ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিন বাকিরাও কম যান নি। দুই পার্টটাইমার ছাড়া একমাত্র নাসুম আহমেদই কোন উইকেটের দেখা পাননি। এক ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান দেয়ার পর তাকে আর বোলিংয়েই আনেন নি সাকিব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১১৭ রানে অলআউট করে উৎসবের উপলক্ষ্য তো বোলাররাই তৈরি করে রেখেছিলো। বাকি কাজটা সারার দ্বায়িত্ব বর্তায় ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। সে চ্যালেঞ্জ সামলে নিয়ে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। তাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার কোন সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।

প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে ছিলো সিরিজ নিশ্চিত করার হাতছানি। শুধু সিরিজ নয়, অজেয় ইংল্যান্ডের বাঁধা টপকে যাওয়ার সুযোগও। ক্রিকেটের তিন সংস্করণের কোন ফরম্যাটেই এখন পর্যন্ত একমাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই কোন সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি ছিলো বাঁচা-মরার লড়াই। এরকম ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ সামনে নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড।

এদিন সফরকারিদের ব্যাটিং অর্ডারের শুরুতেই পরিবর্তন দেখা যায়। ফিল সল্টের সাথে জশ বাটলারের জায়গায় ইনিংস শুরু করেন ডেভিড মালান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুর আভাস দিলেও ছন্দ হারিয়েছে দ্রুতই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মালান। এর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ফিল সল্ট ও মঈন আলী। নাসুম আহমেদের করা ষষ্ঠ ওভার থেকে ১৩ রান তুলে নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষে ভাল স্থানে ছিলো ইংলিশরা। ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ১ উইকেটে ৫০ রান। তবে এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।

৭ম ওভারে বোলিংয়ে এসেই দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। দারুণ এক টার্নিং ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে সাকিবের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। পরের ওভারে দারুণ এক ইয়র্কারে ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারের স্টাম্প ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। টানা দুই ম্যাচে এই পেসারের কাছেই উইকেট হারালেন জশ বাটলার। ৮ম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন মেহেদী মিরাজ। বল হাতে নিয়েই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন মিরাজ। মাত্র ২ রান দিয়ে সে ওভারের শেষ বলে মঈন আলির উইকেট তুলে নেন এই অফ স্পিনার। পাওয়ার প্লের পর স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ইংলিশরা।

তবে ১৫তম ওভারে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে এক বলের ব্যবধানে দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। দ্বিতীয় বলে স্যাম কারেন এবং চতুর্থ বলে ক্রিস ওকসকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। 

এতে বড় সংগ্রহের আশা ভেস্তে যায় ইংলিশদের। নিজের শেষ ওভারেও দলকে উইকেট এনে দিয়েছেন মিরাজ। নিজের কোটার শেষ বলে ক্রিস জর্ডানের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটি রাঙিয়ে গেলেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন মিরাজ। যা তার ক্যারিয়ার সেরা। সেই সাথে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক স্থানে। এই ম্যাচের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৯ রানে ৩ উইকেট ছিলো তাঁর সেরা।

বেন ডাকেট একাই যা একটু লড়াই করেছেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে মাটি কামড়ে পরে ছিলেন তিনি। স্পিনারদের সুইপ-রিভার্স সুইপে রান বের করেছেন। তবে ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই মুস্তাফিজের একটি লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে পরাস্ত হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। বেশ খানিকটা দৌড়ে এসে শূন্যে ভেসে দারুণ এক ক্যাচ নেন শান্ত। যা বাংলাদেশের সমর্থকদের চোখে লেগে থাকবে অনেকদিন। ২৮ রান আসে ডাকেটের ব্যাট থেকে, যা ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে আজ দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাদের শরীরি ভাষাতেই তা ছিলো স্পষ্ট। বেন ডাকেটের পর চতুর্থ বলে রেহান আহমেদ এবং শেষ বলে জফরা আর্চার রান আউট হলে ১১৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হন। দলীয় ১৬ রানে স্যাম কারেনের বলে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ফিল সল্টের হাতে লিটন ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। আর্চারের পেসে ঠিকমতো টাইমিং করতে না পারার খেসারত দিয়ে ২৭ রানে আউট হন রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ২ উইকেটে ৩২ রান।

লক্ষ্য ছোট হলেও দ্রত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই সাথে নিয়ন্ত্রিত বোলিংকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলতে দেন নি ইংলিশরা। সিঙ্গেল-ডাবলসে রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তবে ম্যাচের ১০ম ওভারে এসে আদিল রশিদের উপর চড়াও হন তৌহিদ হৃদয়। সে ওভার থেকে দুই চারে ১০ রান তুলে নেয় দল। পরের ওভারে অভিষেক ম্যাচ খেলা রেহান আহমেদের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন হৃদয়। নিজের দ্বিতীয় বলেই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেটের দেখা পেয়ে যান এই লেগ স্পিনার। ৫৬ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

তবে চতুর্থ উইকেটে শান্ত ও মিরাজ ৪১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। ওভার প্রতি রানরেট বাড়লেও ইংলিশদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজনে। এসময় বাউন্ডারির চেয়ে স্ট্রাইক বদলের ক্ষেত্রে মনেযোগ দেন দুই ব্যাটার। তবে আদিল রশিদের করা ইনিংসের ১৪তম ওভার থেকে ১১ এবং মঈন আলীর করা পরের ওভার থেকে ১২ রান তুলে নিয়ে বলের সাথে রানের ব্যবধান কমিয়ে আনেন দুই ব্যাটসম্যান। তবে ১৬তম ওভারে আর্চারের বলে মিডঅনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ।

ক্রিজে এসে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। দল যখন জয় থেকে ১৮ রান দূরে তখন মঈন আলীর শিকারে পরিণত হন তিনি। পরের ওভারে আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে যান আফিফ হোসেন। ম্যাচে নাটকীয়তা ফিরে আসে। শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৩ রানের।

ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে সে শঙ্কা কমান নাজমুল হোসেন শান্ত। স্ট্রাইকে গিয়ে জর্ডানকে টানা দুই চার মেরে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন আহমেদ। ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।


বাংলাদেশ   ইংল্যান্ড   টি-টোয়েন্টি   মিরপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ টি-২০তেও ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগ্রেসরা। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৮ রান করে স্বাগতিকরা। ৫৬ রানের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে গেছে ভারত।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১২৫ রান। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগ্রেসরা। দিলারা-মুর্শিদা ওপেনিং জুটিতে দলকে ১৮ রান এনে দেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ২ বলে ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।

শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিলারা। এর আগে সোমবার (৬ মে) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সাজানা ৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। স্মৃতি মান্ধানা ও হেমালতা সমান ২২ রান করে আউট হন। ২৪ রান করেন রিচা ঘোষ। অবশ্য দিনের শুরুতে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ফেরান শরীফা।

পঞ্চম ওভারে রাবেয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মান্ধানা। ৫.৫ ওভারে নামে বৃষ্টি। এরপর ওভার কমে আবার খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ ২টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার ও রাবেয়া খান। ১টি উইকেট নেন শরীফা খাতুন।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডিপিএলে সাকিবের রেকর্ডের দিনে রাজার নতুন কীর্তি

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে একের পর এক রেকর্ড গড়ছেন ক্রিকেটাররা। ঠিক তেমনই এক রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি নতুন কীর্তি গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক। যেখানে প্রথম ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েন সাকিব আল হাসান। রাজ্জাক ও মাশরাফীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

আর সাকিবের এমন নজিরের দিনে মাত্র ২৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন রেজাউর রহমান রাজা।  লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য ১৪ রান কম দিলে বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলতে পারতেন প্রাইম ব্যাংকের এই পেসার। লিস্ট এ-তে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটি ভারতের শাহবাজ নাদিমের দখলে।

প্রাইম ব্যাংকের রাজার তোপে ২৭১ রান তাড়ায় স্রেফ ৭১ রানে গুটিয়ে যায় সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তামিম-জাকিরদের জয় ১৯৯ রানের বড় ব্যবধানে। এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক।

দলীয় ৫০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার শাহাদাত হোসেন দিপু ও তামিম ইকবালকে হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৩য় উইকেটে গড়েন ১৩৩ রানের জুটি। দুজনই অবশ্য অল্পের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন।

সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৮৫ রান করেন জাকির। এছাড়া ৯৪ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। শেষদিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন হাসান মাহমুদ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭০ রান।

১০ ওভার বল করে ৪২ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ ও তাইবুর রহমানও। দ্বিতীয় ইনিংসে শেখ জামালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৈকত আলিকে ফিরিয়ে প্রাইম ব্যাংককে দারুণ শুরু এনে দেন হাসান মাহমুদ।

এরপর রাজত্ব শুরু করেন রাজা। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে ফেরান তিনি। একই ওভারের শেষ বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে এসে ফের দুই উইকেট তুলে নেন রাজা।

এবার প্রথম বলে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহান। এক বল পর তাইবুর রহমানকে বোল্ড করেন রাজা। পরে রিপন মন্ডলকে ফিরিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রাজা। এরপর শেখ জামালের বাকি তিন ব্যাটারকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন এ পেসার।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   রাজা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ভারতের সাথে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। যার মধ্যে আজ চতুর্থ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের।

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়েছেন স্বাগতিক বোলাররা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়েছে ভারত নারী দল। ফলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।

সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে ভারত। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১২৫ রানের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন শেফালি ভার্মা। ২ রান করা এই ওপেনার শরিফা খাতুনের বলে রিতু মনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তিনে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন হেমলতা। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২২ রান।

আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্দানাও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে করেছেন ২২ রান। এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দ্রুত রান তোলেছেন। কারণ ৫ ওভার ৫ বলে খেলা শেষে ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক ম্যাচ বন্ধ ছিল। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে। 

১৪ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটাররা। তাতে সফলও হয়েছেন। বিশেশ করে হারমানপ্রীত। অধিনায়ক ২৬ বলে করেছেন ৩৯ রান। শেষদিকে রিকা ঘোষ করেছেন ১৫ বলে ২৬ রান।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নের কোচ হওয়া বিষয়ে যা জানালেন জিদান

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিথের কোচ হিসেবে জোগ দিবেন জিনেদিন জিদান। কিন্তু সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে ফরাসি তারকা আশা প্রকাশ করেছেন, বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলবে তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল, আগামী মৌসেুম থেকে বায়ার্ন মিউনিথে যোগ দিতে যাচ্ছেন জিনেদিন জিদান। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো তো ফরাসি এই তারকার সাথে বায়ার্নের চুক্তির পাকাপাকিও দেখে ফেলেছিল।

মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছিল, কাগজে কলমে কোন চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও মৌখিক সমঝোতা হয়ে গেছে বায়ার্ন এবং জিদানের মধ্যে। তবে তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে স্কাই স্পোর্টস জার্মানিকে জিদান জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে রিয়ালকে সমর্থন দিতে মাঠে থাকবেন তিনি।

আগামী বুধবার ( মে) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন-রিয়াল। জিদান বলেন, আমি বায়ার্ন মিউনিখের ভবিষ্যৎ কোচ হব কিনা? না, আমি (বায়ার্ন-রিয়াল) ম্যাচ দেখতে যাব। এটা কঠিন একটা ম্যাচ হবে। আমি আশাবাদী মাদ্রিদ জিতবে।

আগের লেগ - গোলে ড্র হওয়ায়, ম্যাচে জয়ী দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করবে।

ম্যাচে জিদানের মাদ্রিদকে বেছে নেয়ার কারণটাও স্পষ্ট। ২০০১ থেকে ২০০৬ খেলোয়াড় হিসেবে বার্নাব্যুতে আলো ছড়ানোর পর ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১; দুই মেয়াদে রিয়ালের ডাগআউট সামলেছেন তিনি। 

লস ব্লাঙ্কোদের টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১১টি শিরোপা জিতিয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি। রিয়ালের দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য আর কোচিংয়ে দেখা যায়নি ৫১ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডকে।


জিনেদিন জিদান   বায়ার্ন   রিয়াল মাদ্রিদ   কোচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেনফিকার করা ৫৯ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করেছে ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেন’

প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বুন্দেসলিগায় যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বায়ার লেভারকুসেন। দলটি চলতি বুন্দেসলিগার শিরোপা নিশ্চিত করেছে আগেই। গতকাল নিজেদের ৩২ তম ম্যাচে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামে জাভি আলোনসোর শিষ্যরা। আর এ ম্যাচে তুলে নেই ৫-১ গোলের বিশাল জয়। আর এ জয়ে টানা ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে দলটি।

আরও পড়ুন: ভক্তকে সাকিবের চড় মারতে চাওয়ার গুঞ্জন, আসলে ঘটনা কী?

বায়ার লেভারকুসেন তাদের এই জয়ের মধ্যে দিয়ে ভাগ বসিয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডে। সেই সাথে সুযোগ রয়েছে বেনফিকার করা ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ডটি ভাঙ্গারও। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠ বে অ্যারেনায় ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে মাঠে নামবে লেভারকুসেন। প্রথম লেগে - এগ্রিগেটে এগিয়ে আছে লেভারকুসেন।

আরও পড়ুন: হুমকির মুখে টি-২০ বিশ্বকাপ, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

আরও পড়ুন: লিটন ফর্মে ফিরবেন কবে?

রবিবার (৫ মে) বুন্দেসলিগার ম্যাচে ফ্রাঙ্কফুর্টের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হয়েছির লেভারকুসেন। ম্যাচটিতে শুরু থেকেই দাপট দেখায় লেভারকুসেন। ম্যাচের ১২ তম মিনিটে গ্রানিত শাকার করা গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপরই শুরু হয় ‘দ্য কোম্পানি ইলেভেনের’ দাপট। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয় ফ্রাঙ্কফুর্টের রক্ষণভাগ।

শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঙ্কফুটের ঘরের মাঠে থেকে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভির শিষ্যরা। ম্যাচের ৩২ তম মিনিটে ফ্র্যাঙ্কফুটের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হুগো এটিটি।


বুন্দেসলিগা   বায়ার লেভারকুসেন   রেকর্ড   দ্য কোম্পানি ইলেভেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন