সিকান্দার-এ-আজম, মধ্য যুগীয় রাজা আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট উর্দুতে এবং হিন্দিতে এই নামে সকলের কাছে পরিচিত। ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বে জন্ম নেন এই বিখ্যাত সিকান্দার যিনি লিখিত ইতিহাসের শ্রেষ্টতম যোদ্ধা আর যিনি প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যর মধ্যে তৈরি করেছিলেন সেতুবন্ধন। যুদ্ধক্ষেত্রে আলেকজান্ডার চিরকাল সামনে থেকে লড়াই করেছেন।প্রতিটি দুর্গ আক্রমনে বা দুর্গের দেয়াল ভাঙ্গার সময় সরাসরি নিজের সৈনিকদের সাথে তিনি অংশ নিতেন। ঠিক তেমনি মনে হয় জিম্বাবুয়ের সেরা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। রাজার মতই দলের প্রয়োজনে লড়ে গেছেন, জয় করেছেন শক্ত দুর্গের দেয়ালর মত বড় বড় দল।
ইতিহাসে যেমন স্বনার্ক্ষরে লেখা আছে সিকান্দার-এ-আজম এর নাম এবং বিরত্বগাথা, তেমনি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে এই অলরাউন্ডারের নাম থাকবে পাতায় পাতায়।
পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্ম নেয়া এ জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার নিশ্চয়ই বিরাট কোহলি,
রোহিত শর্মা,
বাবর আজম কিংবা ডেভিড ওয়ার্নার থেকে উচ্চ পর্যায়ে নন কিন্ত অলরাউন্ড ক্ষেত্রে তিনি কম পিছিয়ে এই। সাকিব-আল-হাসান, রবিন্দ্র জাদেজার পরেই চলে আসে তার নাম।
পাকিস্তানে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারের জন্য ক্রিকেটে আসার পথটা সহজ ছিল না। দুর্দান্ত কোনও প্রতিভা ছিলেন না তিনি। ক্রিকেট খেলাটাকে আয়ের উৎস হিসেবেই দেখেছেন সবসময়।
সিকান্দার রাজা ২০২২শে বাংলাদেশের সাথে ম্যাচে জয় তুলে নেয়ার পর নিজের অতীতে ফিরে গিয়েছিলেন।
"আমি বিমান বাহিনীতে ছিলাম। আমরা কখনো হার মানি না। আমি ব্যথা পাই,
আমার আঙ্গুল ভাঙ্গে কিন্তু এসবে আমার কোনও কিছু যায় আসে না"।
সাড়ে তিন বছর পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স কলেজে পড়ার স্মৃতিতে ফিরে যান তিনি, "আমি হয়তো যোদ্ধা পাইলট হতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। কিন্তু আমি মানুষ হিসেবে একজন যোদ্ধা”।
তার এই যোদ্ধা হয়ে উঠার বিরত্ব থেকেই আলেক জান্ডার দ্যা গ্রেটের নাম আনা। তার জীবন যেন হলিউড সিনেমার কোনো নায়কের চরিত্র। শৈশবে স্বপ্ন দেখতেন যুদ্ধ বিমানের পাইলট হবেন। সেই লক্ষ্যে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স (পিএএফ) কলেজে পড়াশোনাও করেছিলেন। যদিও চোখের সমস্যার কারণে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। সেই কষ্ট ভুলতে চেয়েছিলেন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে। সেটাও পূরণ হয়নি। জীবনের স্রোত তাকে বানিয়েছে বাইশ গজের সৈনিক। যেখানে ব্যাট-বল হাতে যুদ্ধ করছেন জিম্বাবুইয়ের হয়ে। ক্রিকেটে আফ্রিকান দেশটির সোনালি সেই সময় আর নেই।
কিন্তু রাজকীয় নৈপুণ্যে রাজা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি ফিরে এসেছেন এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, এ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ক্লোন হয়ে। ধুঁকতে থাকা দলটির হয়ে এক হাতেই বদলে দিচ্ছেন দৃশ্যপট। একের পর এক দূর্ভেধ্য শক্তিশালী দলকে নাকাই চুবানি খাইয়েছেন কখনো তার স্পিনঘূর্নিতে আবার কখনো তার ব্যাটের গতি এবং ফ্রি-স্ট্রোক প্লে তে।
২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অতি মানবীয় ইনিংস খেলেও দলকে তুলতে পারেনি আসরে। ক্রিকেটের ওপর টান উঠে গিয়েছিলো তার। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২০১৩ সালে অভিষেক হওয়া সিকান্দার তখন বোর্ডকে জানিয়ে দিলেন,
তিনি আর খেলবেন না। ফলে কেন্দ্রীয় চুক্তি হারালেন সিকান্দার। সেই সাথে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে রইলেন না তিনি। সিকান্দার এই সবকিছু ছেড়েছুড়ে চলে গেলেন ইংল্যান্ডে।
তবে আবার ফিরলেন, অনেক চেষ্টাড় পরে ২০২২ সালে ফুল ফর্মে বীরদর্পে টানা ১৯ জয়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে এনেছেন ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান টপকে জিম্বাবুইয়ের জয় এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটে। অপরাজিত ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে নায়ক সেই অকুতোভয় যোদ্ধা।
আবার যেমন ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের কথা। তার অলরাউন্ড নৈপূন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেকটা ছিটকে গেছে এই বছরের বিশ্বকাপের আসর থেকে। ব্যাট হাতে ৬৮ রান এবং ২ উইকেট সহজ জয় এনে দেয় আফ্রিকান সিংহদের। সকলেরই আশা এই বিশ্বকাপে হয়ত ফিরে আসবে সেই দুই দশক আগের জিম্বাবুয়ে।
সিকান্দার আশাবাদী হতে চান। নিজের জীবনে যেমন আবার আশাটা খুঁজে পেয়েছেন,
তেমনই জিম্বাবুয়েকেও আবার স্বরূপে দেখতে চান,
‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা আবার দ্রুত সেই উন্নয়নের মইটা বেয়ে উঠতে পারবো। আমরা স্রেফ বাছাইপর্ব পার হতে পারিনি বলে লোকেরা দুই বছরের পরিশ্রমটাকে ওভাবে বিচার করছে। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের এখন যে অবস্থা, দেশের লোকেদের এর চেয়ে ভালো ফলাফল প্রাপ্য।’
চলতি ওয়ার্ল্ডকাপ বাছাইপর্বে বড় আশা দেখাচ্ছে আফ্রিকান দল জিম্বাবুয়ে। হয়ত সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে দেখা যেতে পারে লাল রাঙ্গা জার্সি। হাসি পাচ্ছে? সিকান্দাররা অবিশ্বাস্য রক্তাক্ত আরববেলার যুদ্ধ জয় করতে জানে আবার বিশ্বকাপ সে তো স্রেফ ব্যাট বলের লড়াই।
সিকান্দার রাজা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানো আইসিসির টি-টোয়েন্টি সংস্করণের কোন বড় আয়োজন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই সাথে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে এবার কেবলমাত্র নারীদের টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পেয়েছে তারা।
আগামী ৩ অক্টোবর ঢাকায় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারী টি২০ বিশ্বকাপের এবারের আসর। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি।
রোববার (৫ মে) গণভবনে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এসময় ট্রফি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছেছিল নারীদের বিশ্বকাপ ট্রফি। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ট্রফিও উন্মোচন করেছে সেখানেও।
আইসিসি ক্রিকেট নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর সিরিজ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে আজ (রোববার) দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে নাজমুল শান্তর দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। বোলিংসহ তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মূলত প্রথম ম্যাচে একক আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিক দল।
পেসার শরিফুল ৪ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশুন্য। তবে অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের নৈপুণ্যে ম্যাচে জয় পেতে টাইগারদের কোন সমস্যা হয়নি। তাসকিন-সাইফুদ্দিন উভয়েই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া দুই স্পিনার মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত ৬৭ রানে ১৫.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ওপেনিংসহ মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও সফরকারীদের টেলএন্ডার দৃঢ়তা দেখিয়েছে। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে দলীয় ৪১ রানে ৭ উইকেটে পরিনত হয় জিম্বাবুয়ে।
অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক ক্লাইভ মানদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১৮তম ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১শতে নিয়ে যান তারা। ১৯তম আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মানন্দান্দে।
অষ্টম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রান যোগ করেন মানদান্দে ও মাসাকাদজা। টি-২০ ভার্সনে বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। মূলত তাদের কল্যাণেই এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৮০ রানের কোটা পার করে জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে এটা ছিল বাংলাদেশের ১৪তম জয়। বাকি সাত ম্যাচে পুর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকালের ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরতে মরিয়া থাকবে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
জিম্বাবুয়ের দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
লিওনেল মেসি। বয়স ৩৬ হলেও যত দিন গড়াচ্ছে ততই যেন তরুণ হয়ে মাঠে ধরা
দিচ্ছেন এই ফুটবল জাদুকর। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও ২০-২৫ বছর বয়সের যেকোন
তরুণকে টপকে গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড। তেমনই আজ এক রেকর্ডের স্বাক্ষী
হয়েছে ফুটবল ভক্তরা।
ঘরের মাঠ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে নিউইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মায়ামিকে এনে দিয়েছেন ৬-২ গোলের বিশাল জয়। রোববার (৫ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় এমএলএসের ম্যাচে মায়ামির প্রতিশোধের এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লুইস সুয়ারেজ। অন্যদিকে, মেসি এক গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন। মায়ামির অন্য দুটি গোল করেছেন প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাস।
এদিন সবাইকে ছাড়িয়ে আলোচনায় বিশ্বজয়ী মেসি। মায়ামি যে ৬টি গোল পেয়েছে, সেখানে ১টি গোল সরাসরি মেসি করেছেন। আর বাকি ৫ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এ নিয়ে এমএলএসের ১৪ ম্যাচে ২৫টি অ্যাসিস্ট করলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। চলতি মৌসুমের ৮ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল ও ১২ অ্যাসিস্ট।
গোল ও অ্যাসিস্টে এক মৌসুমেই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে মেসি মায়ামির হয়ে রেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধেই পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেন রোজারিও’র এই মহাতারকা। যা এক অর্ধে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তা করার রেকর্ড। এমনকি লিগের ইতিহাসে প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে মেসি ৬ গোলে অবদান রাখলেন।
অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল অন্য রকম। ৩০ মিনিটে দান্তে ভানজেইরের গোলে এগিয়ে যায় রেড বুলস। প্রথমার্ধে সে গোল শোধ দিতে ব্যর্থ মায়ামি। তাই মায়ামি সমর্থকদের মনে শঙ্কা জাগছিল হেরেই কি মাঠ ছাড়তে হবে। কিন্তু বিরতির পর ফিরে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন মায়ামির খেলোয়াড়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠে নামেন প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার রোজাস। মাঠে নামার ৩ মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান রোজাস। মেসির পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া শটে গোলটি করেন তিনি।
২ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান মেসি। সুয়ারেজের পাস থেকে মেসির করা গোলে লিড পায় মায়ামি। ২ মিনিটে মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন রোজাস। এরপর ম্যাচটি যেন হয়ে পড়ে শুধুই মেসি-সুয়ারেজময়। পরবর্তী ১৩ মিনিটে মেসি-সুয়ারেজের বার্সেলোনার পুরোনো বোঝাপড়া চোখে পড়ে।
এর মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুয়ারেজ। তার প্রতিটি গোলই হয়েছে মেসির বাড়ানো পাসে। যথাক্রমে ৬৮, ৭৫ ও ৮১ মিনিটে গোল করে আমেরিকান ফুটবলে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। আর তাতেই মায়ামির বড় জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায়। যোগ করা সময়ে ফসবার্গ পেনাল্টিতে গোল করে রেডবুলসের হয়ে হারের ব্যবধান কমান।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে মায়ামি। দুই কনফারেন্স মিলিয়েই শীর্ষে আছেন মেসিরা। এই ম্যাচের গোলটি নিয়ে এবারের মেজর লিগ সকারে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টিতে।
হ্যাটট্রিক করে সুয়ারেজও গোলসংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসিকে। ১০টি করে গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা যৌথভাবে তারা দুজনই। একদিক থেকে মেসি অবশ্য অনেক এগিয়ে। আর্জেন্টাইন তারকা যে সতীর্থদের করা ৯টি গোলে রেখেছেন অবদান।
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি লুইস সুয়ারেজ
মন্তব্য করুন
স্প্যানিশ
লা লিগায় আলাদা আলাদা ম্যাচে একই রাতে মাঠে নামে দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সোলোনা।
প্রথম ম্যাচে কাদিজকে হারিয়ে মাত্র শিরোপা জয়ের জন্য মাত্র ১ পয়েন্টের আশায় ছিলো রিয়াল।
পরের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে হারে কাতালানরা। এতে এক মৌসুম
পর আবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪ ম্যাচ হাতে রেখেই লা লিগার
৩৬তম শিরোপা ঘরে তুলে দলটি।
৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট ৮৭। জিরোনা সমান ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তিনে।
আরও পড়ুন: ইতিহাদে আরো একবার ‘দ্য হলান্ড শো’
এর আগে সর্বশেষ ২০২১-২২ মৌসুমে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে তারা সেই শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে। এ জয়ে লা লিগায় নিজেদের সবচেয়ে শিরোপা জয়ের রেকর্ডও সমৃদ্ধ করল রিয়াল। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার শিরোপা ২৭টি।
রিয়াল মাদ্রিদ ৩:০ কাদিজ
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাদিজকে আতিথ্য দেয় রিয়াল। এই ম্যাচ দিয়ে চোট সেরে দীর্ঘদিন পর রিয়ালের একাদশে ফেরেন থিবো কোর্তোয়া।
রিয়াল বড় জয় পেলেও এ ম্যাচে গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫১ মিনিট পর্যন্ত। লুকা মদ্রিচের বাড়ানো পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করেন ব্রাহিম দিয়াজ।
এরপর ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জ্যুড বেলিংহ্যাম। এর ঠিক মিনিট দুই পরে দিয়াজের বাড়ানো বল থেকে থেকে ট্যাপ ইনে বল জালে জড়ান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। রিয়ালের শেষ গোলটি আসে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে। ভিনি আর নাচো হয়ে জোসেলু বল পান, এরপর রিয়ালকে ভাসান তৃতীয় গোল ও বড় জয়ের আনন্দে।
বার্সেলোনা ২ : ৪ জিরোনা
কাদিজকে হারিয়ে বার্সা জিরোনার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাদের সেই অপেক্ষাকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেয়নি কাতালানরা। জিরোনার কাছে নিজেদের ঘরের মাঠে ৪-২ গোলে হেরে গেছে তারা। যদিও ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রাখতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। এতে শিরোপার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে যাওয়া দলটি এখন কেবল রানার্স-আপের জন্য লড়তে পারে।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় ফোডেন ও খাদিজা
এদিন ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেনের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। সেই উল্লাস এক মিনিটও স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ মিনিটেই যে আর্তেম দোভবিকের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। তবে বার্সা প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে ফের লিড নেয়। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করেন লেভান্ডডস্কি। পেনাল্টিতে সফল স্পট কিকে বার্সাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন এই
পোলিশ তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে শুরুতেই লন্ডভন্ড কাতালান শিবির। বদলি হিসেবে মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ড পরেই জিরোনাকে ৬৫ মিনিটে সমতায় ফেরান পোর্তু। এই পর্তুগিজ উইঙ্গার এর পরের গোলেও অবদান রেখেছেন। তার বাড়ানো পাস পেয়ে জিরোনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক মিগুয়েল গুতিয়েরেজ। বার্সার কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে আসা চতুর্থ গোলটিও করেন পোর্তু। দারুণ এক ভলিতে ম্যাচটি ৪-২ ব্যবধানে পরিণত করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এই জয়ে আগামী মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত করেছে জিরোনা।
লা লিগা বার্সা রিয়াল চ্যাম্পিয়ন
মন্তব্য করুন
চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে গড়ানো আইসিসির টি-টোয়েন্টি সংস্করণের কোন বড় আয়োজন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে একই সাথে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে এবার কেবলমাত্র নারীদের টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পেয়েছে তারা।
স্প্যানিশ লা লিগায় আলাদা আলাদা ম্যাচে একই রাতে মাঠে নামে দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সোলোনা। প্রথম ম্যাচে কাদিজকে হারিয়ে মাত্র শিরোপা জয়ের জন্য মাত্র ১ পয়েন্টের আশায় ছিলো রিয়াল। পরের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে জিরোনার কাছে ৪-২ গোলে হারে কাতালানরা। এতে এক মৌসুম পর আবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪ ম্যাচ হাতে রেখেই লা লিগার ৩৬তম শিরোপা ঘরে তুলে দলটি।