নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১
দশম ব্যাচের মেধাবী কর্মকর্তা সাহান আরা বানু। এখন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও তার পদটি গ্রেড ওয়ান কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি সচিব হতে পারেননি। অথচ তার চেয়ে পিছনে থাকা অনেকে সচিব হয়ে গেছেন। তেমনি, শেখ মুজিবর রহমান এখন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনিও দশম ব্যাচের একজন মেধাবী কর্মকর্তা। তিনিও সচিব হতে পারেননি। কিন্তু গ্রেড ওয়ান হয়েছেন। এরা দুজন ভাগ্যবান যে তারা গ্রেড ওয়ান হতে পেরেছেন কিন্তু তাদের ব্যাচের অনেক মেধাবী কর্মকর্তা রয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত সচিব হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা অনেকেই সচিব হয়েছেন।
একজন আমলার সর্বোচ্চ পদ হলো সচিব হওয়া। যে কোনো বিসিএস কর্মকর্তা যখন চাকরিতে ঢুকেন তখন তার চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকে যে তিনি শেষ পর্যন্ত সচিব অবসরে যাবেন। কিন্তু বেশিরভাগ কর্মকর্তার কপালে সেটি জোটে না। মেধার কারণে জোটে না, যোগ্যতার কারণে জোটে না, নানা রকম জটিলতা সমস্যা এবং চাকরি জীবনে নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণেই বাস্তবে সচিব হওয়া সকলের পক্ষে হওয়া সম্ভব হয়না। আমাদের দেশের সরকারি চাকরির কাঠামোটা পিরামিড আদলে। অর্থাৎ নিচে অনেক বেশি কর্মকর্তা প্রবেশ করে, যত পদন্নোতি হতে থাকে তত ঝরে পড়ে। তারপর আস্তে আস্তে মাত্র কয়েকজনই সচিব হতে পারেন। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পদটি যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং মেধার ভিত্তিতে হয় সেটি দীর্ঘদিনের দাবি এবং প্রত্যাশা। তবে এই দাবি এবং প্রত্যাশা অধিকাংশ সময় পূরণ হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে যে, আমলাদের মধ্যে একটা সিন্ডিকেট রয়েছে এবং এই সিন্ডিকেটে যারা পছন্দের ব্যক্তি তাদেরকেই সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের বাইরে থাকলে পদোন্নতি পাওয়া যায়না। পদোন্নতি এবং ভালো জায়গায় পোস্টিং বা যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে আমলাদের একটি প্রভাবশালী মহল তৈরি হয়। যে প্রভাবশালী মহল আসলে পদোন্নতি এবং ভালো জায়গাগুলোতে পোস্টিং দেওয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। আর সেই প্রভাবশালী আমলাদের যদি আস্থাভাজন এবং অনুগত না হওয়া যায় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই পদোন্নতি হয় না।
বেশিদিন আগের কথা নয়, ৮৪ ব্যাচের অন্যতম মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন রোকসানা কাদের। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এবং তার উদ্যোগে গ্যাবির সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করতে পেরেছিল। কিন্তু ওই মেধাবী কর্মকর্তা শেষ পর্যন্ত সচিব হতে পারেননি। এরকম সচিব হতে না পারার তালিকা অনেক দীর্ঘ অথচ তাদের ব্যাচের অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরাও সচিব হয়েছেন বলে সচিবালয়ে কান পাতলেই শোনা যায়। এত গেলো সর্বোচ্চ পদ গ্রহণ নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। আবার অনেক সময় ভালো জায়গায় পোস্টিং পাওয়ার ক্ষেত্রেও একটা সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও কিছুদিন আগেও একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট ছিল। সেই সিন্ডিকেটের কারণে ড. মোজাম্মেল হোসেন খান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হতে পারেননি বলে গণমাধ্যমে লেখালেখি প্রকাশিত হয়েছিল। তবে মোজাম্মেল হোসেন খান সৌভাগ্যবান। তিনি সিনিয়র সচিব হয়েছেন। পরে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত পেয়েছেন।
এরকম অনেকেই আছেন যারা যোগ্যতাসম্পন্ন কিন্তু তারা ভালো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন না। ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল ইসলাম। তিনি এক সময়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। কিন্তু চাকরি জীবনে এসে তিনি সচিব হতে পেরেছিলেন বটে কিন্তু তার যোগ্যতা অনুযায়ী আরেকটা ভালো মন্ত্রণালয় তার প্রাপ্য ছিল বলেই অনেকে মনে করেন। এরকমভাবে মেধা এবং যোগ্যতা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র একটা প্রভাবশালী গ্রুপের অনুগত হয়ে পদোন্নতি এবং ভালো পোস্টিং, সরকারি কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা এবং মেধার উৎকর্ষতা বিকাশের পরিপন্থী বলে অনেকে মনে করছেন। এখন সরকারি কর্মকর্তাদের যদি যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং পোস্টিং না হয় সেটি ভবিষ্যতে আমলাতন্ত্রের আরেকটি নতুন সংকট তৈরি করবে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
মন্তব্য করুন
দুদক দুদক মহাপরিচালক শিরীন পারভীন
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।
এবার আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মরিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন আগের শিক্ষামন্ত্রী নেই। ডা. দীপু মনি এখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মহিবুল হাসান চৌধুরী, যিনি ডা. দীপু মনির সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি এখন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে? কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কেন পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে হবে এনিয়ে বিশিষ্টজনদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন একের পর এক হিট অ্যালার্ট দিচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ যখন দিনদিন চড়ছে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একগুঁয়েমি করছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
সকলেই দাবি করেন যে এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। সেখানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সহজে যেতে পারে। এবং করোনার সময় শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া এবার যে গরম পড়েছে, যে কয়দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছিল তাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক স্বাস্থ্যহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি রুটিনের দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমনটি শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। সেই রুটিনে অনেকগুলো বন্ধ থাকে। বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে, যেটি জুনে হওয়ার কথা। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে গ্রীষ্মের ছুটি এবং অন্যান্য ছুটিগুলো কমিয়ে এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাই যৌক্তিক। কারণ শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কোন দুর্ঘটনার মধ্যে পতিত হয়, তাহলে এটির দায় দায়িত্ব শুধু একা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বর্তাবে না, পুরো সরকারের ওপর বর্তাবে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা মনে করেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জোর করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে নেয়ার ফলে একটি অবিশ্বাসের সম্পর্ক হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্কের মেলবন্ধনই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান চর্চার জন্য জরুরী। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কর্তৃপক্ষ জোর করে খোলা রাখে, তাহলে স্বাভাবিক পরিবেশটি নষ্ট হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করে যে, অস্থিরতা না করে, একগুঁয়িমে না করে শিক্ষামন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করেবেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে তার অবস্থান পুর্নবিবেচনা করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র তাপদাহ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মন্তব্য করুন
মাছ ধরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
উত্তরের শস্য ভান্ডার বলা হয় নওগাঁকে। এই জেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয় সেই ধান দিয়ে এই জেলা চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায় বিক্রি করা হয়। ধানের পাশাপাশি আম উৎপাদনে পিছিয়ে নেই এই জেলার কৃষকরা। কিন্তু
গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। নওগাঁর সব আম বাগান গুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা। তাই আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার আম বাগানী ও চাষীদের মাঝে।
টানা দুই সপ্তাহের টানা গরম ও তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষীরা। এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে এ সমস্যা রোধ অনেকটাই সম্ভব।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সূত্র মতে, এ বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানূরুপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়। এমন পরিস্থিতিতে আমের নতুন রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই ফলন বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছেন চাষীরা।
বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। তপ্ত কড়াইয়ের মতো তেঁতে উঠেছে পথ-ঘাট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
পত্মীতলা উপজেলার আম চাষী কাজী ফেরদৌস হোসেন বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। তিনি আরও বলেন, এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটি
শূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারনা করছি।
পোরশা উপজেলার আম চাষি হাজি মিজানুর রহমান বলেন, এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাবো। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।
নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি কাজল কুমার মহন্ত বলেন, এবার ১৫বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচন্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্বকভাবে। কঠিণ পরিস্থিতে রয়েছি আমরা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি ।
মন্তব্য করুন
করোনাকালে প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষার ক্ষতি নিয়ে সে সময় অনেকে কথা বলেছেন, অনেকেই আহাজারি করছেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তারা বলেছেন, জীবন সবচেয়ে মূল্যবান। জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। তাই তারা অনলাইন এ ক্লাস চালু রাখেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরও বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে গড়িমসি করা হয়েছিল। এবং নজিরবিহীন ধীর নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল। এটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমালোচিত হয়েছিল।
উত্তরের শস্য ভান্ডার বলা হয় নওগাঁকে। এই জেলায় যে পরিমান ধান উৎপাদন হয় সেই ধান দিয়ে এই জেলা চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায় বিক্রি করা হয়। ধানের পাশাপাশি আম উৎপাদনে পিছিয়ে নেই এই জেলার কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছেনা সুফল। নওগাঁর সব আম বাগান গুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা। তাই আমের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে এখানকার আম বাগানী ও চাষীদের মাঝে।