নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২১
নয় বছর আগে ঢাকার আশুলিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনসে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১১১ জন পোশাক শ্রমিক নিহত ও ২০০ জনের অধিক আহত হয়। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার কাজ গত ৯ বছরেও সমাপ্ত হয় নি। এই নয় বছরে মাত্র ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়ে গেছেন এখনো ৯৫ জন।
মামলা সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কৌঁসুলি বলেন, সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। কারণ, অভিযোগপত্রে থাকা ঠিকানায় সাক্ষীদের অনেকে থাকেন না। সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আহত শ্রমিকরা এখনো তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি। ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার পরপরই কারখানার তৃতীয় তলার ফটকে তালা মেরে দেওয়া হয়েছিল।
আদালত সূত্র জানায়, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরের বছর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি অভিযোগপত্র দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যু’র অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আগুন লাগার পর শ্রমিকদের বের হতে না দিয়ে তাঁদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়।
সূত্রমতে, এ মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেন ভুক্তভোগী জরিনা বেগম। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আর কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেনি।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কৌঁসুলি রেহানা আক্তার বুধবার গণমাধ্যমে বলেন, ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ৬ বছরে ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রেহানা আক্তার মনে করেন, অভিযোগপত্রে যদি সাক্ষীদের মুঠোফোন নম্বর থাকত, তাহলে তাঁদের সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তাজরীনের এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ছাড়া অন্য আসামির মধ্যে আছেন তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল এবং স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম। সব আসামি জামিনে আছেন।
মন্তব্য করুন
আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট মুয়াজ। ছোট্ট শিশুর বাবা-মা পরিবার ও স্বজনদের সাথে খেলাধুলা এবং হই হুল্লোড় করার কথা। তবে ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস, এই ছোট্ট প্রাণটাকে এখন দিন যাপন করতে হচ্ছে হাসপাতালের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে বিধাতার পরিকল্পনা মুয়াজের বেলায় একটু ভিন্ন। তাইতো মুয়াজ এখন একটু শান্তির ঘুমের জন্য তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন নিচ্ছে। তবু ব্যথাতো তার কমে না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির খেলাধুলাভিত্তিক সংগঠন স্পোর্টস সাস্টের সাবেক সংগঠক জুলকারনাইন রাদের ছেলে মুয়াজ। সে দুরারোগ্য ব্যধিতে (Sacrococcygeal Teratoma Type II and suspected ERMS(Rhabdomyosarcoma) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে। প্রতি চার ঘণ্টা পর পর তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন দেয়া হচ্ছে শিশুটিকে।
স্বজনরা জানান, মুয়াজের পায়ুপথের পাশে সম্প্রতি একটি টিউমার শনাক্ত হয়। বর্তমানে এটি বেশ বড় এবং শক্ত থাকায় বায়োপসি করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় গত এক মাস ধরে শিশুটি ঢাকার আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে দুটি কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। তবে এর সুফল মেলেনি। টিউমারটি বর্তমানে বড় হয়ে পায়ুপথ বন্ধ করে ফেলেছে। এ অবস্থায় রমজানের ঈদের পরদিন কলোস্টোমি সার্জারি করা হয় মুয়াজের।
এরইমধ্যে ২০ এপ্রিল কেমোথেরাপির নতুন প্রটোকলে শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ দিন অন্তর অন্তর মোট আট সাইকেলে (এক একটি সাইকেল পাঁচ দিনব্যাপী) সর্বমোট ৪০ দিনের কেমোথেরাপি দেয়া হবে। পাশাপাশি টিউমার সার্জারি করে ফেলে দিতেও বলেছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ লাখেরও বেশি টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করা হয়েছে।
তবে দেশের চিকিৎসকরা শিগগিরই মুয়াজকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মুয়াজকে ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরিকল্পনা চলছে। তবে এর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখেরও বেশি টাকার প্রয়োজন।
সবার সহযোগিতা পেলে ছোট্ট মুয়াজ আবারও হয়তো ঘরময় হেঁটে বেড়াতে পারবে, আধোবোলে সবাইকে করে তুলতে পারবে বেতিব্যস্ত। মুয়াজকে সহায়তা পাঠাতে পারেন তার বাবার ব্যাংক হিসাবে।
Dutch Bangla Bank Limited
Account Name: K. M. ZULKERNINE
Account No. 2551580020269
Routing No. 090270424
Swift Code: DBBL BDDH
Branch: Panthapath
Islami Bank Bangladesh Limited
Account Name: K M ZULKERNINE
A/C Number: 2050 337 02 00895307
Routing Number: 125272447
Branch: Gandaria
অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিকাশ: 01551618574, 01533054254, 01799268610, 01683997324 রকেট: 019171950641 অথবা নগদে: 01917195064 পাঠাতে পারেন ছোট্ট মুয়াজের জন্য স্নেহ ও ভালোবাসার ছোঁয়া।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী তাহেরা আলমও। শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শারীরিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা দেশে ফিরবেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার কয়েক দিন পর আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগারে থাকার সময় থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার ওজনও কমেছে ৮ কেজি । জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আমির খসরু একাধিকবার ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন।
আমীর খসরু বিএনপি চিকিৎসার যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তীব্র তাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একপশলা বৃষ্টি সিলেটবাসীর মনে আনলও প্রশান্তি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। ঘণ্টাব্যাপী চলা বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি।
এদিন সন্ধ্যা থেকেই মৃদু হাওয়া বইছিল সিলেটে। রাত ১১টায় আসে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া।
বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন অনেকে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা গায়ে লাগিয়ে উপভোগ করতে থাকেন। অনেকে বৃষ্টির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের ফলে কৃষক থেকে দৈনিক মুজুরিতে কাজ করা মানুষদের জীবনে নেমেছে অন্ধকার। তাপপ্রবাহের কারণে শুরু হয়েছে 'হিটষ্ট্রোক'। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃষ্টির জন্য দেশের মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। উত্তপ্ত রোদে রাজধানীসহ জেলায় জেলায় হচ্ছে বিশেষ নামাজ।
সম্প্রতি আবহাওয়া অফিস সতর্ক দিয়ে জানিয়েছে, দরকার না পড়লে বাসা থেকে মানুষ বের হচ্ছে কম, কর্মদিবসেও সড়ক অনেকটা ফাঁকা, যাত্রীর জন্য ডেকে হয়রান বাস শ্রমিকরা।
এমতাবস্থায় বসে নেই সরকার। জনজীবনে স্বস্তি দিতে নিচ্ছে বিশেষ বিশেষ পদক্ষেপ। সম্প্রতি ঢাকার রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে পানি। জনগনের রাস্তায় চলাচলে কিছুটা স্বস্তির জন্য এসব পদাক্ষেপেও কমছেনা দূর্ভোগ। ক্রমেই তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এতো উত্তপ্ত সূর্য? কেনোইবা তীব্র গরমে নাভিশ্বাস হয়ে আছে দেশের মানুষ?
তাপমাত্রা বাড়ায় উত্তর মেরুর জমাট বাধা বরফ এবং হিমবাহগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে। ফলে সাগরের উচ্চতা বেড়ে উপকুলের নিচু এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
এছাড়া বিশ্বের অনেক অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে, মিথেনের মত আরেকটি গ্রিনহাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পৃথিবীর উষ্ণতা তাতে আরো বাড়বে, এবং বন-জঙ্গলে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়বে।
আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপর। সংকট এতোটাই প্রবল হয়েছে যে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তাপমাত্রা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে বেশি গরম পড়ছে। জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন বলছেন, ‘এর মানে গবেষণায় কিছু ফাঁক রয়ে যাচ্ছে। হয় পরিবেশব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে, নাহলে এমন কিছু হচ্ছে যা আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি।’
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জ্যেষ্ঠ জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন স্মিড বলছেন, গত বছরের গরমের কারণ হিসেবে এল ন্যানোর কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে গরম বেড়ে যাওয়ার যথাযথ কারণ এখনো জানা যায়নি। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক।
বিবিসি বলছে, জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ৩ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
সাধারণত কোন দেশের স্থানীয় সময়ের প্রায় একই সময়ে উত্তপ্ত হয় সূর্য। তবে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের পার্শ্বে সূর্য একই সময়ে উত্তপ্ত হয় না যার কারণ হিসেবে ধরা হয়, পৃথিবীর বিকেন্দ্রীভূত অবস্থানের কারণে পৃথিবীতে সময়ের পরিবর্তন। সম্পূর্ণ পৃথিবীতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় নেয় সূর্য কে একটি পূর্ণ বৃত্তে ঘুরাতে এবং এক দিনে আপনি সূর্য উত্তপ্ত দেখতে পারেন তখন যখন এটি হরিজন্ম লাইন সীমান্তের উপর অবস্থান করে। আর এই সময়েই বিভিন্ন দেশের সময়ের কারণে হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শেষ তিন দশকে বাংলাদেশের আবহাওয়া আগের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিপাত ও শীতের দিন কমছে, বছরের বড় অংশজুড়ে গরমের বিস্তার বাড়ছে। গড় তাপমাত্রা বেড়ে এপ্রিল মাস আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
সূর্যের এতো উত্তাপ কেন?
নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য সৌর পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে থাকে। নিউক্লিয়ার ফিউশন এর জন্য একটা প্রাথমিক উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়।
কোথা থেকে আসে এত তাপমাত্রা?
সূর্যের অন্তঃকেন্দ্র এত বেশি পরিমাণে গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স কাজ করে যে সেইখানে অত্যধিক চাপ এবং উষ্ণতা উৎপন্ন হয় এবং এই উষ্ণতা প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এত বেশি তাপমাত্রায় দুটো হাইড্রোজেন একসাথে মিলিত হয়ে হিলিয়াম পরমাণুতে পরিণত হয় এবং বেশকিছু শক্তি নিঃসৃত করে।
এছাড়াও, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে..
গ্রীষ্মকালীন পরিবর্তন: অতিরিক্ত গরমে জীবন আবহাওয়ার সাথে পরিবর্তন হতে পারে। শীতলতা এবং অতিরিক্ত উষ্ণতা প্রদানের জন্য বাসা বা কার্যস্থলে কুলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করা।
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা: গ্রীষ্মকালে পৃথিবীতে পরিবর্তনশীল সূর্যের প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বন্যা: বন্যার জন্য বেড়ে যেতে পারে তাপমাত্রা। বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড এবং গ্রীষ্মাক্ত গ্যাস হারিয়ে যাযওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
উষ্ণতার সাধারণ বৃদ্ধি: তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে ব্যক্তিগত যাতায়াত। সাধারণত উচ্চাকাঙ্খা মানুষজনের বিলাশিতায় এসি না শিতল যন্ত্র এবং উন্নত পরিবেশের ব্যবস্থাপনারর ফলে অতিরিক্ত গরমের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
গ্রীষ্মকালীন ক্লাইমেট চেঞ্জ: পুরো বিশ্বে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বা আন্তর্জাতিক উষ্ণতার উত্থান এবং বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা–হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে পানির নিচ থেকে শুরু হয় অগ্নুৎপাত। তাতে যে গ্যাস বের হয়, তা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছে। কিন্তু এতেও কিন্তু গরম এতটা বেড়ে যাওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন নাসার জলবায়ু বিশারদ গ্যাভিন।
এ ছাড়া সূর্যের চক্র, জলবায়ু রহস্য নিয়েও অনেকে কথা বলেন। কিন্তু এগুলো ঠিকঠাক কারণ বলেও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন না। আসলে যথার্থ কারণ এখনো বের করতে পারেননি তাঁরা। সেটি জানতে আরও গবেষণা দরকার বলেই মনে করা হচ্ছে।
গেল বছরে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মান ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১’ এর শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ফলে জলবাযু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বৃক্ষ নিধন রোধ ও গাছ লাগানো, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, ইঞ্জিনচালিত গাড়ির ব্যবহার কমানো, রিসাইকেল করা, জনসচেতনতা সৃষ্টি সহ আরও পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। জলবায়ু পরিবর্তনে ও এর প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে আমাদের এসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা বাধ্যতা মূলক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট মুয়াজ। ছোট্ট শিশুর বাবা-মা পরিবার ও স্বজনদের সাথে খেলাধুলা এবং হই হুল্লোড় করার কথা। তবে ভাগ্যর কি নির্মম পরিহাস, এই ছোট্ট প্রাণটাকে এখন দিন যাপন করতে হচ্ছে হাসপাতালের চার দেয়ালের মধ্যে। তবে বিধাতার পরিকল্পনা মুয়াজের বেলায় একটু ভিন্ন। তাইতো মুয়াজ এখন একটু শান্তির ঘুমের জন্য তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ মরফিন নিচ্ছে। তবু ব্যথাতো তার কমে না।
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত। গত কয়েক দিন, দেশজুড়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। স্মরণকালের দাবদাহ চলছে দেশে। থমকে আছে জনজীবন। নাভিশ্বাসে পরিণত হয়েছে জীবনচলা। দূর্ভোগ পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা।