ইনসাইড গ্রাউন্ড

১০ জন নিয়েই ‘চ্যাম্পিয়ন’ বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের অন্যতম শক্তি হয়ে ওঠা বসুন্ধরা কিংস দেশের ফুটবলে অবদান রেখেই যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে সুনাম কুড়াচ্ছে। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে তারা ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবারও তাদের শক্তির প্রমাণ দিল। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে শুরুতে দশ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা। এরপর ম্যাচে পিছিয়েও পড়ে। তবে সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় কিংসরা। গোল পরিশোধ করে এগিয়ে যায়, এরপর হলো চ্যাম্পিয়ন।

আজ স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল কিংস। এমানুয়েলের গোলে সাদা-কালোরা এগিয়ে গেলেও কিংসকে ম্যাচে ফেরান রাকিব হোসেন। আর শিরোপা নিশ্চিতের গোলটি করেন দরিয়েলতন গোমেজ।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে দর্শকের ঢল নেমেছিল। ফাইনাল দেখতে গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। সমর্থকদের হতাশ করেনি দুই দল। ফাইনালে উপভোগ্য একটি ম্যাচই উপহার দিয়েছে কিংস ও মোহামেডান।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে কিংস। প্রতিপক্ষকে পরীক্ষা নিতে যথারীতি সুলেমানে দিয়বাতেই মূল ভরসা ছিল মোহামেডানের; শুরু থেকে ডান দিক দিয়ে দিয়াবাতেও আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সোহেল রানার কড়া পাহারায় সুবিধা করতে পারছিলেন না।

 

চতুর্থ মিনিটে ভালো সুযোগ আসে কিংসের সামনে। তবে বক্সের ভেতরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও ভারসাম্য ধরে রেখে ঠিকঠাক শট করতে পারেননি রফিকুল ইসলাম, দূর্বল শটে বল যায় পোস্টের বাইরে। চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বেশ বাইরে থেকে জোরাল শট নেন রবিনহো, ঝাঁপিয়ে আটকান মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। এই অর্ধে দুই দলই দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করে।

মধ্য বিরতির পর জমে ওঠে ম্যাচ। দশ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। মোহামেডানের ওমর বাবুকে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উইঙ্গার রফিকুল ইসলাম। কিংসের একজন না থাকার সুযোগ পরের মিনিটেই কাজে লাগায় সাদা-কালোরা। মোজাফফরভের কর্নারে বক্সে জটলার মধ্যে হেডে জাল খুঁজে নেন এমানুয়েল সানডে। পিছিয়ে পরা কিংস দ্রুতঅ ধাক্কা সামাল দেয়। ম্যাচে ফিরতে সময় নেয় মাত্র দুই মিনিট। মিগেল ও রোবিনহোর দারুণ রসায়নে আক্রমণে যায় কিংস, বক্সে রোবিনহোর প্রচেষ্টা সাদা-কালো এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরা বল পেয়ে সোজা জালে পাঠান রাকিব হোসেন।

দশ জনের কিংস রক্ষণ সামলে খেলতে থাকে। নিচ থেকে আক্রমণে যাওয়া চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে খেই হারাচ্ছিলেন রোবিনহোরা। অবশেষে ৮৬ মিনিটে পেয়ে যায় কাঙখিত গোল। ম্যাচে কয়েকবার সুযোগ নষ্ট করা দরিয়েতন এনে দেন শিরোপা নিশ্চিতের গোলটি। মিগেলের বাড়ানো পাস বক্সে পেয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। বাকি সময়ে ব্যবধান ধরে শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা হয় বসুন্ধরা কিংস।


স্বাধীনতা কাপ   ফুটবল   মোহামেডান   বসুন্ধরা কিংস   আবাহনী   বাফুফে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও নতুন কীর্তি বাবরের

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম যেন মাঠে নামেনই নতুন কীর্তি গড়তে! গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে যথারীতি হেসেছে পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট। তাতে দলকে জেতানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ বাউন্ডারির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) ছিল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের পর, পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে বাবরদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দেয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।

গত শনিবারের ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে ৬৯ রান করেন বাবর। ইনিংস সাজান ৬টি চার ও ২ ছক্কায়। এই পথচলায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী বাবর।

১০৮ ইনিংসে বাবরের নামের পাশে চারের সংখ্যা এখন ৪০৯টি। আর স্টার্লিংয়ের বাউন্ডারি মেরেছেন ৪০৭টি, আইরিশ ব্যাটার ইনিংস খেলেছেন ১৩৬টি।

এই ম্যাচে আরও দুটি কীর্তিও গড়েছেন বাবর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ম্যাচে (৭৬) অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড এখন তারও। এর মধ্যে জিতেছেন ৪৪টি ম্যাচে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবার (৫৬ ম্যাচে ৪৪ জয়) রেকর্ডের সমান ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছেন বাবর।

বাবরের ব্যক্তিগত অর্জনের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ৮ উইকেটে করে ১৭৮। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় চার বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে। ৯ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসি ম্যাজিকে নিউ ইংল্যান্ডের জালে মায়ামির এক হালি

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে প্রায় এক মাস মাঠের বাইরে ছিলে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। এ সময়ে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামিও যেন হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারছিল না। তবে মেসি সম্প্রতি ফিরেছেন মাঠে। খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। আর এই কয়েক ম্যাচের মধ্যেই মায়ামিকে আবারও লিগের শীর্ষে তুলেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সেই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করলেন ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক এবং দলকে এনে দিলেন ৪-১ গোলের ব্যবধানে বড় জয়। ব্যক্তিগতভাবে নাম লেখালেন দারুণ এক রেকর্ডে। সেই সাথে সতীর্থদের অন্য দুটি গোলের অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগে শেষ চার ম্যাচে ৮ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার গোল করেছেন ৬টি।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভুলে যাওয়ার মতই ছিল মায়ামির। গোল হজম করে বসে প্রথম মিনিটেই। ৩২তম মিনিটে বক্সের ভেতর পাস পেয়ে প্লেসিং শটে সমতা টানেন মেসি। ৬৭তম মিনিটে দলীয় দ্বিতীয় গোলটিও সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডই করেন। বক্সের ভেতর থেকে কোনাকুনি শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।

৮৩তম মিনিটে বেঞ্জামিন স্কোরলাইন ৩-১ করার মিনিট পাঁচেক বাদে গোল করেন বদলি নামা লুইস সুয়ারেজ।

আর তাতে এই মৌসুমে এমএলএসে ৭ ম্যাচে মেসির নামের পাশে গোল ও অ্যাসিস্ট মোট ১৬টি। এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক আসরে প্রথম সাত ম্যাচের পর এর চেয়ে বেশি আর কেউ সরাসরি গোলে অবদান রাখতে পারেনি।

এই ম্যাচের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স জোনের পয়েন্ট টেবিলে ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে মায়ামি।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে নেই মেহেদী মিরাজ, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর মাস খানেক পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুধু তাই নয় দল গঠনেও উঠেপড়ে লেগেছে তারা।

যেহেতু এবারের আসর যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের অথবা প্রতিপক্ষের মাঠে একে অপরের সাথে সিরিজ খেলছে দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ রোববার দুজনকে বাদ দিয়ে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

তবে এই দল ঘোষণা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিসিবি। যার মধ্যে রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলে না থাকা প্রসঙ্গও। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যের এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সময়ের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতিপূর্বক এই ম্যাচে মিরাজের না থাকা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটা বড় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও জায়গা হারাতে পারেন মিরাজ। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে খোঁড়া যুক্তি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। একই সঙ্গে মিরাজের টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢোকার সুযোগও দেখছেন না তিনি।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মতো ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।

বিসিবি বস বলেছেন, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০টি ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর এবারের আসরে অংশগ্রহণ করছে ২০ দল।


টি-টোয়েন্টি   ক্রিকেট   মেহেদী মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

৫০৪ রানের ম্যাচে দিল্লির কাছে হারাল মুম্বাই

প্রকাশ: ০৯:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন গতকালের ম্যাচেই কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে পাঞ্জাব। গতকালের মতোই আজ (শনিবার) আরও একটি দুর্দান্ত রান তাড়া দেখার মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছিল।

দিল্লি ক্যাপিটালসের ২৫৭ রানের জবাবে বেশ কাছাকাছিই চলে এসেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে শেষ করতে পারেনি। ৫০৪ রানের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাইকে ১০ রানে হারিয়েছে রিশাভ পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালস।

এদিন ওপেনার রোহিত শর্মা (৮) আর ইশান কিশান (১৪ বলে ২০) ব্যর্থ। মুম্বাই বড় রান তাড়ার চেষ্টা করেছে মূলত তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া আর টিম ডেভিডের ব্যাটে। সূর্যকুমার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ১৩ বলে ২৬ করে আউট হন।

এরপর ৩৯ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তিলক আর হার্দিক। হার্দিক ২৪ বলে ৪৬ করে আউট হন। টিম ডেভিড ১৭ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৩৭। তারপরও রান তাড়ায় আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিলক।

ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে তিনি ফেরার পরই সব আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। ৩২ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি তিলক সাজিয়েছিলেন ৪টি করে চার-ছক্কায়।

দিল্লির মুকেশ কুমার আর রশিখ সালাম নেন তিনটি করে উইকেট।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছরের তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্কের ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস।

ম্যাকগার্ক ৮৪ রানের ইনিংসে ৮০ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে। টর্নেডো এই ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার।

এছাড়া অভিষেক পোরেল ২৭ বলে ৩৬, শাই হোপ ১৭ বলে ৪১ আর শেষদিকে রিশাভ পান্ত ১৯ বলে ২৯ এবং ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।


আইপিএল   দিল্লি   মুম্বাই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাইকেল জ্যাকসনের সাথে মুস্তাফিজের তুলনা করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল মুস্তাফিজের। ফলস্বরূপ ইতোমধ্যেই চেন্নাইয়ের মধ্যমণি  হয়ে উঠেছেন ফিজ। যার জন্য কিছুদিন পূর্বেই মুস্তাফিজকে বাংলা লায়ন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে এবার মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের ছবির সঙ্গে মিল রেখে তার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। মূলত, প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের নাচের একটি মুদ্রার ছবি শেয়ার করেছে চেন্নাই। তার সঙ্গে মিলিয়েছে মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশন।

নিজের বিখ্যাত গান ‘স্মুথ ক্রিমিনাল’-এর পারফরম্যান্সের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন জ্যাকসন। গোড়ালির ওপর ভর করে সামনের দিকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ঝুঁকে গিয়েছিলেন। এমন অসম্ভব মুদ্রা তিনি কীভাবে রপ্ত করেছেন সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে।

এদিকে মুস্তাফিজও বোলিং করার সময় জ্যাকসনের মতোই কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বাংলাদেশি পেসারের ঝুঁকে পড়াটা এবার তার সাফল্যের কারণ হোক সেটাই যেন বোঝাতে চেয়েছে চেন্নাই।

শুধু ছবিই নয়, জ্যাকসনের স্মুথ ক্রিমিনাল গানটির দুটি লাইনের সঙ্গে মিল রেখে ক্যাপশনে লিখেছে চেন্নাই। যেখানে তারা লিখেছে,  ‘ইউ হ্যাভ বিন হিট বাই, ইউ হ্যাভ বিন স্টক বাই!’ যার অর্থ ‘তুমি আঘাত করতে পার, আবার আটকিয়েও দিতে পার।’

নিজেদের মাঠে রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন