নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মহামারী করোনা সংক্রমণের গতি নিম্নমুখী হওয়ায় অক্টোবর থেকে আসতে পারে সব স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা। এ নিয়ে কথা বলতে ইতোমধ্যে আগামী বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হলে জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির ক্লাস বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে আংশিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। স্কুল-কলেজগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চলছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে এর ব্যত্যয়েরও অভিযোগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলে দেওয়া স্কুল-কলেজগুলোতে বর্তমানে চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নিলেও প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অন্যান্য শ্রেণিতে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। যদিও আগামী রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিকের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সপ্তাহে দুদিন করে ক্লাস নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরু থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছয় দিন আর অন্য সব শ্রেণির সপ্তাহে তিন দিন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা আসতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান, স্বাভাবিক ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে দুদিন করে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও আগামী মাসের (অক্টোবর) শুরু থেকে সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন-চারদিন করে ক্লাস শুরু করা হতে পারে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ে আর অষ্টম-নবম শ্রেণির সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হতে পারে। ক্লাসের সংখ্যা না বাড়ালে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না, এ বিষয়টিও চিন্তাভাবনায় রেখেছে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে কয়েক বছর চলে যাবে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ক্লাস নেয়া হচ্ছে, তাতে করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেবাস অসম্পন্ন থেকে যাবে। সে কারণে ধাপে ধাপে ক্লাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ খোলার আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে একটি ইউনিক ক্লাস রুটিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা বাতিল করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে তাদের সুবিধা মতো ক্লাস নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ দিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) পক্ষ থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কবে কার ক্লাস নেয়া হবে, সেটি উল্লেখ করে জানানো হয়, শনিবার নবম শ্রেণি, রোববার অষ্টম, সোমবার সপ্তম, মঙ্গলবার ষষ্ঠ, বুধবার নবম ও বৃহস্পতিবার অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিতে হবে। সপ্তাহে ছয় দিনই চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম স্বাভাবিক হোক। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও জাতীয় কমিটির মতামত নেয়া হয়ে থাকে। ধাপে ধাপে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান স্বাভাবিক করতে পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, পরিমার্জন ও বাস্তবায়নসহ চলমান শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক পর্যায়ে কীভাবে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপত্বিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের দুই সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও সেই মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক, তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার। কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
ঈদুল ফিতর ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ ও বিরূপ আবহাওয়া অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আনন্দ।
দেশব্যাপী বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান অভিভাবকরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয় তীব্র তাপদাহ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহের মধ্যে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা
খুলল। আাজ রোববার (২৮ এপ্রিল) এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে
না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
জানায়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির
পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল
৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে।
দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে
৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর
থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয় আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে দেশের দেশের সব স্কুল-কলেজ
ও মাদ্রাসা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে,
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো-
১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ
খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত
হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে
যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের
জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যয়েও শুরু হচ্ছে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রাক-প্রাথমিক
বাদে সব স্তরের ক্লাস শুরু হবে। তবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক
ঐক্য ফোরাম।
সংগঠনটি বলছে, সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে
সবাই বাধ্য। এ সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে যদি কোনও শিক্ষার্থীর শারীরিক কোনও ক্ষতি বা জীবন
বিপন্ন হয়, তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে
হবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সংগঠনের সভাপতি
জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে
স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার
দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের
তেমন কোনও উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও রবিবার থেকে সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার
পরিপত্র জারি করেছে সরকার। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে
বাধ্য দেশের সব মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যদি কোনও শিক্ষার্থীর
কোনও রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোনও রকম ক্ষতি হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট
স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল
কবির দুলু বলেন, বড়রাই যেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলে দিয়ে শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে
সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। নতুন করে হিট অ্যালার্ট
জারি অব্যাহত থাকায় সামনে আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরাও আরও এক সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানোর
দাবি করেছি। কিন্তু সরকার তা শোনেনি। এরপর যদি কোনও শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়, এর দায়ভার
সরকারকে নিতে হবে।
অভিভাবক ঐক্য ফোরাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী
৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি
ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত
প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে
যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর
সম্মতির ওপর।
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে
থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির
মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ
করে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ, এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী
উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয়
১২ মার্চ। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী
২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।
এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার (‘বি’ ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (‘সি’ ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন।
চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসেবে আসনপ্রতি লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।
এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলে ১২-২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
মন্তব্য করুন
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা। এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার (‘বি’ ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (‘সি’ ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।