। আর ‘কেঁচো খুড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসার মতো এবারও এই দুর্নীতির নেপথ্য নায়ক হিসেবে সামনে আসছে সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার ও ড্যাব নেতা অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীরের নাম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক। এর আগে, বিভিন্ন প্রকল্পে তার নেতৃত্বে কয়েক শত কোটি টাকার অনিয়মের কথা আমরা জেনেছি। আর এবার জানা গেল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ পেতে যাওয়া ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও হয়েছে অন্তত ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার দুর্নীতি। এর পেছনেও রয়েছেন ডা. ইকবাল কবীর।

সম্প্রতি সরকার এক হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ঘোষণা দেয়। এরই অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত ২ জুন ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই ১৮৩ জনের তালিকায় আইইডিসিআর থেকে একজনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই তালিকায় যারা আছেন, তাদেরকে জনপ্রতি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছে। সংশিষ্টরা জানিয়েছেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর। মূলত তার নেতৃত্বেই এই তালিকা হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অডিও ফোন কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে টেকনোলজিস্টদের একটি সংগঠনের এক নেতা বলেন, টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপেও তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান। তাকে বলতে শোনা যায়, প্রত্যেকটি নিয়োগের জন্য ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা করে লাগবে।

সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, যারা নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন এনটিপি কর্মসূচি থেকে আসা ৬০ জন। দাতা সংস্থার অর্থায়নে চাকরি নিয়ে মে মাসের শেষ দিকে এবং জুনের ১ তারিখ ও ৭ তারিখ যোগদান করা সত্ত্বেও ২ জুন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পাঠানো নিয়োগের তালিকায় এনটিপি কর্মসূচির ওই ৬০ টেকনোলজিস্টের নাম এসেছে। এছাড়া নতুন নিয়োগ পেতে যাওয়াদের তালিকায়  ব্র্যাক থেকে আসা ৩৪ জন এবং পরিকল্পনা শাখা থেকে আসা ২৩ জন রয়েছেন। এদের প্রত্যেকেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বিভ্রান্তিকর, ভ্রান্ত এবং আত্মঘাতী একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাদের দায়িত্বহীনতা, দুর্নীতি এবং নানা সমন্বয়হীনতার কারণেই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনা মোকাবেলার সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার ও ড্যাব নেতা ডা. ইকবাল কবীরের হাতে। আর তিনিই করোনা মোকাবেলায় নিজের ইচ্ছামতো কেনাকাটা করছেন। তার এই কেনাকাটাগুলো ‘বালিশ কেলেঙ্কারি’কেও হার মানিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তো বটেই ডিজিটাল বাংলাদেশে সফটওয়্যার কিনতে গিয়েও এই ড্যাব নেতা যে মূল্য প্রাক্কলন করেছেন, তাতে কয়েকশ কোটি টাকার দুর্নীতি পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৩০ টা অডিও-ভিডিও তৈরি করতেই ডা. ইকবাল কবির খরচ ধরেছেন সাড়ে ১১ কোটি টাকা। ৪টি ওয়েবসাইট উন্নয়নের খরচের জন্য ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ৫টি ডাটাবেজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ৫টি কম্পিউটার সফটওয়্যারের জন্য ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। একজন সুশিক্ষিত চিকিৎসক হয়েও তার ‘চক্ষু লজ্জাহীন’ দুর্নীতির ফিরিস্তি সাধারণ চোর বাটপারদেরও লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। তবে এই লাইন বধিত হচ্ছে নতুন নকশায়। যা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের আশুলিয়া নয়, বর্ধিত হবে টঙ্গী পর্যন্ত।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। বর্ধিতাংশ আসছে বছর কমলাপুরে পর্যন্ত চালু হবে।

এদিকে এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত নেয়া হবে এ রেলপথ; পরিকল্পনা টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার।

উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পথ তৈরি হয়েছে বিআরটি। সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। ফলে এ পথে নতুন করে আরো একটি উড়াল রেলপথ বের করা অসম্ভব। যার জন্য রুট কোনটি হবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা।

মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এখন টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এ পথটি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ঐ অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে।

তিনি বলেন, যদিও প্রাথমিক পরিকল্পনায় এখনই এ অংশের কাজে হাত দেওয়ার কথা ছিল না। তবে এবার দ্রুত এ পথে হাঁটতে চায় ডিএমটিসিএল। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত নকশা হবে। এ পথটি যুক্ত হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ৪৮ মিনিট।


মেট্রোরেল   বাংলাদেশ   ঢাকা   রাজধানী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাইলট অসিম জাওয়াদ

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মেবিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ বহনকারী বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ পর হেলিকপ্টার থেকে তার কফিনবন্দি মরদেহ কাঁধে করে নামিয়ে আনেন বিমানবাহিনী সদস্যরা। পরে নিহত অসিমকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ছেলের কফিনবন্দি মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পরেন মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা।

পরে দুপুর ২টার দিকে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে জুমার নামাজের পর পাইলট আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পর লাশবাহী গাড়িতে করে মরদেহ সেওতা কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নানা মরহুম মোহাম্মদ রউফ খানের কবরে দাফন করা হয় এই পাইলটকে।

এদিকে পাইলট অসিম জাওয়াদের মরদেহ শেষবারের মতো এক নজর দেখতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ তার স্বজনরা। অসিমের মরদেহ বহনকারী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার করে তার বাবা আমানউল্লাহ, স্ত্রী অন্তরা আক্তার দুই সন্তানসহ স্বজনরা সেখানে নামেন। সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত অসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট অসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।


মানিকগঞ্জ   চিরনিদ্রায়   পাইলট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাত্র সন্তান বৈমানিক অসিম জাওয়াদকে হারিয়ে শোকে কাতর চিকিৎসক বাবা আমান উল্লাহ। সন্তানের লাশ সামনে রেখে তিনি জানান, জীবনের ঝুঁকি জেনেও একমাত্র সন্তানকে তারা বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রেখে সন্তান এভাবে চলে যাবে- সেটা কখনো ভাবতে পারেননি। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন ।

ড. আমান উল্লাহ বলেন, আমি তো ডাক্তার, আমি জানি কতটা জীবন ঝুঁকি আছে এ দায়িত্বে। ওর মাও নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওর পছন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, ঝুঁকি জেনেও বিমান বাহিনীতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিনি যে, আমার ছেলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। ও শুধু আমাদের ছেড়ে যায়নি। ওর ছোট্ট বাচ্চাগুলোকেও ছেড়ে গেল। আমি জানি না, ওর মতো করে বাচ্চাগুলোকে পালন করতে পারব কিনা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। 

কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

শুক্রবার (১০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার হাজারও মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে পাইলট অসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডেটিং অ্যাপসে বান্ধবীকে বিক্রি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা. সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।

সেখানে মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট করার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। রুম ডেটের কথা বলে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও নিয়েছে কারও কারও কাছ থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ বাজারও নিয়েছে।

নিজের ছবিতে যখন আর কাজ হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য বিকাশে টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন। অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অডিও ও মেসেজের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

বান্ধবীর দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন অন্য কেউ আর প্রতারিত না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করার পরই নিজের ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।


ডেটিং   অ্যাপস   বিক্রি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যমুনার বুকে দৃশ্যমান হল বঙ্গবন্ধু রেল সেতু

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যমুনা নদীর বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুটির সব কটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুটির গত এপ্রিল থেকেই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের পুরোটাই দৃশ্যমান। তবে এখনো শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৬ শতাংশ কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। বাকি কাজের মধ্যে এখন সেতুর ওপর ডুয়েল গেজ রেললাইন বসানোর কাজ চলছে’।

আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ রেললাইন বসানোর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ও লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনের কাজ ও কালভার্টগুলোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে’।

সেতুটির ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোটাই দৃশ্যমান। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

সেতুটির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার।

ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। নির্মাণ শেষে সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহনের খরচও। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে’।


যমুনা নদী   দৃশ্যমান সেতু   বঙ্গবন্ধু রেলসেতু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন