ইনসাইড গ্রাউন্ড

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা জয়ে টুর্নামেন্ট সেরা গার্ডনার

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা জয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। ক্রিকেটের ছোট্ট এ সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েরা যেনো অপ্রতিরোধ্য। আর ফাইনাল মানেই যেনো অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ-ওয়ার্নারদের মতোই দাপট দেখানো বেথ মুনি ও মেগ ল্যানিংরা এবার ছাড়িয়ে গেলেন স্মিথ-ওয়ার্নারদেরকেই। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুললো ক্যাঙ্গারুর দেশটি। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতহাস রচনা করা লরা উলভার্টদের নিজ মাটিতে বরণ করে নিতে হলো পরাজয়। আইসিসির কোন ইভেন্ট মিলিয়ে নারী-পুরুষ উভয়ের দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এ ফাইনাল ছিলো সর্বোচ্চ অর্জন। ইতিহাস রচনা করলেও শবনিম ইসমাল ও ক্যাপরা হতে পারেন নি সফল ইতহাসের রচয়িতা।

১০ ফেব্রুয়ারী ১০ দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। গ্রুপ পর্ব শেষে টিকে থাকে চার দল। যার মধ্যে ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া পায় সেমিফাইনালের টিকেট। শেষ চারে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে সপ্তম বারের মতো ফাইনালে উঠে অস্ট্রেলিয়া। রোমাঞ্চ ছড়ানো দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নারী ক্রিকেটের আরেক পরাশক্তির দেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতহাস তৈরি করে প্রোটিয়া মেয়েরাও। তবে শিরোপা হয়ত নতুন কোন ছোঁয়া স্পর্শ করতে চাইনি। তাই আফ্রিকার মেয়েদেরও আর শিরোপা জেতা হয়নি। তাদের ফাঁকি দিয়ে শিরোপা চলে যায় তাসমান পাড়ের দেশটিতে। ফাইনাল মঞ্চে ১৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা। ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৮, ২০২০ এর পর ফের ২০২৩-এ ক্যাঙারু বাহিনীরা নিজেদের আরও একবার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন বিশ্বমঞ্চে। 

টি-টোয়েন্টির জমজমাট বিশ্বকাপ লড়াই শেষে দেখে নেওয়া যাক ব্যাটে বলে দূতি ছড়ানো ক্রিকেটারদের।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার ছক্কার দৃশ্যায়ন। পুরুষদের ক্রিকেটে চার ছক্কা বেশি লক্ষণীয় হলেও কম যান না নারী ক্রিকেটারও। ম্যাচে সমান ভাবেই সমর্থকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন নারীরাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে যেমন দেখা মিলেছে শতকের তেমনি বল হাতেও বেশ সফল ছিলেন বোলাররা। করেছিলেন অসাধারণ সব ফিল্ডিং, লুফে নিয়েছিলেন দুর্দান্ত সব ক্যাচ। 

তবে ব্যাট হাতে সবার উপরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার লরা উলভার্ট। ফাইনাল মঞ্চে তার দল হেরে গেলেও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে নিজেকে করেছেন ইতহাসের অংশ। তবে প্রোটিয়া এ ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট ছিলোনা টি-টোয়েন্টি সুলভ। ৬ ম্যাচ মাঠে নেমে ১০৬ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৩০ রান। লরার যে ব্যাটিং প্রতিভা রয়েছে সেটি প্রমাণ করেছেন আরও একবার, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে করেছেন টানা তিন অর্ধশতকও। লরার পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইংলিশ তারকা নাটালি শিভার। ৫ ম্যাচ খেলা শিভারের ব্যাট থেকে এসেছে ২১৬ রান। তবে উলভার্ট থেকেও অনেক বেশি ছিলো ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট। ১৪১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা শিভার টুর্নামেন্টে করেছেন দুইটি অর্ধশতকও। হেক্সা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অজি ক্রিকেটার বেথ মুনি ২০৬ রান নিয়ে আছেন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায়। ১১৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন অজি এ উইকেট কিপার ব্যাটার। রান সংগ্রাহকের সেরাদের কাতারে না থাকলেও পাকিস্তানের মুনিবা আলি গড়েছেন রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র শতকটি এসেছে তার ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে যে কোন ক্রিকেটারের হয়ে এটিই ছিলো প্রথম শতক।

বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টোন। তার দল সেমিফাইনালে হারলেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করে সোফি আছেন সবার শীর্ষে। শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে না হারলে হতেন টুর্নামেন্ট সেরাও। সোফি ৫ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ৬ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অজি তারকা গার্ডনার। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে গার্ডনার করেছেন টুর্নামেন্ট সেরা বোলিংও। গ্রুপ পর্বের সে ম্যাচে ১২ রান দিয়ে কিউইদের ৫ উইকেট শিকার করছিলেন গার্ডনার। যে ইনিংসটি গার্ডনারকে নিয়ে গেছে শীর্ষদের কাতারে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার ভারতের রেনুকা সিংহ ঠাকুরের। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন রেনুকা। তবে উইকেট সংখ্যার দিক দিয়ে সেরা পাঁচে নেই এ ভারতীয়। অজি তারকা মেগান শাট সতীর্থ গার্ডনারের মতোই খেলেছেন ৬ ম্যাচ। ১০ উইকেট শিকার করে আছেন টুর্নামেন্টের উইকেট শিকারির সেরা তিনে। তবে ব্যাটে বলে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপট দেখানো হ্যাট্রিক শিরোপা জয়ী দেশটির সেরা অলরাউন্ডার গার্ডনারের হাতে উঠে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার। অজি এই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে করেছেন ১১৫ রান ও বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। 

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপের অষ্টম আসরে অংশগ্রহণ করেছিলো বাংলাদেশ নারী দলও। তবে অতীতের মতোই  নিজেদের টানা পঞ্চম বিশ্বকাপে বুকভরা হতাশা নিয়েই ফিরে এসেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। গ্রুপ পর্বের ভরাডুবির ইতিহাস কাঁধে নিয়ে জয়হীন থেকেই দেশে আসে টাইগ্রেসরা।


নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   অস্ট্রেলিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দ্বিতীয় ম্যাচে বৃষ্টির হানা, তবুও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে নেমে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। বিশ্বকাপের পূর্বে বর্তমানে টাইগ্রেসরা খেলছে ভারতের সাথে। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছিল টাইগ্রেসরা। সেখানেও জয়ের মুখ দেখতে পায়নি জ্যোতির দল।

এদিন ম্যাচে টাইগ্রেসদের ইনিংস থেকেই বৃষ্টি হানা দিয়েছে কয়েকবার। তবে বৃষ্টির মাঝেও ইনিংস সম্পন্ন করে বাংলাদেশ। তবে এদিন কোন ব্যাটাররাই যেন ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। আর ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়লেন মুরশিদা খাতুন।

সিলেটে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১১৯ রানে। ৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ রান করা ভারত বৃষ্টি আইনে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ ব্যবধানে।

১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মুরশিদার ব্যাটে ভালো সংগ্রামের আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে ৪২ থেকে ৬৯ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ষষ্ঠ উইকেটে রিতু মনিকে নিয়ে এরপর ৩২ রান যোগ করেন মুরশিদা।

তবে আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ১২০ রানের আগেই শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশ শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ১৯ রানে।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শেফালি ভার্মাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান মারুফা আক্তার। সেই শেষ। ৩০ বলে ৪৭ রানের জুটিতে বৃষ্টিতে খেলা থামার আগে ভারতকে এগিয়ে রাখেন স্মৃতি মান্ধানা ও দয়ালান হেমালথা। স্মৃতিকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে স্ট্রোকসের ফুলঝুরিতে হেমালথা মাত্র ২৪ বলে করেন ৪১, চার মারেন ৫টি আর ছক্কা ২টি৷


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বজুড়ে ধুম পড়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তেমনই পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশও।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনস্থ গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি ইতোমধ্যেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্বাচন করে ফেলেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিতে পাঠানোর অপেক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচক কমিটির বাছাই করা দলে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও দীর্ঘ চোট কাটিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামীকাল ১ মের মধ্যে ১৫ জনের দল পাঠাতে হবে আইসিসিতে। তবে এই দলে পরিবর্তন আনা যাবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর সেই পরিবর্তন বোর্ডগুলো আনতে পারবে বিনা শর্তে। অর্থাৎ ১৫ জনের দলের কেউ চোটে পড়লে তো বটেই, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো কারণেও দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

বিসিবির নির্বাচক কমিটি সে কারণেই দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনকে দলে রাখার ঝুঁকিটা নিতে চাইছে। সর্বশেষ বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে ১৫ জনের দলের একজন হয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বিশ্বকাপের বিমানে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পারফরম্যান্সের সঙ্গে অবশ্যই সাইফউদ্দিনের ফিটনেসেও চোখ থাকবে নির্বাচকদের। হোক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ, এত দিন পর মাঠে ফেরা যেকোনো ক্রিকেটারেরই ফিটনেসে জড়তা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ যে থাকবেন, সেটা অনেকটা অনুমেয়ই। বিপিএলে ভালো খেলেছেন, সেই ধারা ধরে রেখেছেন ৫০ ওভারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। গত মাসে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলেছেন ৩১ বলে ৫৪ রানের একটি ইনিংস। সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলেই জানা গেছে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ মে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ১৭ জনের নাম ঘোষণা করেছিল বিসিবি। যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বলে সাকিব আল হাসান সেই দলে ছিলেন না, আইপিএলে ছিলেন বলে মোস্তাফিজুর রহমানও না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ওই ১৭ জনের মধ্যে নেই হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার।

যেহেতু ২৫ মের আগে প্রয়োজনে দলে পরিবর্তন আসতে পারে, আইসিসিতে পাঠানো ১৫ খেলোয়াড়ের তালিকা বিসিবি এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা নাও করতে পারে। যত দূর জানা গেছে, এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বোর্ড।

সূত্র জানিয়েছে, ২৫ মের আগে বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে যদি কোনো পরিবর্তন আনাও হয়, খুব জরুরি না হলে নির্বাচকেরা এই ১৯ জনের বাইরে তাকাবেন না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টির সিরিজের পারফরম্যান্স অবশ্যই ভূমিকা রাখবে তাতে। চোটের কারণে সৌম্য প্রথম তিন ম্যাচের দলে না থাকলেও নির্বাচকদের চোখ আছে তাঁর ওপরও। চোট কাটিয়ে খেলায় ফিরে ভালো কিছু দেখাতে পারলে তাঁরও জোর সম্ভাবনা থাকবে বিশ্বকাপের দলে থাকার।


বাংলাদেশ   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ভারত

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে থেকে ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা। এবার সেই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ভারতও।

২০০৭ সালের শিরোপাজয়ীরা ভিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিশাভ পান্তকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বমঞ্চে যাচ্ছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি শুভমান গিল এবং রিঙ্কু সিংয়ের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইয়াশভি জায়সাওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পান্ত, সাঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ ক্রিকেটার- শুভমান গিল, রিংকু সিং, আভেষ খান, খলিল আহমেদ।


ভারত   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বিরাট কোহলি   রোহিত শর্মা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এইডেন মার্করামকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপিএল এ চ্যাম্পিয়ন ডেভিট মিলার রয়েছে এ দলে। তাছাড় প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন অনভিষিক্ত দুই ক্রিকেটারও।

বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলের ব্যাটিং ইউনিটে আছেন অভিজ্ঞ কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনড্রিকস, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার ত্রিস্টান স্টাবস।

পেস ইউনিটে নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নরকিয়া, মার্কো জানসেন জেরাল্ড কোয়েৎজের ওপর।

স্পিন বিভাগের রয়েছেন, কেশব মহারাজ, তাবরাইজ শামসি ও জর্ন ফরটুইন। এছাড়াও বিশ্বকাপে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা দুই ক্রিকেটার হলো রায়ান রিকেলটন এবং ওটনিয়েল বার্টমান।

এছাড়াও নান্দ্রে বার্গারের সঙ্গে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন লুঙ্গি এনগিডি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিয়েল বার্টমেন, জেরাল্ড কোয়েৎজে, কুইন্টন ডি কক, জর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো জানসেনহেনরিখ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ত্রিস্টান স্টাবস।

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে ডি গ্রুপে। যেখানে তাদের সঙ্গী শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ নেপাল। ১০ জুন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার।


টি-২০   বিশ্বকাপ   প্রোটিয়া   দক্ষিণ আফ্রিকা   দল ঘোষণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জস বাটলারকে অধিনায়ক করে ইংল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার জস বাটলারকে অধিনায়ক করে এবং জোফরা আর্চারকে ফিরিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ঘোষিত এ দলে চমক হিসেবে আছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার টম হার্টলি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় আসছে আসরের জন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ১৫ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ইসিবি। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ সময় ১ মে। তবে ২৫ মে পর্যন্ত দলে পরিবর্তন আনা যাবে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই।

২০২৩ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন আর্চার। চোটের কারণে মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই পেসার সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ৬ মে, আইপিএলে। তবে ডান হাতের কনুইয়ের ইঞ্জুরি সেরে ওঠায় বিশ্বকাপে খেলতে চলেছেন আর্চার। বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার জন্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।

এবারের আসরে গ্রুপ বি’তে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান। আগামী ৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে জস বাটলারের দল।

ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।


জস বাটলার   ইংল্যান্ড   জোফরা আর্চার   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন