ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইনরা এখন কে কোথায়?


Thumbnail

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করেছিল। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে বাকি প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতে কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় আলবিসেলেস্তরা। মেসিসহ পুরো টিমই ছিল দূর্দান্ত। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের খরা কাটিয়ে সেই বিশ্বকাপ জয়ীরা এখন কে কোন দলে খেলছেন?

এমি মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা):

কাতার বিশ্বকাপ জয়ে মেসির পর সবচেয়ে বেশি অবদান হয়তো এমি মার্টিনেজেরই। ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শটটি ঠেকিয়ে দিতে না পারলে হয়তো বিশ্বকাপ ছাড়াই ক্যারিয়ার শেষ করতে হতো মেসিকে। বিশ্বকাপের আগে প্রিমিয়ার লিগের দল অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেন এমি। ক্লাবের এক নম্বর গোলরক্ষক এখন তিনি। দারুণ পারফর্ম করে প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোলরক্ষকদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মার্টিনেজ।  

ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভারপ্লেট):

৩৭ বছর বয়সী আরমানি রিভারপ্লেটের একাদশের নিয়মিত গোলরক্ষক হিসেবেই খেলছেন। সবশেষ মৌসুমে তার দলই আর্জেন্টাইন লিগের শিরোপা জিতেছে।

জেরোনিমো রুল্লি (আয়াক্স):

চলতি বছর জানুয়ারিতে ভিয়ারিয়াল থেকে ডাচ লিগের দল আয়াক্সে যোগ দেন। তবে এই মুহূর্তে একাদশে নিয়মিত নন এই ৩১ বছর বয়সী।

ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম):

আর্জেন্টিনা দলের মতো ক্লাব টটেনহ্যামেও সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলেন রোমেরো। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির ডিফেন্সের নেতা এই আর্জেন্টাইনই। চলতি মৌসুমেও দারুণ ফর্মে আছেন রোমেরো। লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩টি গোলও করেছেন ২৫ বছর বয়সী তারকা।

মার্কাস আকুনা (সেভিয়া):

লা লিগার ক্লাব সেভিয়ার হয়ে গত মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছিলেন আকুনা। জিতেছিলেন ইউরোপা লিগের শিরোপাও। সব মিলিয়ে ৩টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন এই লেফট-ব্যাক। তবে চলতি মৌসুমটা তার দলের খুব একটা ভালো কাটছে না। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগে অবনমন অঞ্চলের ঠিক ওপরে অবস্থান করছে সেভিয়া। আকুনাও পারছেন না গত বছরের পারফরম্যান্স অনুদিত করতে।

হুয়ান ফয়থ (ভিয়ারিয়াল):

২৫ বছর বয়সী ফয়থ ২০২১ সাল থেকে ভিয়ারিয়ালের হয়ে খেলছেন। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই রাইটব্যাক।

লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড):

'দ্য বুচার' নামে পরিচিত মার্টিনেজ বিশ্বকাপের আগেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচের মধ্যে ২৭ ম্যাচেই মাঠে ছিলেন মার্টিনেজ। ডিফেন্ডার হিসেবে উচ্চতা তুলনামূলক কম হলেও বল পায়ে দারুণ তিনি। চলতি মৌসুমে অবশ্য রেড ডেভিলদের একাদশে কিছুটা কম সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এর পেছনে কোচ টেন হ্যাগের কৌশল অনেকটা দায়ী।

 

নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকো (লিও):

লিগ ওয়ানের লিওতে খেলা ট্যাগলিয়াফিকো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা এই মৌসুমেও ক্লাবের একাদশে নিয়মিত হলেও তার দলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। লিগে ১৬ ম্যাচে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন এড়াতে লড়ছে লিও।

নিকলাস ওতামেন্ডি (বেনফিকা):

৩৫ বছর বয়সী ওতামেন্ডি আর্জেন্টিনা দলের রক্ষণভাগের স্তম্ভ হিসেবে আছেন এক যুগের বেশি সময়। কাতার বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা এই সেন্টারব্যাক পর্তুগিজ লিগের দল বেনফিকার হয়ে এখনও নিয়মিত মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নাহুয়েল মলিনা (অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ):

লা লিগার দল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন মলিনা। নিজেকে এরই মধ্যে সময়ের অন্যতম সেরায় পরিণত করেছেন। রক্ষণের পাশাপাশি গোল করার দিকেও ভালো নজর তার। চলতি মৌসুমেও লিগে ১৩ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছেন। গত মৌসুমেও ৩৩ ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন ২৫ বছর বয়সী মলিনা।

গঞ্জালো মন্তিয়েল (নোটিংহ্যাম ফরেস্ট/সেভিয়া):

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে তার নেয়া শেষ শটেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার। জাতীয় দলের সতীর্থ আকুনার মতো তিনিও লা লিগার দল সেভিয়ার হয়ে গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ জিতেছেন। তবে চলতি মৌসুমে ধারে খেলছেন প্রিমিয়ার লিগের দল নোটিংহ্যাম ফরেস্টের হয়ে।

 

জার্মান পেজ্জালা (রিয়াল বেতিস): ৩২ বছর বয়সী পেজ্জালা লা লিগার ক্লাব রিয়াল বেতিসের একাদশের নিয়মিত সদস্য।

অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (বেনফিকা):

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে নাচিয়ে ছেড়েছেন ডি মারিয়া। গোলও করেছিলেন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই উইঙ্গার য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ফিরে গেছেন ইউরোপে তার প্রথম ক্লাব বেনফিকায়। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ২০ ম্যাচে ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।

লিয়ান্দ্রো পারেদেস:

চলতি বছর গ্রীষ্মে পিএসজি ছেড়ে সিরি আ'র ক্লাব রোমায় নাম লিখিয়েছেন পারেদেস। তার আগে অবশ্য য়্যুভেন্তাসে এক মৌসুম ধারে খেলেছেন তিনি। রোমার একাদশে নিয়মিত মুখ পারেদেস। চলতি মৌসুমে লিগে ১৫ ম্যাচে ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

রদ্রিগো ডি পল (অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ):

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নেপথ্য সৈনিক লা লিগার জায়ান্টদের হয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ২ গোলে সহায়তা করেছেন।

অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (লিভারপুল):

ক্লাব ব্রাইটনের হয়ে আগেই নজর কেড়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স দেখে লিভারপুল তাকে এই গ্রীষ্মে দলে ভেড়ায়। নতুন ক্লাবে এসে দ্রুতই নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। আগের চেয়ে গোল করার সুযোগ কমে গেলেও লিভারপুল কোচ ক্লপের কৌশলে তার ভূমিকা অনেক বেশি বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ইনজুরিতে পড়ার আগে মাত্র এক ম্যাচে তাকে মাঠে নামাননি ক্লপ। ২৪ বছর বয়সী ম্যাক অ্যালিস্টার চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ১৮ ম্যাচে ১ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন।

এনজো ফার্নান্দেজ (চেলসি):

কাতার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজ বিশ্বকাপের পর দলবদলের ব্রিটিশ রেকর্ড গড়ে চেলসিতে যোগ দেন। লিগে তার দল চেলসি ভুগলেও এনজোর পারফরম্যান্স বরাবরই ভালো। চলতি মৌসুমেও ক্লাবের অন্যতম সেরা পারফরমার এই মিডফিল্ডার। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলে ৩ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করেছেন ২২ বছর বয়সী এনজো।

এজেকুয়েল প্যালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন):

২৫ বছর বয়সী প্যালাসিওস চলতি মৌসুমে বুন্দেসলিগার অন্যতম সেরা পারফরমার। সবশেষ ম্যাচে গতকাল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তার দল। দারুণ পারফরম্যান্সে এদিন ম্যাচসেরাও হয়েছেন প্যালাসিওস। ১৫ ম্যাচ শেষে এখনও অপরাজিত লেভারকুসেন বুন্দেসলিগার শীর্ষে আছে। এ মৌসুমে ২০ ম্যাচে ৪ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন প্যালাসিওস।

গুইদো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেতিস):

লা লিগার দল রিয়াল বেতিসের একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড় গুইদো। চলতি মৌসুমে ১৯ ম্যাচে ১টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি): 

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে ৭ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ফাইনালেও করেন জোড়া গোল। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে পিএসজিতে ফেরেন তিনি। তবে ক্লাবটি এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর ক্লাবটির সমর্থকরা মেসিকে দুয়ো দেয়। তবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আর নতুন চুক্তি করেননি মেসি। চলতি বছর জুনে চুক্তির মেয়াদ ফুরালে ফ্রি ট্রান্সফারে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি।

 

এমএলএসের ক্লাবটির হয়ে মেসি ১৪ ম্যচে ১১ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করেছেন। বয়স ৩৬ হয়ে গেলেও দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। জিতেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি'অর। সম্প্রতি পেয়েছেন ফিফার দ্য বেস্টের মনোনয়নও।

লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান):

আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড ইন্টার মিলানের অধিনায়ক। গত মৌসুমে বিশ্বকাপ জয়ের পর ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। তবে সেখানে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে যান।

এই মৌসুমেও দারুণ ফর্মে লাউতারো। সিরি আ'য় ১৬ ম্যাচে ১৫ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আর সব মিলিয়ে এই মৌসুমে ইন্টারের হয়ে ২২ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।

পাওলো দিবালা (রোমা):

বিশ্বকাপের আগেই য়্যুভেন্তাস ছেড়ে সিরি আ'র আরেক ক্লাব রোমায় যোগ দেন দিবালা। নতুন ক্লাবটির প্রধান খেলোয়াড় তিনিই। গত মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৩৮ ম্যাচে ১৮ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৩০ বছর বয়সী দিবালা। চলতি মৌসুমে কিছুটা ফর্ম হারিয়েছেন তিনি। তারপরও ১৪ ম্যাচে নামের পাশে লিখেছেন ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট।

অ্যাঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ): অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা কোরেয়া। চলতি মৌসুমে অবশ্য নিয়মিত প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না ২৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। মাত্র ১৯ শতাংশ ম্যাচে স্টার্টার হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতে ১৯ ম্যাচে ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।

হুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি):

বিশ্বকাপের পরের সময়টা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন আলভারেজ। গত মৌসুমে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়েও জিতেছেন ট্রেবল। প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছে। আর এই তিন শিরোপা জেতাতেই ভালো অবদান রেখেছেন আলভারেজ। যে কারণে ব্যালন ডি'অরের তালিকায়ও সেরা ১০-এ জায়গা পেয়েছেন।

গত মৌসুমে ৪৯ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করা আলভারেজ এই মৌসুমে ২৪ ম্যাচে ৮টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন।

থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড):

মেজর লিগ সকারের অন্যতম সেরা পারফরমার থিয়াগো আলমাদা। ২০২৩ সালে ৩৩ ম্যাচে ১২ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করেছেন এই ২২ বছর বয়সী তরুণ।

আলেহান্দ্রো গোমেজ (মোনজা/ নিষিদ্ধ):

গত মৌসুমে সেভিয়ার হয়ে ইউরোপা লিগ জেতার পর চলতি মৌসুমে সিরি আ'র ক্লাব মোনজায় যোগ দিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো 'পাপু' গোমেজ। কিন্তু মাত্র ২টি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এরপর ডোপ টেস্টে পাশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।


বিশ্বকাপ জয়ী   আর্জেন্টিনা   এমি মার্টিনেজ   গঞ্জালো মন্তিয়েল   ডি মারিয়া   মেসি   ফিফা   এনজো ফার্নান্দেজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাইকেল জ্যাকসনের সাথে মুস্তাফিজের তুলনা করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল মুস্তাফিজের। ফলস্বরূপ ইতোমধ্যেই চেন্নাইয়ের মধ্যমণি  হয়ে উঠেছেন ফিজ। যার জন্য কিছুদিন পূর্বেই মুস্তাফিজকে বাংলা লায়ন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে এবার মুস্তাফিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কিংবদন্তি মার্কিন সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের ছবির সঙ্গে মিল রেখে তার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। মূলত, প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের নাচের একটি মুদ্রার ছবি শেয়ার করেছে চেন্নাই। তার সঙ্গে মিলিয়েছে মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশন।

নিজের বিখ্যাত গান ‘স্মুথ ক্রিমিনাল’-এর পারফরম্যান্সের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন জ্যাকসন। গোড়ালির ওপর ভর করে সামনের দিকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি ঝুঁকে গিয়েছিলেন। এমন অসম্ভব মুদ্রা তিনি কীভাবে রপ্ত করেছেন সেটি নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে।

এদিকে মুস্তাফিজও বোলিং করার সময় জ্যাকসনের মতোই কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বাংলাদেশি পেসারের ঝুঁকে পড়াটা এবার তার সাফল্যের কারণ হোক সেটাই যেন বোঝাতে চেয়েছে চেন্নাই।

শুধু ছবিই নয়, জ্যাকসনের স্মুথ ক্রিমিনাল গানটির দুটি লাইনের সঙ্গে মিল রেখে ক্যাপশনে লিখেছে চেন্নাই। যেখানে তারা লিখেছে,  ‘ইউ হ্যাভ বিন হিট বাই, ইউ হ্যাভ বিন স্টক বাই!’ যার অর্থ ‘তুমি আঘাত করতে পার, আবার আটকিয়েও দিতে পার।’

নিজেদের মাঠে রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে কামব্যাক করার প্রত্যাশা জ্যোতির

প্রকাশ: ০৬:৪৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে।

রোববার থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ম্যাচিউরড টিম হিসেবে মন্তব্য করেছেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর।

গত বছর বাংলাদেশ সফরে মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বাজে আচরণ করে হয়েছিলেন নিষিদ্ধও। এবার মাঠের লড়াই শুরুর পূর্বে তার এমন কথা শুনে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।  

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘অতীতে অনেক কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু যা হয়েছে, তা অতীত। ওটা নিয়ে আমরা বসে নেই। কিন্তু শুনে ভালো লাগলো যে, তারা (ভারত) বলেছে আমরা আগের থেকে অনেক ম্যাচিউরড টিম। এর মানে হচ্ছে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি অবশ্যই।’

ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আর বলেন, ‘ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-২০ খেলা এবং বাজে সময় পার করে কামব্যাক করতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সিলেটের মাঠে হয়তো এখনও বড় অর্জন নেই। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে।’

আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর ৩০ এপ্রিল একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, রাতের আলোয়।

এরপর ২ ও ৬ মে পরের দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে, যেটি গ্রাউন্ড-২ হিসেবে পরিচিত। এই দুই ম্যাচ হবে দুপুর ২টায়। ৯ মে শেষ ম্যাচটি আবার রাখা হয়েছে মূল মাঠে, সন্ধ্যায়।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিভারপুলে ক্লপের উত্তরসূরি হচ্ছেন স্লট

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লিভারপুলের সাথে সম্পর্কের ইতি টানছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। একটা লম্বা সময় ধরেই এ খবর শিরোনামে রয়েছে। তবে ক্লপ যাওয়ার পর তার উত্তরসূরি কে হবেন এমন প্রশ্নে একটা লম্বা সময় ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে সেই উত্তরসূরির নাম জানা গেছে। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুরডের কোচ আর্নে স্লটকেই বেছে নিয়েছে অল রেডদের পরবর্তী কোচ হিসেবে।

এরই মধ্যে স্লটকে কোচ হিসেবে পেতে তার ক্লাব ফেয়েনুরডের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, আর্নে স্লট খুবই উঁচু মাপের একজন কোচ। তার সঙ্গে চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে লিভারপুল ক্লাবের কর্তৃপক্ষ।

৪৫ বছর বয়সী স্লট বৃহস্পতিবারই লিভারপুলে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কথা জানান। তখনই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিভারপুল এবং ফেয়েনুরডের মধ্যে তার ব্যাপারে প্রায় সমঝোতা হয়ে গেছে। চলতি বছরের শুরুতেই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। প্রায় সাড়ে ৮ বছর তিনি লিভারপুলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

ফেয়েনুরডের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে আর্নে স্লটের। ফলে কিভাবে তাকে অ্যানফিল্ডে নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে দুই ক্লাবের মধ্যে।

ইএসপিএন জানিয়েছে, ফেয়েনুরড স্লটের জন্য ৯ মিলিয়ন পাউন্ড (১১.২৫ মিলিয়ন ডলার) দাবি করেছে। যদিও প্রকৃত পরিমাণটা এখনও জানা যায়নি। তবে, পরিমাণ যাই হোক, দুই ক্লাব একটি ঐকমত্যে পৌঁছে গেছে এরই মধ্যে। সে সঙ্গে স্লটকে ফ্রি করে দিয়েছে লিভারপুলের সঙ্গে দর কষাকষি করার জন্য।


ক্লপ   স্লট   লিভারপুল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আইপিএল ছাড়লেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক

প্রকাশ: ০৫:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর এক সপ্তাহ পরই শুরু হবে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ। আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতিস্বরূপ এই সিরিজকে বেশ ভালোভাবেই নজরে রাখছে দল দুটি। সেই ধারাবাহিকতায় সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে আছেন সিকান্দার রাজা। রোডেশিয়ান অধিনায়ক বাংলাদেশ সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই আইপিএল ছেড়েছেন।

এবারের আসরে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন রাজা। জাতীয় দলের ব্যস্ততায় আসরের মাঝপথেই দল ছাড়লেন তিনি। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’–এ করা এক পোস্টে জানিয়েছেন রাজা, ‘আমাকে নেওয়ার জন্য পাঞ্জাব কিংস, আইপিএল এবং ভারতকে ধন্যবাদ। প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি। এখন জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব পালনের সময়। ইনশা আল্লাহ আবার দেখা হবে।’

রাজার কাছে সবার আগে জাতীয় দল। বিশ্বের যে লিগেই খেলেন না কেন, যদি সেই সময়ে জাতীয় দলের খেলা থাকে তাহলে কোনোরকম দ্বন্দ্ব ছাড়াই লিগ ছেড়ে দেশের হয়ে খেলতে যাবেন রাজা। এমনকি নাইজেরিয়ার মতো খর্ব শক্তির দলের বিপক্ষেও যদি সিরিজ থাকে, তাহলেও সেটিই বেছে নেবেন এই অলরাউন্ডার। কয়েক দিন আগেই জিম্বাবুয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট থ্রি-মোবডটকমকে রাজা বলেছেন, ‘আমি সেখানে থাকব ইনশা আল্লাহ। (বাংলাদেশ সিরিজের জন্য) আইপিএল ছেড়ে যাচ্ছি।’

সম্প্রতি আরেকটি ওয়েবসাইটকে রাজা বলেন, ‘আমি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের একটা সীমিত ওভারের ম্যাচও আমি মিস করব না। এর কারণে যে লিগকেই ছেড়ে যেতে হোক না কেন।’

‘জিম্বাবুয়ে যদি এখন আমাকে বলে যে তিন দিন পরই সিরিজ আছে, আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, তাতে আমার কিছু যায়–আসে না। জিম্বাবুয়ে যদি আমাকে দলে নেয়, তাহলে আমি পিএসএল ছেড়ে যাব। যদি আইপিএলের সময় সিরিজ আসে, আমি আইপিএল ছেড়ে যাব। গ্লোবালটি-টোয়েন্টি, সিপিএল, আইএলটি-টোয়েন্টি—যে লিগই হোক না কেন।’-যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। আগামী ৩ মে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। চট্টগ্রামে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। মিরপুরে সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টি হবে ১০ ও ১২ মে।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘মেসি চিরস্থায়ী হয়ে থাকবেন’

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail লিওনেল মেসি

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন তিনি।

আর্জেন্টিনার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছেন পুরো ফুটবল বিশ্ব যেন মেসি বন্দনায় মেতেছে। তবে ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ সময়ে পৌঁছে গেছেন এই কিংবদন্তি। তবে তাকে ছাড়া আর্জেন্টিনা দল ভাবতেই পারেন না এক্সেকিয়েল পালাসিওস। তাইতো মেসির অবসরের প্রসঙ্গ উঠতেই থামিয়ে দিলেন এই মিডফিল্ডার। এলএমটেনকে সবসময় জাতীয় দলে দেখতে চান তিনি। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, দলের সবাই নাকি এমনটাই চায়।

৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৮ টি ম্যাচ খেলেছেন পালাসিওস। যেখানে বেশিরভাগ সময় সতীর্থ হিসেবে মেসিকে পেয়েছেন তিনি। ২০২১ কোপা আমেরিকা ও ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পালাসিওস বলেন, 'মেসির চালিয়ে না যাওয়ার কথা এখনকার মতো দয়া করে বলবেন না। মেসিকে ছাড়া জাতীয় দল তো ভাবাই যায় না। আমরা সবাই চাই তিনি চিরস্থায়ী হয়ে থাকবেন এবং সবসময় আমাদের সঙ্গে খেলবেন।'

এদিকে আরেক আর্জেন্টাইন তারকা আনহেল ডি মারিয়া ইতোমধ্যেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তাকে নিয়ে পালাসিওস বলেন, 'আমরা চাই না ডি মারিয়া অবসর নিক। আমাদের দেশের জন্য সে অনন্য, ভিন্ন ও ঐতিহাসিক এক ফুটবলার। সত্যিই যদি সে অবসর নেয়, তাহলে সামনের প্রতিটি ট্রেনিং সেশন, প্রতিটি ক্যাম্প ও প্রতিটি মাচ সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে আমাদের। কারণ, তার মানের একজনকে পাওয়া আমাদের জন্য বড় ব্যাপার।'  

আগামী জুনে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে দলে জায়গা পেতে মরিয়া পালাসিওস। তিনি বলেন, 'আমার ভাবনায় এখন আছে লেভারকুজেন, ক্লাবের হয়ে ভালো করে জাতীয় দলে জায়গা নিতে চাই। কোপা আমেরিকায় খেলতে মুখিয়ে আছি আমি, তবে জায়গাটা অর্জন করেই নিতে হবে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন