বগুড়ার শাজাহানপুর
উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি'র কমিটি
গঠনে অর্থ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার
বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির
সাবেক নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে
বলা হয়, প্রায় ৩ বছর যাবৎ শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব
গ্রহণ করে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি'র কমিটি গঠনে অর্থ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয়
নেয়।
কয়েকটি ইউনিয়নে
হঠাৎ একই জায়গায় একই সময়ে একত্রে ৯টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের
নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে। উপজেলা বিএনপি'র সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
(ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশারকে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিনা দোষে ৬ মাসের জন্য দলীয় কার্যক্রম
হতে স্থগিতাদেশ প্রদান করে, যাতে করে সে নির্বাচন করতে না পারে। যা দলীয় গঠনতন্ত্র
বিরোধী।
এসব অনিয়মের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবর বর্তমান
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বাতিলসহ ৮ দফা দাবি করা হয়।
তারা সাবেক
আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবুল বাশারের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ
প্রত্যাহার পূর্বক সম্মেলনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম জাহেরুল, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান অটল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফজলুল হক উজ্জল, চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ বিএনপি অর্থবাণিজ্য বগুড়া আহ্বায়ক কমিটি
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।