ইনসাইড গ্রাউন্ড

সিলেটকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলল কুমিল্লা

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

উত্তেজনাকর ম্যাচে সিলেটকে সাত উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিপিএল শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে লিটন আর জনসন চালর্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চার বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লার মুখোমুখি হয় সিলেট। মুকুটের লড়াইয়ে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

আগের আট আসরে তিনবার শিরোপা জিতে সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চতুর্থ ট্রফি জয়ে তাদের সামনে ছিলো একটি মাত্র পরীক্ষা। ফাইনালে হারাতে হবে বিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির দল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। তবে লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা আগেই বুঝিয়ে দেয় সিলেটের দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিলেট পায় ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি। 

ইনিংসের প্রথম ওভারেই আন্ড্রে রাসেলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু প্রথম ওভারে আন্ড্রে রাসেল অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। শান্তর দুই বাউন্ডারি ও দুইটি বাই রানের বাউন্ডারিতে প্রথম ওভারেই ১৮ রান পায় সিলেট। শুরুটা উড়ন্ত হলেও দ্বিতীয় ওভারেই লাগাম টেনে ধরেন তানভীর ইসলাম। টুর্নামেনেটে দারুণ ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়কে ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার। আজও ব্যাট হাতে তিনে নেমে পড়েন সিলেট কাপ্তান মাশরাফি। তবে আগের দুই ম্যাচে সফল হলেও ব্যাট হাতে আজ ব্যর্থ মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যক্তিগত ১ রানে আন্ড্রে রাসলের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক। এরপর দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুশফিক। দুজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের অনবদ্য এক জুটি। 

এরপরেই খেল হারিয়ে ফেলেন টুর্নামেন্টে ব্যাক্তিগত ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা শান্ত। ৬৪ রান করে মইন আলীর বল সামনে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। শান্তর বিদায়ের পর আসেন রায়ান বার্ল। শুরু থেকেই এই জিম্বাইয়ানকে ফেরানোর একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ভিক্টোরিয়ান্স ফিল্ডাররা। শেষমেশ ১৩ রানে করে মুস্তাফিজের বলে কাটা পড়েন তিনি। রায়ান বার্লের বিদায়ের পরে ক্রিজে আসলেন আর গেলেন জর্জ লিন্ডে ও থিসেরা পেরারা। দুইবার জীবন পাওয়া লিন্ডে ফিরেন ৯ রান করে। তাকেও ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। এক প্রান্তে উইকেটে অবিচল ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

জবাবে ১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের বোলারদের উপর শুরু থেকেই চওড়া হন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সুনিল নারাইন। প্রথম দুই ওভারেই হাঁকান দুই বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারি। তবে তাদের লাগাম টেনে ধরতে বেশি সময় নেয়নি সিলেট বোলাররা। দলীয় ২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সুনিল নারাইনকে ফেরান রুবেল হোসেন। আউট হওয়ার আগে নারাইন এক ছয় এক চারে করেন দশ রান। তিনে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার অধিনায়ক ও ছিলেন নিষ্প্রভ। দলীয় ৩৪ রানে জর্জ লিন্ডের মাইন্ড গেমে ধরা পড়েন ইমরুল। তবে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান এনে দেন কুমিল্লার দুই ব্যাটার লিটন-চালর্স।

এরপর সিলেট বোলারদের উপর রীতিমত ঝড় তোলেন লিটন-চার্লস জুটি। ব্যাক্তিগত ৭ রানে চার্লসের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন রুবেল হোসেন, তার মাসুল দিতে হলো দলকে। প্রথম দশ ওভারে আর উইকেট হারায়নি কুমিল্লা। ফলে দুই উইকেট হারিয়ে দশ ওভারে কুমিল্লার বোর্ডে জমা হয় ৮৬ রান। সমীকরণ যখন ৪৪ বলে ৭২ রানের তখন উইকেটে সেট হওয়া লিটনকে ফেরান রুবেল হোসেন। ভেঙ্গে যায় লিটন-চালর্সের  ৭০ রানের অনবদ্য জুটি। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। লিটন আউট হওয়ার পরে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে কুমিল্লার নীড রান রেট। জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন হয় শেষ ৬ ওভারে ৬০ রান। তখনো উইকেটে ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন জনসন চালর্স ও মইন আলী। তবে ইনিংসের ১৫ তম ওভারে এসে মাত্র তিন রান দিয়ে খেলাটা নিজদের দিকে নিয়ে যান সিলেটের বোলার জর্জ লিন্ডে। ক্রমশই বাড়তে থাকে রিকায়ার্ড রান রেট। উইকেটে থেকেও দলের প্রয়োজন অনুযায়ী রান নিতে পারছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা জনসন চার্লস। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে রুবেলের উপর জমে থাকা সব রাগ ঝেড়ে ফেলেন ক্যারিবিয়ান এই তারকা। আর মুহূর্তে বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য। দলের যখন শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ৫২ রানের।  তখনি দানবীয় ইনিংস খেলেন চালর্স। রুবেলের এক ওভারে ২৩ রান তুলে ম্যাচকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আনেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত আর কোন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি সিলেটের বোলাররা। ফলে উইকেট চার বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।


বিপিএল   সিলেট   ফাইনাল   কুমিল্লা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে আলবিসেলেস্তেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail এনজো ফার্নান্দেজ

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর। বাকি নেই দুই মাসও। তবে এমন সময়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার আগে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে। তবে এখন প্রশ্ন তিনি কোপার আগেই সেরে উঠতে পারবেন কি না! আর তাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তেদের।

অনেকদিন ধরেই এনজো কুঁচকির নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করছিলেন, যাকে স্পোর্টস হার্নিয়া বলে। কোপা আমেরিকার আগে সেই সমস্যা সারিয়ে তুলতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সার্জারি করতে পাঠায়। যাতে করে কোপা আমেরিকার আগে পূর্ণ ফিটনেসে ফিরতে তিনি পর্যাপ্ত সময় পান। অবশেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার হার্নিয়া সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।

যদিও চেলসির চাওয়া ছিল চলতি মৌসুম শেষেই এনজো ফার্নান্দেজ যেন চিকিৎসকের ছুরির নিচে যান। কিন্তু ঐ সময় সার্জারি করালে বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারকে ছাড়াই কোপা আমেরিকায় খেলতে হতো আলবিসেলেস্তেদের। যে কারণে চেলসির ম্যাচ উপেক্ষা করেই সার্জারি করাতে চান এনজো। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলও হয়েছেন।

এদিকে এনজোর সফল সার্জারি শেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিয়েছেন জীবনসঙ্গীনি ভ্যালেন্টিনা কার্ভান্তেস। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠো, ভালোবাসা।’

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, হার্নিয়ার সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্বজয়ী এই আর্জেন্টাইনের শারিরীক ফিটনেস ঠিক হতে মাসখানেক সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আসর শুরু হবে। যেখানে আলবিসেলেস্তেরা উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলবে কানাডার বিপক্ষে।


এঞ্জো ফার্নান্দেজ   আর্জেন্টিনা   খেলাধুলা   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলির ব্যাটিংয়ে ধীরগতি, কঠোর সমালোচনায় গাভাস্কার

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই র‌য়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। পর পর টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে তারা। তবে গতকাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৩৫ রানে জিতেছে তারা। কিন্তু জেতার পরেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর  বিরাট কোহলি।

ম্যাচটিতে কোহলি ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেলেও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ম্যাচটি হারলে যার দায়টা হয়তো নিতে হতো তাকে। আর একারণেই ভারতীয় তারকা ব্যাটারের মন্থর ব্যাটিং নিয়েই চলছে সমালোচনা। তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কারও।

৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর, ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হয়ে যান কোহলি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কার মারে। কোহলির রান দলের জন্য মূল্যবান হলেও, তিনি যে গতিতে রান তুলেছেন, সেটা উদ্বেগের বিষয় বলে দাবি করেছেন গাভাস্কার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। সাবেক ভারতীয় এই ব্যাটার স্ট্রাইক রেটকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন।

প্রথম ১৮ বলে ৩২ রান করেছিলেন কোহলি। কিন্তু তার পরের ১৯ রান করতে তিনি খরচ করেন ২৫ বল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে গাভাস্কার বলেন, ‘বিরাট কোহলি মাঝের ওভারে তার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আমার ঠিক মনে নেই, তবে কোহলি ৩১-৩২ রান করার পর একটি বাউন্ডারিও মারেননি। আপনি যখন ওপেন করতে নামছেন এবং ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করছেন, তখন আপনার ১১৮ স্ট্রাইক রেট আশা করা যায় না। দল আপনার থেকে এমনটা আশা করে না। বরং আরও ভালো কিছু আশা করে।’

কোহলির মন্থর ব্যাটিংয়ের দিনে ঝড় তুলেছেন রজত পাতিদার। আরসিবির এই ব্যাটার মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পাতিদার ও শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিনের ইনিংসের সুবাদে ব্যাঙ্গালুরুর পুঁজি দুইশো ছাড়ায়। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিক হায়দরাবাদকে। যার বিপরীতে ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেনরা ঝড় তুলতে না পারায় কামিন্সের দল থেমে যায় ১৭১ রানে।


সুনীল গাভাস্কার   আইপিএল   ভিরাট কোহলি   ভারত   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্রাইটনকে উড়িয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ম্যানসিটি

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জুলিয়ান আলভারেজ

কিছুদিন পূর্বেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে গতবারের ট্রেবল জয়ী ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এতে করে ভেঙে পড়েনি আলভারেজ-ফোডেনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পেয়েই ব্রাইটনকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

এদিন ব্রাইটনের মাঠেই খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুটি গোল করেন ফিল ফোডেন। এরপর চতুর্থটি করে সিটির বড় জয় নিশ্চিত করেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন জুলিয়ান আলভারেজ। বল দখল, চাপ তৈরি করা থেকে শট– সর্বত্র ইতিহাদের ক্লাবটিরই দাপট ছিল।

মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে ব্রাইটন। তবে সিটি গোলরক্ষক এডারসন মোয়ারেস ব্রাইটনের ড্যানি ওয়েলবেকের শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন। পরবর্তীতে সপ্তদশ মিনিটে লিড নেয় সিটি। সতীর্থের বাড়ানো কিছুটা নিচু বলে ডি ব্রুইনা ডি বক্সের মাঝামাঝি থেকে হেড দেন, চমৎকার সেই প্রচেষ্টায় বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের গোলটি হয়েছে দারুণ, ২৬তম মিনিটে ফিল ফোডেনের ফ্রি-কিক শট ব্রাইটনের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। এটি প্রিমিয়ার লিগে ফোডেনের ৫০তম গোল।

বিরতির আগে ব্যবধান আরও বাড়ান ফোডেন। ব্রাইটনের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৪তম মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে ৩-০ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সফরকারীরা।

একইভাবে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে ধরে রাখে সিটি। তাদের হয়ে শেষ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেজ। প্রথমে ওয়াকারের প্রচেষ্টা রুখে দেন ব্রাইটনের আগুয়ান গোলরক্ষক। তবে ফাঁকা জায়গায় থাকা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ফিরতি বল পেয়ে যান। সেখান থেকে ফাঁকা জালে বল জড়াতে তিনি ভুল করেননি। দীর্ঘদিন পর প্রিমিয়ার লিগে গোল পেলেন আলভারেজ। এর আগে সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারি বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন। এই সময়ে অন্যান্য প্রতিযোগিতায় তিনি গোল করতে পারেন কেবল একটি।

এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৭ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট এখন ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলেই তারা দুই নম্বরে অবস্থান করছে। ৩৪ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান লিভারপুলের।


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   ম্যানসিটি   রিয়াল মাদ্রিদ   উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ব্রাইটন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হেড-ক্লাসেনদের তাণ্ডব নেই, ৬ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঠিক ১০ দিন আগে এই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে আইপিএল রেকর্ড ২৮৭ রান তুলেছিলেন ট্রাভিস হেড–হাইনরিখ ক্লাসেনরা। এবার সেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের মাঠেই আটকা পড়ল হায়দরাবাদ। ফাফ ডু প্লেসিদের ৭ উইকেটে ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে প্যাট কামিন্সের দল থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। 

হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়ে টানা ৬ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু। ৯ ম্যাচে ডু প্লেসিদের পয়েন্ট ৪, আর ৮ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১০।

টানা হারের মধ্যে থাকা বেঙ্গালুরু শুধু জয়েই ফেরেনি, হায়দরাবাদের তাণ্ডবও থামিয়েছে। ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান তোলার পরের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৬৬ রান তুলেছিল কামিন্সের দল। সেটি ছিল এবারের আইপিএলে হায়দরাবাদের ৮ ম্যাচে চতুর্থ দ্বিশতক আর তৃতীয় ২৬০‍+ ইনিংস।

আজ নিজেদের মাঠে রান তাড়ায় আরেকবার দুই শ পার করার সুযোগ ছিল কামিন্সদের সামনে। কিন্তু হেড–ক্লাসেনদের 'হাত খোলা'রই সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাকসের বলে হেড ফেরেন প্রথম ওভারেই, করেন ৩ বলে ১ রান। পাঁচে নামা ক্লাসেন নিজের দ্বিতীয় বলে স্বপ্লিল সিংকে ছয় মারলেও পরের বলেই ক্যাচ তোলেন। 

অন্যদের মধ্যে ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে ফেরেন যশ দয়ালের বলে। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদ শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ (৩৭ বলে ৪০) ও কামিন্সের (১৫ বলে ৩১) সৌজন্যে দেড় শ পার করে।

এর আগে বেঙ্গালুরুর রান দুই শ পার করাতে বড় ভূমিকা রাখেন রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিন। বিরাট কোহলি ৪৩ বলে ৫১ ও ডু প্লেসি ১২ বলে ২৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর এ দুজনই বেঙ্গালুরুকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। পাতিদার ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫০ রান। আর গ্রিন ২০ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।


বেঙ্গালুরু   হায়দরাবাদ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ইংলিশদের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র কয়েকদিন, এরপরেই  শুরু হতে চলেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর সেই আসরকে ঘিরেই একরকম ব্যস্ত সূচিতে রয়েছে প্রায় সবকটি প্রতিযোগী দেশ।

আসন্ন আসরটিকে নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা না থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা কথা আসছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে।যেমন- পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির বলেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথা। অন্যদিকে এবার টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জানান দেন ইংল্যান্ড তারকা আদিল রশিদ।

সর্বশেষ ২০২২ সালের বিশ্ব আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। আর সেখানেই ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখা লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। তবে সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চরম বাজে সময় পার করেছে ইংল্যান্ড। ছয় হার ও তিন জয় নিয়ে তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছিল সপ্তম অবস্থানে থেকে। 

অবশ্য নিজেদের খারাপ সময় নিয়ে কোথাও বলেছেন রশিদ। এ প্রসঙ্গে ইসিবির জাতীয় টেপ-টেনিস বল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে রশিদ বলেন, ‘আমরা একেবারে কম রান করেছি, যাইহোক যা হওয়ার হয়েছে। এটা (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) আমাদের সেরা টুর্নামেন্ট ছিল না, ব্যাট–বল কিংবা দল হয়ে কোনো বিভাগেই আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি। তবে আমি মনে করি আসন্ন (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরম্যাটের, যেখানে আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।’

তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের যে দল রয়েছে, এখানে থাকা ক্রিকেটারদের ভালো মাইন্ডসেট ও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। যদি আমরা একই বিশ্বাস নিয়ে সেখানে যেতে পারি, আমি আশাবাদী আমরা বাকি পথ সামলাতে পারব।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরো আসরে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল একটি ম্যাচে হারে ইংল্যান্ড। তবে পরবর্তীতে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়া করে ১৬ ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে জয় লাভ করে দলটি। 

অন্যদিকে সহজলভ্যভাবেই ফাইনালে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা। তাই এবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক অতীতে ভালো খেলিনি, কিন্তু মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দলও সেখান থেকে কামব্যাক করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে। 

যদি টি-টোয়েন্টিতে আপনি অনেক বেশি পরিকল্পনা সাজান, তবে আপনি নিজেদের ১৮০–১৭০ এ আটকে ফেললেন। আবার আপনি যদি সত্যিকার স্বাধীনতা নিয়ে খেলেন তাহলে আপনি ২৫০–৩০০ রানও করতে পারবেন।'

উল্লেখ্য, ১ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠার  আগে শেষবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। 

মে মাসের শেষদিকে দুই দল চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে। আর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪ জুন স্কটল্যান্ডকে মোকাবিলা করবে ইংলিশরা।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন