নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ০৭ অক্টোবর, ২০১৭
ঈসমাইল পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। চাকরি করেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিস করে বাসায় ফিরতে হয় ঈসমাইলকে। সপ্তাহে একদিন ছুটি থাকলেও ছেলে-মেয়েকে সময় দেওয়া, বাসার টুকটাক কাজ করেই দিনটি চলে যায়। ঈসমাইলের স্ত্রীও দীর্ঘদিন ধরে চার দেয়ালে মধ্যে আবদ্ধ থাকতে থাকতে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঈসমাইলও দীর্ঘদিন ধরে ভাবছিলেন ঢাকার বাইরে কোথাও ঘুরে আসতে পারলে নিজেও একটু স্বতিবোধ করতে পারতেন। কিন্তু পরিবার নিয়ে ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাওয়া মানেই অনেক টাকার ব্যাপার। মাস শেষে যে বেতন পায় তা দিয়ে বাসা বাড়া, সংসার, ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচেই শেষ হয়ে যায়।
ঈসমাইল তাঁর এক বন্ধুর কাছে বিষয়টা শেয়ার করেন। বন্ধু তাঁকে পরামর্শ দিয়ে বলেন,‘আরে বন্ধু তুমি তো ব্যাংক থেকে ট্রাভের লোন নিতে পার’। ঈসমাইল তার বন্ধুর কথা মত কয়েকটা ব্যাংকে গিয়ে ট্রাভেল লোন সম্পর্কে খোঁজ খরব নেয়। খোঁজ খরব নিয়ে তার সুবিধামত ব্যাংক থেকে ট্রাভেল লোন নিয়ে তার পরিবার সহ ঘুরতে যান।
এভাবে যারা ঈসমাইলের মত স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী অথবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের কথা মাথায় রেখে ব্যাংকগুলো ভ্রমণ ঋণের ব্যবস্থা করছে। ট্রাভেল লোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যাংকেরই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। ট্রাভেল নোন পেতে চাইলে আপনাকে নিয়মগুলো জানতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ব্যাংক কীভাবে লোন সুবিধা দিচ্ছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
ডাচ- বাংলা ব্যাংক ২০০৭ সালের জুন মাস থেকে ট্রাভেল লোন সুবিধা দিচ্ছে। মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতন হলেই চাকরিজীবীরা ট্রাভেল লোন পেতে পারেন। লোন দেওয়া হয় ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। মেয়াদ ১-৪ বছর। সুদের হার ১৭ দশমিক ৫। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে স্যালারি সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসার বয়স হতে হবে ন্যূনতম ৩ বছর। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি। এছাড়াবিজনেস রিলেটেড অন্যান্য কাগজপত্রও জমা দিতে হবে।
যোগাযোগ: সেনাকল্যাণ ভবন (৪র্থ তলা), ১৯৫ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা। ফোন: ৭১৭৬৩৯০-৯৩
প্রাইম ব্যাংক
চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ী উভয় শ্রেণির জন্যই ট্রাভল লোন দিচ্ছে প্রাইম ব্যাংক। এজন্য ভ্রমণের দিন তারিখ সব কিছু ঠিকঠাক করে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এই কোটেশন নিয়ে গ্রাহক প্রাইম ব্যাংকের ট্রাভেল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সর্বনম্ন ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা ট্রাভেল লোন হিসেবে প্রদান করে প্রাইম ব্যাংক। চাকরিজীবীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে অফিস আইডি,পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে। লাগবে দুজন গ্যারান্টারও। ব্যবসায়ীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। ঋণের মেয়াদ ১-৩বছর।
যোগাযোগ : হেড অফিস : ২৯ রাজউক এভিনিউ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। ফোন : ৯৫৫৪৪৬১, ৭১৬০৮৯৭, ওয়েব : www.primebank.com
ব্র্যাক ব্যাংক
চাকরিজীবীদের জন্য ট্রাভেল লোনের ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। কিছু শর্ত সাপেক্ষে পাওয়া যাবে ট্রাভেল লোন। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মাসিক বেতন হতে হবে ১৫ হাজার টাকা।আবেদনপত্রের সঙ্গে পে স্লিপ অথবা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, পাসপোর্টের ফটোকপি প্রদান করতে হবে। সাধারণত ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ট্রাভেল লোন দেয়ব্র্যাক ব্যাংক। লোনের মেয়াদ ১২-৩৬ মাস। সুদের হার ১৫-১৭ ভাগ।
যোগাযোগ : ১০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (২য় তলা), বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ৮৮৩৬৬৪৭, ৮৮৩৬০৮৮
দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড
সিটি ব্যাংকের আলাদাভাবে ট্রাভেল লোন সার্ভিস না থাকলেও যে কেউ শর্তপূরণ সাপেক্ষে পার্সোনাল লোন হিসেবে ট্রাভেল লোন পেতে পারেন। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকাপর্যন্ত পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে সিটি ব্যাংক। মেয়াদ ১২ থেকে ৬০ মাস। সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো গ্যারান্টর প্রয়োজন হয় না। প্রসেসিং ফি ১ ভাগ। চাকরিজীবীদেরক্ষেত্রে বর্তমান চাকরিতে ৬ মাসসহ ১ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ২ বছর এবং পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে ১ বছর। ন্যূনতম মাসিক আয়- চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ হাজার টাকা,পেশাজীবীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ৩০ হাজার টাকা। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
যোগাযোগ : দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, জীবন বীমা টাওয়ার, ১০ দিলকুশা, ঢাকা-১০০০। ফোন : ৯৫৬৫৯২৫-৩৪। ওয়েব : www.thecitybank.com
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের মতো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকও আলাদাভাবে ট্রাভেল লোন প্রদান করে না। তবে যে কেউ পার্সোনাল লোন নিয়ে ট্রাভেল করতে পারেন। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকাবেতন হলে পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। লোন পাবেন সর্বোচ্চ বেতনের ১৫ গুণ। সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লোন প্রদান করে থাকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।আবেদনপত্রের সঙ্গে চাকরিজীবীদের অবশ্যই আইডি কার্ড, ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সেলারি সার্টিফিকেট এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমাদিতে হবে।
যোগাযোগ: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড, ৬৭ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা। ফোন : ৮৮৩৩০০৩। ওয়েব : www.standardchartered.com/bd
আইএফআইসি ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংকে হলিডে ঋণ ছুটির দিন পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দেশ-বিদেশে কাটাতে আইএফআইসি থেকে হলিডে ঋণ নিতে পারেন। সহজ শর্তে আইএফআইসি ব্যাংকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষটাকা ঋণ দেয়া হয়। ১২ থেকে ৩৬ মাসের সহক কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে। যোগাযোগ ৯৫৬৩০২০, ৯৫৬২০৬০, ৯৫৬২০৬২, ৯৫৬২০৬৮। ফ্যাক্স: ৮৮০-২-৯৫৬২০১৫ ৮৮০-২-৭১৬১৬৪৪।বিস্তারিত: info@ificbankbd.com
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্রাভেল লোন দিয়ে থাকে অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। এ সুযোগ ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবী উভয় শ্রেণীর জন্যই উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট শর্তপূরণ করেযে কেউ ইস্টার্ন ব্যাংকের এ সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন। ১-৫ বছর মেয়াদি এ লোনের সুদের হার ১৮ ভাগ। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভিসা, পাসপোর্টেরফটোকপি জমা দিতে হবে। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে নিয়মটা একটু ভিন্ন। এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে টিন সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফটোকপি।
যোগাযোগ: ২৯ রাজউক এভিনিউ, ৪র্থ তলা, ঢাকা-১০০০। ফোন : ৯৫৬৭১৬৫, ফ্যাক্স : ৮৮ ০২ ৯৫৫৯২৫৭।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।
দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
১. ফেডারেল রিজার্ভ
তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ব্যাংক অব জাপান
এটি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।
৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।
সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।
৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।
৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স
ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।
ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৬. ব্যাংক অব ইতালি
ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৭. ব্যাংক অব স্পেন
স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।
৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক
এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।
সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে।
চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
বিশ্ব ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মন্তব্য করুন
ডলার সংকট রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস স্বর্ণ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ের মৌসুম ধরা হয় দুই ঈদে। ঈদকে সামনে রেখে এ সময় প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছে টাকা পাঠায়। তবে গেলো ঈদের মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯০ কোটি ৮০ মার্কিন ডলার। এ মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছিল ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে পরের ১০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে। দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। ডলার সংকটের কারণে অনেকগুলো বিষয় সংকট আসছে। ডলার যে বাড়বে সে দিকেও কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরে এ কারণ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে আমদানি ব্যয় মেটানোর। আর অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসার পথগুলোতেও এখন স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে না।
ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার শুরুতেই বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যে পাঁচটি ব্যাংকের নাম কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে এর মধ্যে দুটি ব্যাংক আপত্তি জানিয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত হলেও একীভূত হতে নারাজ ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিবর্তে খেলাপি ঋণ ও সাধারণ ঋণ আদায় জোরদারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে চায় ব্যাংকটি। গতকাল শনিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।