ইনসাইড বাংলাদেশ

খিচুড়ি নিয়ে জগাখিচুড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

খিচুড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতম চলছে। যার ছোঁয়া দেশের মূল ধারার মিডিয়া পেরিয়ে দেশের বাইরেও পাড়ি দিয়েছে। খিচুড়ি নিয়ে প্রশাসনের ইমেজের চরম একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা। শিশুদের স্কুলে কীভাবে খিচুড়ি বা মিড ডে মিল দেওয়া হবে তাঁর মহড়া চলছে অনেক দিন ধরেই। খিচুড়ি ভারতীয় শব্দ খিচড়ি থেকে এসেছে এবং খিচড়ি এসেছে সংস্কৃত শব্দ খিচ্চা থেকে।

খিচুড়ির ইতিহাস পরে বলছি তাঁর আগে জেনে নিই খিচুড়ি কেন আলোচনায়। সরকারী সূত্রে জানা যায় যে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের আওতায় ২০০১ সালে যশোর জেলায় অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করে। পরবর্তীতে যশোর জেলার অভিজ্ঞতা ইতিবাচক হওয়ায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচিকে তাদের নিয়মিত কান্ট্রি প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র তত্ত্বাবধানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পরামর্শক দ্বারা সম্পাদিত সমীক্ষা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যেসকল উপজেলাতে ফিডিং কর্মসূচি চালু ছিল, সে সকল উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থী ভর্তির হার, উপস্থিতির হার, প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সমাপনীর হার, নন ফিডিং উপজেলার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশী ছিল। এ ছাড়া ফিডিং উপজেলায় ড্রপ আউটের হারও নন ফিডিং উপজেলার তুলনায় কম ছিল।

প্রাথমিক শিক্ষাকে সকল স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার বুনিয়াদ হিসেবে বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত সমীক্ষা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রথমবারের মত অপেক্ষাকৃত দারিদ্র পীড়িত উপজেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্কুল ফিডিং প্রকল্প গ্রহণ করে এবং জুলাই ২০১০ সাল থেকে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এ প্রকল্পে একদিকে যেমন কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেছে, অন্যদিকে তেমনি একই প্রকল্পের অধীনে নিজস্ব অর্থায়নে ফিডিং কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করে।

এই ধরণের প্রকল্প শুরুর পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়লে বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবনের লামা উপজেলায় ডব্লিউএফপি’র সহযোগিতায় ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড-ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এই পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হওয়ার পর জাতীয় মিড-ডে মিল নীতিমালা-২০১৯ এর আওতায় দেশের ১৬টি উপজেলায় দুপুরের রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সরকার। তাঁর ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে সারা দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করবে সরকার। সপ্তাহের তিন দিন রান্না করার খাবার এবং তিন দিন উন্নত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিস্কুট দেওয়া হবে।  

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, অবিভক্ত ভারতে খিচুড়ির জন্ম। তাই খিচুড়িকে বলা হয়ে থাকে ভারতীয় উপমহাদেশের খাবার। এই উপমহাদেশে এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা গেলেও এটি মূলত মিসরীয় খাবার `কুশারি` থেকে আগত। মিসরীয় কুশারি বহুকাল আগেই বিশ্বের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। সাধারণত ওই সময় মিসর বা আশপাশের অঞ্চলে কুশারি নামের এই খাবারটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নানা ধরনের ডাল ব্যবহার করে তৈরি কুশারি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে বেশ সমাদৃত ছিল। পরবর্তী সময়ে সভ্যতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়, খিচুড়ি এংলো-ইন্ডিয়ান খাবার `কিজেরি`র একটি পরিবর্তিত রূপ।

১২০০-১৮০০ সালের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে বাংলায় খিচুড়ির আবির্ভাব। হালে ডালে গরিবের আমিষ বলা হলেও প্রথমদিকে ডাল ছিল উচ্চশ্রেণীর খাদ্য। ‘খিচুড়ির চার ইয়ার – ঘি পাঁপড় দহি আচার’ কথাটি চালু থাকলেও বাঙালি মানেই খিচুড়ি পাঁপড়। তবে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রন্ধন পটীয়সীরা বলেছেন “দই দিয়ে খিচুড়ি খাইতে মন্দ লাগে না। মনসামঙ্গল কাব্যে স্বয়ং শিব যে খাবারটি খাবার আবদার পার্বতীর কাছে জানিয়েছিলেন, তা হল খিচুড়ি।

গ্রীক দূত সেলুকাস উল্লেখ করেছেন ভারতীয় উপমহাদেশে চালের সাথে ডাল মেশানো খাবার খুবই জনপ্রিয় ছিলো। মরোক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা কিশরির কথা উল্লেখ করেছেন যা চাল এবং মুগ ডাল দিয়ে প্রস্তুত করা হতো। ১৫ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঘুরতে আসা রাশিয়ান পর্যটক আফনাসিই নিকতিন খিচুড়ির কথা তার লেখায় বর্ণনা করেছেন। চাণক্যের লেখায় মৌর্যযুগের চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে চাল, ডালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিসের লেখাতেও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের রাজসভার রান্নাঘরে খিচুড়ির কথা পাওয়া যায়। সপ্তদশ শতকে ফরাসি পরিব্রাজক তাভেরনিয়ের লিখেছেন, সে সময় ভারতের প্রায় সব বাড়িতেই খিচুড়ি খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। আকবরের মন্ত্রী ও ঐতিহাসিক আবুল ফজল রাজকীয় রান্নাঘরে বিভিন্ন ধরনের খিচু়ড়ি রান্নার কথা লিখেছেন। আইন-ই-আকবরিতে বিভিন্ন প্রকার খিচুড়ির প্রস্তুতপ্রণালী পাওয়া যায়। সেখানে আকবর এবং বীরবলের খিচুরি রান্নার একটি গল্প উল্লেখ করা হয়েছে। মুঘল রান্নাঘরে জাহাঙ্গীরের প্রিয় বিশেষ ধরনের খিচু়ড়ি তৈরি করা হতো পেস্তা, কিসমিস দিয়ে। সেই খিচুড়িকে জাহাঙ্গীর নাম দিয়েছিলেন ‘লাজিজান’। সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রিয় ‘আলমগিরি খিচড়ি’র কথাও জানা যায়। এই খিচড়িতে চাল, ডালের সঙ্গে মেশানো হত বিভিন্ন প্রকার মাছ ও ডিম।  

রাজকীয় খাবার হিসেবে হায়দরাবাদের নিজামের রান্নাঘরেও খিচুড়ি জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই খিচুড়ির ভাঁজে ভাজে থাকতো সুস্বাদু মাংসের কিমা। ১৯ শতকের ভিক্টোরিয়ান যুগে দেশে ফেরত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের হাত ধরে তা ইংল্যান্ডে পৌঁছায়। এই খিচুড়ি জনপ্রিয় ইংলিশ ব্রেকফাস্ট ‘কেদেগিরি` হয়ে ওঠে।

উনিশ শতকের মধ্যভাগে নিম্নবিত্ত মিশরীয়দের মধ্যে কুশারি নামে যে রান্নাটি জনপ্রিয় হয় তা খিচুড়িরই ভিন্নরূপ বলা যেতে পারে। এটি তৈরি হতো তুলশীমালা চাল, ডাল, চানা, ভিনিগার, টমেটো সস, পিঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে। পরে এই রান্নাটি তাদের সৈন্যশিবিরেও স্থান পায়।  

কোন দেশের মানুষের আচরণ কী হবে তা নির্ভর করে তাঁর পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতির উপর। যেমন জাপানের রাজা যদি কোন নির্দেশ বা অনুরোধ করে তাহ তা জাপানের প্রায় সব জনগণ তা মেনে চলেন। একই ভাবে মেনে চলে ইংল্যান্ডের জনগণ। এটা তাঁদের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি। একইভাবে তাঁদের পারিবারিক বা সামাজিক সংস্কৃতি উন্নত বলেই তাঁদের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি এতো উন্নত। স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কুলের ছেলে মেয়েরা কী ধরণের আচরণ করে তাঁর উপর গত ১০ বছর স্কুলের শিক্ষক, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অফিসার-কর্মীরা জেনে গেছেন, তারা দক্ষতাও অর্জন করেছে। উনারা বিদেশে খিচুড়ি তৈরি বা তাঁর ব্যবস্থাপনা নিয়ে কী শিখবেন? ১০ সন্তানের বাবা বা দাদার কী সন্তান বা নাতিদের কাছে সংসার চালানো আর সন্তানের জন্ম দান, মানুষ করা, ইত্যাদি নিয়ে কোন শিক্ষা নেওয়ার দরকার আছে? সরকারী কর্মকর্তাদের যে ব্যাখ্যা এখন দিচ্ছেন, তা গা বাঁচানো একটা জগা খিচুড়ি উত্তর বলে দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছেন।           



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পুলিশের হাতে আটক ভুয়া র‌্যাব সদস্য, নকল ড্রেস, ওয়াকিটকি ও নকল পিস্তল উদ্ধার

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail উদ্ধারকৃত নকল র‌্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি, পিস্তল

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ্যাবের নকল ড্রেস, ওকিটকি নকল পিস্তলসহ নানা মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মুন্সিগঞ্জ থানার গজারিয়া পুলিশের একটি দল কাশিয়ানী পুলিশের সহায়তায় কাশিয়ানী উপজেলার চরচাপতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের ভাড়া করা ওই গ্রামের হাবিবুর মোল্রার বাড়ির নিচ তালার একটি ঘর থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেএম রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘গত ২৩ এপ্রিল দুবাই ফেরত কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মজিদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার ঢাকা-চট্রগ্রামের মহাসড়কে এশিয়া ট্রন্সপোর্টের একটি বাসের গতি রোধ করে তাকে র‌্যাব পরিচয়ে তাদের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

ভূয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউল-এর নেতৃত্বে অস্ত্রের মুখে তার (নুরুজ্জামান) কাছে থাকা নগদ ১৭ লাখ টাকা ২৮ লাখ টাকার স্বর্নালংকার মোট ৪৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং পরে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার একটি ইটের ভাটার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।

ব্যাপারে গজারিয়া থানায় মামলা হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নজরুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার সকালে পুলিশ এসব মালামাল উদ্ধার করে।

ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী জালালউদ্দিন ওরফে রবিউলের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুসুমদিয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


ভূয়া র‌্যাব   ডাকাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের আট জেলার ১৯ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো…

১। লক্ষ্মীপুর

সদর উপজেলা:  ১. দক্ষিণ হামছাদী, ২. দালাল বাজার, ৩. বাঙ্গাখা, ৪. লাহারকান্দি, ও ৫. তেওয়ারীগঞ্জ।

২। দিনাজপুর

বিরল উপজেলা: ৬. আজিমপুর, ৭. ফরক্কাবাদ, ৮. বিরল।

৩। রাজশাহী

পুঠিয়া উপজেলা: ৯. পুঠিয়া।

৪। পটুয়াখালী

সদর উপজেলা: ১০. কমলাপুর, ১১. ভুরিয়া।

৫। বরগুনা

আমতলী উপজেলা: ১২. আমতলী।

৬। সাতক্ষীরা

সদর উপজেলা: ১৩. আলিপুর।

৭। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার

কসবা উপজেলা: ১৪. কুটি

৮। কক্সবাজার 

ঈদগাঁও উপজেলা: ১৫. ইসলামপুর, ১৬. ইসলামাবাদ, ১৭. জালালাবাদ, ১৮. ঈদগাঁও, ১৯. পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙ্গে ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মোটসাইকেল শোডাউন করছে ছাত্রলীগ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। এসময় বিভিন্ন দলীয় স্লোগান দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে এ শোডাউন দেন। তবে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা বাইরে কোনো অবস্থাতেই কোন রকম মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ৭২টি কক্ষে ২৫ হাজার ১১৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়াসহ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


ছাত্রলীগ   নির্বাচনী আচরণবিধি   মোটরসাইকেল   শোডাউন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনা অভিযানে ২ কুকি-চিন সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রুমায়  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।  

অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। 

এর আগে পরপর কয়েকটি অভিযানে কুকি চিনের একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী। 

এ ছাড়া অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।


সেনাবাহিনী   অভিযান   কুকি-চিন   নিহত   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকে যশোরে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যশোরে অব্যাহত তাপ প্রবাহে হিট স্ট্রোকে আহসান হাবীব নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বজনের দাবি হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। 

 

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবীব সকালে মাঠে কাজ করে ৯ টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

 

যশোর জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ জানান, 'সকালে জরুরী বিভাগে ওই রোগীকে আনা হয়। রোগীর স্বজনরা বলছে যে সে সকালে মাঠে কাজ করেছে, রোদে গিয়েছে, তাদের দাবি যে হিট স্ট্রোকে ওই স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা চুড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি।’

জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা যে, সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারে। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।  


তীব্র তাপদাহ   হিট স্ট্রোক   স্কুল শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন