নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ২৫ জুলাই, ২০১৯
টানা কয়েকদিনের পতন শেষে সূচকে বড় ধরণের উল্লম্ফনের পর স্থিতিশীল রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল বুধবার দেশের দুই পুঁজিবাজারেই লেনদেন আগের চেয়ে বেড়েছে। শেয়ারের মূল্যসূচকও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে বুধবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়, যা আগের দিন ছিল ৩১৭ কোটি ০৬ লাখ টাকা। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ পয়েন্টে। কমেছে অর্ধেক পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসইতে) লেনদেন আগের দিনের চেয়ে চার কোটির টাকার বেশি বেড়ে ১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ পয়েন্ট।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল দর বাড়ার শীর্ষে ছিল আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড। এই দিন ওই ফান্ডটির ইউনিটের দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ইউনিটটি সর্বশেষ ৬ টাকা ৭০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন ফান্ডটি ৩৩২ বারে ১৮ লাখ ৮ হাজার ৬৬৮টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড। গতকাল তাদের ইউনিটের দর বেড়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ টাকা ৭৮ শতাংশ। ইউনিটটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন ফান্ডটি ১৭২ বারে ১ লাখ ৭ হাজার ৫২৫টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসইএমএল আইবিবিএল সরিআহ ফান্ড। এই দিন ফান্ডটির ইউনিটের দর বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। ফান্ডটির সর্বশেষ ১৪ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। ফান্ডটি ২০ বারে ৫০ হাজার ৯৫৩টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
এছাড়া ডিএসই’তে দর বৃদ্ধির তালিকায় দশের মধ্যে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, ফোনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও গ্রীন ডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত ন্যাশনাল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।