ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অনুপ্রেরণা কি হতে পারে?


Thumbnail

একদিনের বিশ্বকাপে ভারত ২০২৩ সালের আগ পর্যন্ত তিনবার ফাইনালে উঠেছিল। এ জায়গায় তাদের গড়টা ভালোই বলতে হবে। কারণ, তিন ফাইনালের দুটিতেই তারা জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ান। এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ ভারত। সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপেও স্বাগতিক ছিল ভারতীয়রা। মাহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেবার দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল নীল জার্সিরা। আর ১২ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ান হবার হাতছানি সেই টিম ভারতের সামনে। 

বিশ্বকাপে ভারত অস্ট্রেলিয়া অনেকবারই মুখোমুখি হয়েছিল। তবে ২০২৩-এর আগে ফাইনালে মাত্র দেখা হয়েছিল মাত্র একবার তাও আবার ২০০৩ সালে। সেবার ভারতকে ১২৫ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে অজিরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানের মুকুট মাথায় পরেছিল। 

অবশ্য ওই সময়টা অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটের সেরা সময় ছিল। তারা ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত টানা ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলেছিল। তাই তাদেরকে হারানো সত্যিই অনেক বেশি কঠিন ছিল। 

অজিরা ১২টি বিশ্বকাপের আসরে শিরোপা জিতেছে মোট পাঁচবার। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনও দলের সর্বাধিক কাপ জয়। এবারের আসরে জিততে পারলে তারা আরও উপরে উঠে যাবে। 

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হওয়ার দৌঁড়ে অবশ্য ভারত অস্ট্রেলিয়ার থেকে তুলনামূলক পিছিয়ে আছে। তারা ১৯৮৭ ও ২০১১ আসরে বৈশ্বিক শিরোপা জিতেছিল। 

টানা এক যুগ যেমন দূর্দান্ত শক্তিশালী ছিল অস্ট্রেলিয়া। তার প্রভাব পাওয়া গিয়েছিল পর পর তিন বিশ্বকাপে। এবারের প্রেক্ষাপটও তেমনি ভিন্ন। এই আসরে ভারতই ফেভারিট। ২০২৩ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত সেমিফাইনাল পর্যন্ত কোনও ম্যাচে হারেনি। তারা টানা ১০টি ম্যাচে জিতে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত আছে।

বিশ্বকাপের আসরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মোট ১৩বার মুখোমুখি হয়েছিল। এরমধ্যে আটবারই জিতেছে অজিরা আর পাঁচবার জিতেছে ভারতীয়রা। 

ওয়ানডে জয়ের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। এ পর্যন্ত এই দুই দেশ ১৫০টি ওয়ানডেতে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ভারত জিতেছে ৫৭টি ও অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮৩টি ম্যাচে। আর ১০টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। এরমধ্যে নিজেদের কন্ডিশনে ভারত জিতেছে ৩৩টি আর অস্ট্রেলিয়া তাদের কন্ডিশনে জিতেছে ৩৮ ম্যাচে।


অবশ্য সর্বশেষ ৪ বছরের পরিসংখ্যান ঘাটলে এই দুই দেশ তিন ম্যাচের ৪টি সিরিজ খেলেছে। যেখানে দুই সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া আর দুই সিরিজ জিতেছে ভারত। 

পরিসংখ্যান ম্যাচ জয়ের পরিপূরক সব সময় হয় না। মাঠের লড়াই আর চলতি ফর্মটা বড় ইস্যু হয় ম্যাচ জিততে। ভারত যেভাবে দাপট নিয়ে বিশ্বকাপে সব দলকে শাসন করে যাচ্ছে তাতে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচ জেতা অজিরা কি এবার পারবে ভারতের মাটিতে ভারতকে টেক্কা দিতে? 

আর এদিকে ভারত কি পারবে ৯৯, ২০০৩ কিংবা ২০০৭ সালের মতো এমন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ায় রূপ নিয়ে একচেটিয়াভাবে এবারের শিরোপা নিজের করে নিতে? সেক্ষেত্রে ভারতের প্রেরণা হতে পারে চলতি বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জয় আর নিজেদের মাটিতে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব।


অস্ট্রেলিয়া   ভারত   বিশ্বকাপ   জয়ের অনুপ্রেরণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাছাইপর্ব পেরিয়ে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের টিকিট পেল যে দুই দল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরেই বাংলাদেশের মাটিতে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১০ দল। ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এ আসরের। তবে শুরু থেকে আসরের আট দলের নাম জানা গেলেও অজানা ছিল বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুদলের নাম।

রোববার রাতে সেই দুদলের নাম জানা গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করেছে শ্রীলংকা। আর নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী টি-২০ বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে স্কটল্যান্ড।

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে স্কটল্যান্ডের মেয়েরা। রোববার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড ৯ উইকেটে ১১০ রান করে। জবাবে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় স্কটিশ মেয়েরা।

স্কটল্যান্ডের পরই শেষ স্পট হিসেবে কোয়ালিফাই করে শ্রীলংকার মেয়েরা। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তাদের কঠিন পরীক্ষাও দিতে হয়েছে। লঙ্কানদের প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিল স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত!

এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান করে লঙ্কান দল। সর্বোচ্চ রান করেন ভিশমি গুনারত্নে। তবুও আমিরাতের রান তাড়ার বেশির ভাগ সময়ই চাপে থেকেছে। মূলত ৪৪ বলে ৬৬ রান করা অধিনায়ক এশা ওজার বিদায়ের পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আমিরাত। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩৪ রানে থেমেছে তারা। তাতে ১৫ রানের জয় পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে শ্রীলংকা।

মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা ও স্কটল্যান্ড। জয়ী দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে ‘এ’ গ্রুপে থাকবে। ‘এ’ গ্রুপে থাকা অন্য চারটি দল ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রানার্সআপ দল খেলবে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে।

আগামী ৩ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। দিনের অন্যম্যাচে একই মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও বাছাইপর্বের রানার্সআপ দল। ম্যাচটি হবে সন্ধ্যা ৭টায়।


স্কটল্যান্ড   শ্রীলংকা   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভক্তকে সাকিবের চড় মারতে চাওয়ার গুঞ্জন, আসলে ঘটনা কী?

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহাতারকা সাকিব আল হাসান। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ভক্তও রয়েছে এই অলরাউন্ডারের। আর সেই ভক্তদের অনেকেরই শখ বা ইচ্ছা থাকে প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে ছবি তোলার। যার জন্য অনেকে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন।

তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে চলমান ডিপিএলে। সোমবার (৬ মে) শেখ জামালের জার্সিতে মাঠ মাতাতে নামছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ শুরুর আগে এক ভক্ত দৌঁড়ে সাকিবের কাছে গিয়ে ছবি তুলতে চান। তবে সাকিব তাকে ঘাড় ধরে কিছুটা মারার ভঙ্গি করেন। আর মুহুর্তের মধ্যেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে এখন রীতিমতো চলছে সমালোচনা।

কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল মাঠে, এবার জানা গেল আসল ঘটনা। মূলত আগের রাতে বৃষ্টির কারণে আজ ম্যাচ শুরু হতে কিছু সময় দেরী হচ্ছিল। এ অবস্থায় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক কোচ সালাহ উদ্দিন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব।

দেখে বোঝা যাচ্ছিল কোচদের কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করছেন সাকিব। তাদের এই আলোচনার মাঝে হাজির হন এক ভক্ত। এরপর হঠাৎ সেলফি তুলতে যান তিনি। প্রথমে সাকিব মানা করলেও তা শোনেননি সেই ভক্ত।

আর এতেই মেজাজ হারান সাকিব। বিরক্ত হয়ে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এ ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত তেড়ে গিয়ে সেই ভক্তের মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। একইসঙ্গে মারতে উদ্যত হন। সেই ভক্তকে চড় মারতে গিয়েও অবশ্য থেমে যান তারকা অলরাউন্ডার।

এরই মধ্যে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, মাঠের মধ্যে এভাবে সমর্থক ঢুকে কাউকে বিরক্ত করলে মেজাজ হারানোটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হুমকির মুখে টি-২০ বিশ্বকাপ, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বাকি নেই এক মাসও। ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে। দলও ঘোষণা করেছে একাধিক দেশ।

তবে এতসব আয়োজনের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। ‍হুমকির মুখে পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। কারণ বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

আর এই হুমকিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরণের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠে গুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদেরপ্রধান লক্ষ্য।’

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ্যবাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   জঙ্গি হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিংবদন্তির মৃত্যুতে মেসি-স্কালোনির শোক

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।

সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।

তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।

কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’

আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।

খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।


সিজার লুইস মেন্তি   আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।

এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’


আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ   ফুটবল   সিজার লুইস মেনোত্তি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন