ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রিকেটের মাঠে সবচেয়ে বেশিবার কাঁদা দলটি বোধহয় দ.আফ্রিকাই!


Thumbnail

প্রজন্মের পর প্রজন্ম চোকার্স তকমা বয়ে নিয়ে বেড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকা? কেন এমনটা হচ্ছে? বিশ্ব ক্রিকেটের বড় কোনও আসরে তারা ভালো শুরু করে। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত কি এক দাপুটে খেলা প্রোটিয়াদের! তাদের ক্ল্যাসিক ব্যাটিং-বোলিং যেন পটে আঁকা ছবির মতো নান্দনিক। পুরো পারফর্মেন্স যেন হট কেকের মতো। এরপর! দূর্দান্ত প্রতাপে সেমিতে গিয়েই এই দলটিকে বিচ্ছিন্ন, অচেনা মনে হয়। নীরবেই ছিটকে পড়ে যায় আসর থেকে। যেন এক বীর দলের নীরব প্রস্থান। আহা!

এবারের ভারত বিশ্বকাপেও সেই চিত্র চোখে পড়লো। কি এক প্রতাপশালী, অভিজাত শুরু দলটির। অথচ, এক রাতেই জমিদারী খুইয়ে, শাসনের ভার প্রতিপক্ষকে অর্পণ করে সাধারণ প্রজা হয়ে হেঁটে চলে যায় দূর দেশে। 

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যুগের পর যুগ তাদের সঙ্গী হলো আক্ষেপ। নামী-দামি ব্যাটার,  বোলার, বাঘা বাঘা অলরাউন্ডারে বেষ্টিত একটি দল হওয়ার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার ললাটে জোটেনি বিশ্বকাপ ফাইনাল। হোক সেটা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটাই আবার গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে হেরে। বড় ম্যাচে স্নায়ূ চাপের নিয়ন্ত্রণ বড়ই দরকার। 

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরেও নেদারল্যান্ডসের কছে হেরে সেমিতে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের সেমিতে উঠতে কেবল নেদারল্যান্ডসের সাথে জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, ওই চাপটিই তারা নিতে পারেনি। গার্ডিয়ানের ক্রিকেট বিশ্লেষক স্যাম প্যারির মতে, এটা একটা ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে যাওয়া মানসিক আঘাত’। আসলেই তাই। প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মই যেন এই আঘাতটাই বহন করছে। 

বড় ম্যাচ বা মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চাপ নিতে পারে না প্রোটিয়ারা। স্নায়ূ দূর্বল হলেই কেবল এমনটি হয়। আর এজন্যই তাদের ‘চোকার্স’ বলা হয়। ক্রিকেটে এই চোকার্স তকমা ৩১ বছরেও ঘুঁচাতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। 

তার প্রমাণ এর আগের চারটি একদিনের বিশ্বকাপ। ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিতে এসে দিক খুঁজে না পাওয়া আফ্রিকা। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একই ঘটনা ঘটলো। এ যেন এক দিক হারা নাবিকের জাহাজ। কোনবারই ফাইনালের সন্ধান পায়নি তারা। আর দুঃখের বিষয় হলো এর মধ্যে দুইবারই হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো অজিদের মোকাবেলা করলো সেমিফাইনালে। ফলাফল ফাইনালের স্বাদ অধরা রেখেই হেরে বিদায় নিতে হলো। 

১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনে নাটকীয়ভাবে অস্ট্রেলিার কাছে পরাজিত ম্যাচটি এখনো প্রোটিয়াদের কাছে দগদগে ঘায়ের মতো। ম্যাচটি টাই হলেও গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। 

২০১৫ সালে সেন্ট লুসিয়ায় মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাবার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে ৯টি ম্যাচের সাতটিতেই জিতে দূর্দান্ত দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া ছাড়াও এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রানের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ডি কক-বাভুমারা।

সর্বশেষ চার মোকাবেলায় প্রতিটিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয়েছে প্রোটিয়ারা। এর মধ্যে ৪ সপ্তাহ আগে লক্ষ্ণৌতে গ্রুপ পর্বে ১৩৪ রানে জয়ী হবার ম্যাচটিও রয়েছে। অথচ, আগের ম্যাচে জিতে সেমির সাক্ষাতে পরাজিত হতে হলো। 

নেওয়া হলো না ফাইনালের স্বাদ। এবারও কাঁদতে কাঁদতে বিদায়! ক্রিকেটে বোধহয় এমন আফসোসে বেশিবার কাঁদা দলটির নামও বোধহয় নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। কি জানি! এই কান্না একদিন স্পৃহা হয়েও ফিরে আসতে পারে।


বিশ্বকাপ   ফাইনাল   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলিকে ‘চিতা’ আখ্যায়িত করলেন ভক্তরা

প্রকাশ: ০২:২৪ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটের এই রত্ন যেন বর্তমানে পুরো বিশ্বেই রাজত্ব করে চলেছেন। ব্যাট হাতে একের পর এক সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি করেই চলেছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু এতকিছুর পরও কয়েকদিন পূর্বেও এই বিরাট কোহলিকে নিয়েই চলেছে সমালোচনা। বিষয়টা ছিল তার স্ট্রাইক রেট। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারও ছাড়েননি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে।

তবে সেই সমালোচনার জবাবও নিজের খেলার মাধ্যমেই দিলেন বিরাট কোহলি। গতকাল রাতে আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে কোহলি প্রায় ১৯৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৭ বলে ৭ চার ও ৬ ছয়ে ৯২ রান করার পর রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ের চেয়ে, গতকালের ম্যাচে কোহলি বেশি প্রশংসিত হচ্ছেন ফিল্ডিংয়ের কারণে।

এদিন ছন্দে থাকা পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যান শশাঙ্ক সিংকে দুর্দান্ত এক রানআউটই করেছেন কোহলি। সেই রানআউট দেখে মুগ্ধ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘কোহলি মানুষ নন।’ কেউ আবার তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন চিতা হিসেবে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৭ উইকেটে ২৪১ রান তুলতে পেরেছে মূলত কোহলির বিধ্বংসী ওই ইনিংসের কারণেই। এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে মোহাম্মদ সিরাজের ৩ এবং স্বপ্নীল সিং ও লকি ফার্গুসনের ২টি করে উইকেটে পাঞ্জাবকে ১৭ ওভারে ১৮১ রানে অলআউট করে ফেলে বেঙ্গালুরু।

পাঞ্জাবকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন শশাঙ্ক। ১৯ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু একটা ২ রান নিতে গিয়ে কোহলির হাতে রানআউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ১৪তম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে স্যাম কারেন লেগের দিকে বল ঠেলে যখন দ্বিতীয় রানের জন্য ছোটেন, কোহলি বল থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে ছিলেন। সেখান থেকে ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে আন্ডারআর্ম থ্রোয়ে সরাসরি বোলিং প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি। রানআউট হয়ে ফেরেন শশাঙ্ক।

এই  রানআউট দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘বিরাট কোহলি মানুষ নন।’ আরেকজনের কথা, ‘চিতা, বিরাট কোহলির রানআউট।’ একজন আবার ব্যাটিংটাও টেনে এনে লিখেছেন, ‘আজ রাতে তিনি জাদু বের করছেন। প্রথমে ব্যাট হাতে আর এখন অসাধারণ এক সরাসরি থ্রোয়ে ফিল্ডিংয়ে।’


ভারত   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   বিরাট কোহলি   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জায়গা হল না বিশ্বকাপ দলে, অবসরে কিউই ওপেনার

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail কলিন মুনরো

কলিন মুনরো। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের একসময়ের নিয়মিত মারকুটে ব্যাটারদের একজন ধরা হতো তাকে। তবে প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি নেই আন্তর্জাতিক কোন খেলায়। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২০ সালে।

সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে কিউই স্কোয়াডে ফিরতে পারেন মুনরো। এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এমনকি তার সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন নির্বাচকরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি সফল আলোচনা হয়নি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। ১৫ সদ্যসের সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি মুনরোর। তাতে খানিকটা অভিমানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই কিউই ওপেনার।

মুনরো বলেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি সেই জার্সিটি পরার চেয়ে অন্য কোনো কিছুতে বেশি গর্বিত বোধ করিনি। এটি সত্য যে, আমি সব ফরম্যাটে ১২৩ বার এটি করতে পেরেছি। তা নিয়ে আমি সর্বদা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত হবো।’

‘যদিও আমার শেষ ম্যাচের পর বেশ অনেকটা সময় চলে গেছে। তবে আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। আমি মনে করেছি, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ফর্মে এসে জাতীয় ফিরতে পারবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই দরজা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।’-যোগ করেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১২৩টি ম্যাচ খেলেছেন মুনরো। যেখানে একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। সাদা বলের ক্রিকেটে লম্বা সময় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই ওপেনার।


কলিন মুনরো   নিউজিল্যান্ড   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাজার কোটি টাকায় নতুন রূপে সাজবে লর্ডস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক মাঠ ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে রয়েছে ক্রিকেটের হাজার হাজার রেকর্ড। এই স্টেডিয়ামের সংস্কারের পরিকল্পনার নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন রূপে সাজতে খরচ হতে পারে প্রায় হাজার কোটি টাকা

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুনরায় লর্ডসের সংস্কার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন এই সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বাড়ানো হবে আসন সংখ্যা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ আসন বাড়তে পারে। ভেঙে দেওয়া হতে পারে বর্তমানের অ্যালেন স্ট্যান্ড। এক তলা বাড়িয়ে করা হবে পুনর্নির্মাণ। একই সঙ্গে চতুর্থ স্তর বসানো হবে ভার্ন স্ট্যান্ডের ওপর।

ক্রিকেটের আইন প্রণেতা মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) বলছে, পুনঃসংস্কারে অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে। ক্লাবটির সদস্যদের ভোটে গত সপ্তাহে পাশ হয় পুনর্নির্মাণ প্রকল্প। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা লডর্সের পুনর্নির্মাণ কাজ।

চলতি বছরের শুরুতে লর্ডস ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায় মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব। এ ক্লাবটি মূলত ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির অধীনে পরিচালিত হয়।

এর আগে ২০২১ সালে লর্ডসের কম্পটন ও এদরিচ স্ট্যান্ড পুনঃসংস্কার করা হয়। তখন ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৫ লাখ টাকা।


ইংল্যান্ড   ক্রিকেট মাঠ   লর্ডস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি সিরিজ: সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আজ শুক্রবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। চতুর্থ এই ম্যাচটি মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। যে কারণে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই এই সিরিজ খেলছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সিরিজে সবচেয়ে বড় আলোচনায় দলের টপ অর্ডার। লিটন দাস-শান্তরা রান খরায় ভুগছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য পেসার তাসকিন আহমেদ বলছিলেন, ‘ব্যাটিং বা বোলিং যেদিনই খারাপ হয় বাইরের সমর্থক বা বাইরের যারাই আছেন, সবার থেকে বেশি হতাশ কিন্তু আমরা হই। কারণ, দিন শেষে আমাদেরই খেলতে হয় এবং আমরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই যাচ্ছি যে কীভাবে আমাদের ব্যাটিং-বোলিং আরও উন্নতি করা যায়।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে আবার মিথ্যা আত্মবিশ্বাস যোগ হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, 'আসলে ফেইক (মিথ্যা) কনফিডেন্স নয়। ভালো করলে যেকোনো জায়গায়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। হ্যাঁ, হয়তো আমরা জানি না যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন কেমন হবে। ড্রপ ইন উইকেটে খেলা হতে পারে। আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ওইভাবে মানিয়ে নিতে হবে।'



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াঙ্গনে নতুন বিস্ময়, আসছে ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে যে কেউ খুব সহজেই ‘ফুটবল’ নামটি সবার আগে বলবে। আর তাই এবার সেই ফুটবলের জন্য বিশেষ দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক বিস্ময়।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যেখানে ১৯৩টি। সেখানে ফিফার সদস্য ২১১ টি দেশ। এমনই তুমুল জনপ্রিয় আর সর্বজনবিদিত এই খেলার জন্য এবার মে মাসের ২৫ তারিখ বিশ্ব ফুটবলের দিবস ঘোষণা করেছে।

ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্যদেশগুলোর ভোটে চলতি বছর থেকে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করার পেছনেও আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ১৯২৪ সালের একই তারিখে মেতে প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছিল। সেটি ছিল ফুটবলে বিশ্বের সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এমন ঐতিহাসিক দিবসের ১০০ বছর পূর্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব ফুটবল দিবস।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাহের এল-সনি। রেজ্যুলেশন উপস্থাপনায় তিনি বলেন, এটি নিছক একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু, যা সব বয়সীরা রাস্তায়, গ্রামে, স্কুলে এবং পল্লিতে আনন্দের জন্য ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলে থাকে।

তিনি বলেন, 'বিশ্বের খেলাধুলা অঙ্গনে ফুটবলের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান’ আছে। ‘জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা কাটিয়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে সর্বজনীন ভাষা হিসেবে কাজ করে।’

রেজ্যুলেশনে ফুটবলের বৈশ্বিক পরিধি এবং  বাণিজ্য, শান্তি ও কূটনীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক খাতে এর প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ফুটবলের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন ও প্রসারে খেলার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার মূলনীতি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ ছিল সেই রেজ্যুলেশনে। 

ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মে বিশ্ব ফুটবল দিবসের পক্ষে ভোট দেয়। বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশনে সব দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।


ক্রীড়াঙ্গন   বিস্ময়   ‘বিশ্ব ফুটবল দিবস’  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন