ইনসাইড এডুকেশন

মাধ্যমিকে ভর্তির ১০ হাজার আবেদন বাতিল, অভিভাবকদের কান্না

প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail মাধ্যমিকে ভর্তির ১০ হাজার আবেদন বাতিল। ফাইল ছবি

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের মতো ছাত্র-ছাত্রী লটারিতে নির্বাচিত হলেও একাধিক আবেদন চিহ্নিত হওয়ায় এসব আবেদন বাতিল করা হয়েছে। অনেক সময় কম্পিউটারের দোকান থেকে ভর্তির আবেদন করায় কম্পিউটারের দোকানি ভুল তথ্য দেওয়ার কারণেও এসব আবেদন ফরম লটারিতে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের ভর্তি বাতিল করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।   

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুয়ায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা অনুসরণ করেই এসব এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাউশি’র একাধিক কর্মকর্তা।


এদিকে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েও সন্তানকে ভর্তি না করাতে পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন অনেক অভিভাবক। 

অন্যদিকে, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল এবং বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজে-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বেশি নেওয়া ও ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়ম বন্ধ তদন্তে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারজন উপ-সচিবের নেতৃত্বে পৃথক চারটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। এতে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি মনিটরিং কমিটি, আটটি বিভাগীয় মনিটরিং কমিটি, ৫৫টি জেলা মনিটরিং কমিটি জেলা সদরের এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরেজমিন মনিটরিং করে মাউশি’তে রিপোর্ট দেবে।      

জানা গেছে, নুসরাত জাহান ইমা, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাচমেন্ট কোটায় লটারিতে নির্বাচিত হয়েও ভর্তি হতে পারছে না। গত এক মাস আগে তারা মতিঝিল কলোনি থেকে নয়াপল্টনে চলে যায়। কিন্তু স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করার সময় কলোনির ঠিকানা ও ক্যাচমেন্ট উল্লেখ করায় নির্বাচিত হয়েও পছন্দের স্কুলে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে সন্তানকে নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে কান্না করে সাহায্য চাইতে গিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

এই শিক্ষার্থীর মা ইসমত জাহান জানান, তার মেয়ে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে। বর্তমানে তাকে মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মতিঝিল কলোনির একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করেন। আবেদন করার সময় তাকে না জানিয়ে দোকানদার ক্যাচমেন্ট এলাকা উল্লেখ করেন। যখন আবেদন করা হয় তখন তারা কলোনিতে ছিলেন। গত এক মাস আগে পল্টনে চলে যান।

তিনি বলেন, ‘লটারিতে আমার মেয়ে ক্যাচমেন্ট কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। তাকে ভর্তির জন্য নিয়ে গেলে কলোনির বাসার কাগজপত্র চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমরা এখন সেখানে থাকি না জানালে স্কুল ভর্তি নেয় না। সে কারণে একটি লিখিত আবেদন নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) স্যারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।’ ‘এতেও কোনো লাভ হচ্ছে না’-বলে কেঁদে দেন তিনি। আবেদন করার সময় দোকানদার ক্যাচমেন্ট উল্লেখ করেছিলেন সেটি তিনি জানতেন না বলে জানান এই অভিভাবক।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। আমার উপার্জন দিয়ে পরিবার ও ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা চলে। পঞ্চম শ্রেণিতে আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপরের ক্লাসে ভর্তির জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করি। আমার পক্ষে বেসরকারি স্কুলে বেশি টাকা ব্যয় করে পড়ানো সম্ভব নয়।’

খবর নিয়ে জানা গেছে, এবার সারাদেশে ৫শ’৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯টি শূন্য আসনে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি আবেদন করা হয়। গত ১২ ডিসেম্বর লটারির মাধ্যমে সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আলাদাভাবে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি করা হয়। লটারির মাধ্যমে একটি নির্বাচিত ও আরেকটি অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচিত তালিকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হয়। যে সব আসনে ভর্তি হয়নি সেখানে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, সারাদেশে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একাধিক আবেদন করেছে। সে সব শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের আবেদন বাতিল করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের বেশি এমন আবেদন বাতিল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও একজন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য দেড় শতাধিক আবেদন করেছে বলেও চিহ্নিত হয়েছে।

একাধিক আবেদন করা শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকে কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করেছেন। তথ্য ভুল হওয়ায় দোকানদার না জানিয়ে একাধিক আবেদন করেছেন। অনেকের আবেদন করার সময় তথ্যগত ভুল হওয়ায় তারা একাধিক আবেদন করেছেন। কেউ কেউ আবার লটারিতে নির্বাচিত হতে ইচ্ছা করেই একাধিক আবেদন করেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি’র পরিচালক বেলাল হোসাইন বলেন, ‘যাদের একাধিক আবেদন চিহ্নিত হচ্ছে তাদের ভর্তি বাতিল করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এটি করা হচ্ছে। এ জন্য টেলিটকের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি নীতিমালার বাইরে কারও কিছু করার নেই। আবেদন করার সময় কেউ ভুল করলে সেটির জন্য তাকে মাসুল দিতে হবে। এসব ভুল সংশোধন করার মতো আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই। নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীর আবেদনে সব তথ্য সঠিক না পাওয়া গেলে তার ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। ভুল করে যদি কেউ ভর্তিও হয় পরে সেটি চিহ্নিত হলে তার ভর্তি বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।’

মাউশি’র বিদ্যালয় (সরকারি) শাখার সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী বলেন, ‘সারাদেশে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো ছাত্র-ছাত্রী লটারিতে নির্বাচিত হলেও একাধিক আবেদন চিহ্নিত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। অধিকাংশ অভিভাবক ভর্তির আবেদন কম্পিউটারের দোকানির মাধ্যমে করে। দোকানদার ভুল করেও এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। সেটি হয়তো আবেদনকারী জানতেও পারে না।’


মাধ্যমিকে ভর্তি   আবেদন বাতিল   মাউশি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

‘তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক, তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি‌র হার। কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

ঈদুল ফিতর ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ ও বিরূপ আবহাওয়া অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আনন্দ।

দেশব্যাপী বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান অভিভাবকরা।‌


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তাপপ্রবাহের মধ্যে খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নতুন সিদ্ধান্তে চলবে ক্লাস

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের মধ্যে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলল। আাজ রোববার (২৮ এপ্রিল) এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে।

দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয় আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে দেশের দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো-

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তাপপ্রবাহ: শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে দায় নিতে হবে সরকার ও প্রতিষ্ঠানকে

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যয়েও শুরু হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রাক-প্রাথমিক বাদে সব স্তরের ক্লাস শুরু হবে। তবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

সংগঠনটি বলছে, সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে সবাই বাধ্য। এ সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে যদি কোনও শিক্ষার্থীর শারীরিক কোনও ক্ষতি বা জীবন বিপন্ন হয়, তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের তেমন কোনও উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও রবিবার থেকে সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার পরিপত্র জারি করেছে সরকার। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য দেশের সব মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যদি কোনও শিক্ষার্থীর কোনও রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোনও রকম ক্ষতি হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, বড়রাই যেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি অব্যাহত থাকায় সামনে আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরাও আরও এক সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানোর দাবি করেছি। কিন্তু সরকার তা শোনেনি। এরপর যদি কোনও শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়, এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।


অভিভাবক ঐক্য ফোরাম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ, এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় ১২ মার্চ। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


এসএসসি   শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।

এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার (‘বি’ ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (‘সি’ ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন।

চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসেবে আসনপ্রতি লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলে ১২-২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।


গুচ্ছ   ভর্তি   পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন